Thursday, November 8, 2018

কুর্সড বা গালাগালি (পর্ব - ১০)


মায়া
কি অবিচ্ছেদ্য একটি মায়ার চাদর পেতে
রেখে দিয়েছো না পারি ছিড়তে তারে
না পারি পোড়াতে, কোন চিঠি
সব! সবই আমার স্মৃতি
অাপদমস্তক আমি একজন গাধা!
কল্পনা করি তুমি এই আছো অথচ চারদিকে তাকানোর
পরে দেখি না তোমারে! তুমি কই?
অতীতেরে কল্পনা করতে করতে অ্যাস্ট্রে ভরে ফেলি ছাইয়ে
একদা তুমি পাশে ছিলা
আমরা গল্প করতে করতে দুটোপাখি
একত্র হয়ে ছিলাম
আমাদের চুমু ক্ষণস্থায়ী হয়েছিলো
লাল ফিতা বেঁধে দিয়ে বলেছিলে হাতে,
যদি ভুলে যাও তবে মাথা চিবিয়ে খাও
রোজ কেয়ামততক দাবী, যদি ভুলে যাও!
আল্লা ছিলো সাক্ষী, সাথে আল্লার আরশ,
ফারিশতাগণ সাক্ষী ছিলো
তোমারে দেয়া প্রতিজ্ঞা আমি রেখেছিলাম,
অথচ পরিণামে তুমি প্রতিজ্ঞা ভেঙে
চলে যে গেলে সেই কবে আর ফিরে এলে না!
কী আফসোস! কী হাপিত্তেস আমার!
তুমি সেই চলে গেলে
অস্তিত্ব দেখিনি কোথাও
না পিথিবীর চাঁদে
না কোন মেঘে
না দেখি অস্তিত্ব তোমার আরশে মোআল্লাতে!


কুর্সড~ ২
আমি মৃত্যুকে ক্ষাণকিরপোলা বইলা গালি দিলাম।
“মৃত্যু একটি ক্ষাণকির পোলা!”


কুর্সড~ ৩
আমি তো ঠায়
দাঁড়িয়েই, ছিলাম
পাখি।
জানালা খুলে,
তুমি উড়ে গেলে না,
স্ব ইচ্ছায় থাকলা
আবার ঝগড়া চুদাইতাছিলা!
আমাকে কোন শাউয়াটা ভাবো?
চুৎমারাণি।
চলে গ্যালা না কেন?
থাকলা কেন?
কইলজা চাবাবা বইলা?
নাকি,
তোমার ছোটডানা
ছেটে দিয়েছিলো
নাকি কেউ?


কুর্সড~ ৪
কী দীর্ঘ রাতেরে
আমি গালি দিই
এতবড় রাত
অথচ পাশে গল্প করার
মতো কাউরেই
দ্যাখিনা আমি!
অগোছালো এই জীবনে
যদি পাই কারো পূর্ভাবাস
তবে তোমার স্বপ্নরে ত্যাগ করে
আমি সুখী হব।


কুর্সড~ ৫
কাল অথবা তার পরেরদিন
তার পরেরদিন না হলে তার পরেরদিন
আমার ও সুযোগ হবে মেইন রোডে দাঁড়ায়ে না পারি, জুতা খুলে দৈাড় দিয়ে তোমাকে থাপড়ায়ে বলতে থাকবো,
আমার সব পূর্ণতা ফিরিয়ে দে মাগী!


আমি ও সোলেমান
পাখিরা আমার কথা বোঝে
উদ্ভিদ কিংবা গুল্ম যাই বলো
সকলে আমার কথা বোঝে একমাত্র তুমি ছাড়া!
ভোরের শিশির এবং পাখিরা আমার কথা শোনে
একমাত্র তুমিই শোনো না!
আমি পাখিরে শিশিরে গোসল করতে বলি
জানালা খুলে দেখি প্রাতের শিশিরে পাখিরা মেঘ হয়ে গোসল করে।
মেঘের কাছে বৃষ্টির আহ্বান করি,
ডানাঅলা মেঘ পাখি হয়ে উড়ে আসে আমার টিনের চালায়,
এরপর;
মেঘ তাঁর উদর খুলে দিয়ে বৃষ্টিরে ঝড়ায়।

কাশফুল
অমায়িক সাদা কাশফুল দুলতে জানে না
অথচ দ্যাখো তার কত ফুটানি!
ম্যাঘের সাথে সাদৃশ্য হয়ে নিজেরে ভাবে
য্যানো হয়ে গ্যাছে ম্যাঘের মিতা!
কবি ভাবে উড়তে উড়তে নিজেরে,
হয়ে পুস্তকের কবিতা।
হা হা
কী নিদারুন নগ্ন বাতাসে,
কাশফুলের ডানা দুটো গজিয়ে যায়
উড়ে চলে যায় উত্তর হিমালয়,
হয়ে যায় শুভ্র বরফ –
বকুল গাছের মাথায় তাঁরে দেখা যায়,
যেন ডানাঅলা শাদা মেঘ;
উড়ে চলে এসে পাখনা মেলে বসে
পরে বকুলের ডালে!
দিগন্ত জোড়া মাঠ কে ছুটি জানিয়ে,
বাতাসে উড়ে চলে যায় দূর দেশে!
আর সুযোগে ঘাসফুল,
কাশফুল হতে চায়!


বিশালত্ব
ও পৃথিবী আমার বিশালত্ব ধারণ করার ক্ষমতা তোমার নাই!
আমি যে তোমার মাঝে নিজের আঙুল রাখবো,
আমার আঙুলের শ্রী তোমার নাই।
ও পৃথিবী নিজেরে গুটায়ে নাও;
ভিন্নভাবে আমারে জায়গা করে দাও
অথবা প্রসস্ত হও আরো,
তোমার মাঝে বইসা একটু ধীরে চা খামু ।


আত্মীয়
আমার বড়ত্ব ধারণ করার
অথারিটি আমার রিলেটিভদের নেই!
কারণ আমি তাদের
চেয়ে অনেক অনেক বড়!


বাঁধা
ভাবি তোমাকে নিয়ে
আকাশে উড়াল দেবো,
কিন্তু তাকিয়ে দেখি আকাশে
আমাদের বাঁধা স্বরূপ
একখন্ড কালো মেঘ!



No comments:

Post a Comment