Tuesday, January 15, 2019

এমিনেম : কখনো হারেনি

১.
রিয়েল লাইফে আমি যারে গানের দেবতা হিসাবে পূজো করি সে হলো অ্যামিনেম। আমার সংগ্রহে অ্যামিনেম এর ১৮০টা গান আছে প্রায়। সবগুলোই আমার প্রিয়র তালিকাতে। লেখাটা যখন লিখতেছিলাম তখনো আমার ব্যাকগ্রাউন্ডে প্লে হইতেছিলো অ্যামিনেম, ফিফটিসেন্ট,ক্যাশিশ, ইলিয়ড ব্যাংকসের ডোন্ট নো। আমি আর রাজ এই গানটা ২বছর যাবৎ শুনতেছি আর প্রতিদিনই কমপক্ষে একবার। 
অ্যামিনেম আর টুপ্যাক শাকুর এর নাম এখন একই সাথে উচ্চারিত হয়। 
অ্যামিনেমের প্রথম অ্যালবাম ইনফিনিটি বাইর হইলো ১৯৯৬ সালে। ফ্লপ হইছিলো। মাত্র ১০০০কপি বিক্রি হইছিলো ঐটা। তখন আশেপাশের ঐযে কাক পাখিরা তাঁরে র‍্যাপ করা ছাইড়া দিতে কইছিলো। তাঁরা কইতো "তুমি তো ধলা চামড়ার তো তুমি কী র‍্যাপ করবা?" (তখন র‍্যাপে ব্ল্যাক আমেরিকানগো একচ্ছত্র অাধিপত্য ছিলো) 

২.
ফ্লপ প্লাস এত নিষেধের পরও অ্যামিনেম তখন র‍্যাপ করা ছাড়লো না। বরংচ সে তাঁর সারফেসের উপরে সমাসীন রইলো এরপর র‍্যাপ অলেম্পিক এ সুযোগ পায় আর ২য় স্থান অধিকার করে। তখনই সে ড. ড্রের নজরে আসে। ড. ড্রে ভিতরের মার্শাল ব্রুস ম্যাথার্সরে দেখতে পায়। ড. ড্রে তাঁরে স্টুডিওতে নিয়া আসে আর প্রথম রেকর্ডটা করায়। ড. ড্রে তাঁরে রিদমডের সুরে বল্ল কও - "মা নেম ইজ, মা নেম ইজ অ্যামিনেম " ড. ড্রেরে আশ্চর্য কইরা সেই অ্যামিনেম বলতে লাগলো - "হা মা নেম ইজ, মা নেম ইজ অ্যামিনেম।''
২০০০ সালে বের হয় অ্যামিনেমের দ্বিতীয় ও সফল অ্যালবাম "দ্য স্লিম শেডি এলপি" এইটা এত সফল হয় যে প্রথম সপ্তাহে ২৮০০০+ কপি বিক্রি হয়! এরপর যেইটা বেরহয় সেইটা রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হয়। এরপরের অ্যালবামটা "দ্য মার্শাল ম্যাথার্স এলপি" যেইটা বিক্রি হয় ১৭৬০০০০ হাজার কপি! এরপরে এরপর একের পর এক আসে কোনটাই আর ফ্লপ হয়নি। আমরা পেতে শুরু করলাম অ্যামিনেম এর বিখ্যাত র‍্যাপপগুলা- আই অ্যাম নট অ্যাফ্রেইড, ব্যাড মেটস ইভিল, লুজ ইওর সেল্ফ, র‍্যাপগড, লাভ দ্যা ওয়ে ইউ লাই, মোকিং বার্ড, ফাল, নো লাভ, বারজার্ক, অন ফায়ার ইত্যাদি।

৩.
 ২০০০ সালে তাঁর মুভি "এইট মাইল" আর তাঁর "লুজ ইওর সেল্ফ'' সেরা র‍্যাপ সং হিসেবে পায় গ্রাম্মি অ্যাওয়ার্ড! অ্যামিনেম সেই ঘেটোর র‍্যাপার মার্শাল ম্যাথার্স থিকা হইয়া ওঠে আমাদের সকলের প্রিয় অ্যামিনেম! লুজ ইওর সেল্ফ যারা শুনছেন, নিশ্চই তাঁরা গানটার এই কথাগুলা বার না আওড়াইয়া পারেন না "He's nervous, but on the surface he looks calm and ready
To drop bombs, but he keeps on forgettin'
What he wrote down, the whole crowd goes so loud
He opens his mouth, but the words won't come out
He's chokin', how, everybody's jokin' now
The clocks run out, times up, over, blaow!
Snap back to reality, oh there goes gravity''
এই সং রাইটার এখানে অ্যামিনেম এর সাথে আমাগোও আঁকছেন। যখন আপনি স্টেইজে গান বা কবিতা একটা কিছু বলতে যাবেন, দেখবেন স্টেইজের আশেপাশে কিছু ছাগল টাইপের মানুষ আপনারে হাসে। আপনি বিষম খান। আপনার মনে আবৃত্তি আছে কিন্তু মুখ থিকা তখন বের হয়না। গলায় আটকে আছে। এখন আপনার গলায় আটকে থাকা আবৃত্তি বা গানটা যে কইরা হোক বের করতে হবে। বের করলেই দেখবেন যারা স্টেইজের পাশে হাসাহাসি করতেছিলো, ওরা হাসি থামায়ে দিয়া আপনার গান বা আবৃত্তি শুনতেছে, তাতে সেইটা মানসম্মত হোক বা না হোক। আপনি যে গাইতেছেন বা আবৃত্তি করতেছেন সেটাইতো অনেক কিছু নাকি?
স্টেইজটা হইলো যুদ্ধক্ষেত্রের মতো। এইখানে সারা পারা মাতানো দামাল বাচাল ছেলেটাও বোবা হয়ে যায়!

No comments:

Post a Comment