Wednesday, October 31, 2018

সজল আহমেদ এর কবিতা: রিদমড

রিদমড

ঘুমের শহরে কেউ কথা বলেনা
কথা বলেনা সেথা গাড়ি চলে না
.
গাড়ি চলেনা সেথা, গাড়ি চলে রোডে
গাড়ির পেছনে সবাই দল বেঁধে ছোটে
.
দলবেঁধে ছোটে সবে দলে দলে যায়
হেঁটে গেলে সকলের ঝিম ধরে পায়
.
ঝিম ধরে পায় যদি কেউ হেঁটে যায়
হেঁটে হেঁটে সেঁজুতি বেঁটে হয়ে যায়
.
বেঁটে হয়ে যেই সে ফুল ছুঁতে যায়
হাত ছিড়ে রক্ত গড়ায় কাঁটারো গুতায়
.
কাঁটার গুতায় যেই রক্ত তাঁর ঝরে
বিষের জ্বালায় ফুপিয়ে সে মরে
.
ফুপিয়ে মরে সে অকথ্য ব্যথায়
অকথ্য ব্যথারা একদা শরীরে মিশে যায়
.
শরীরে মিশে যায় তার সাথে শিতল ও বাতাস
শিতল বাতাসে ওরা খেলে তিন তাস
.
তিন তাস খেলে যেই কেউ হেরে যায়
একে অপরের তখন কপাল ফাটায়
.
কপাল ফাটিয়ে মজিদ ঘর ছাড়া হয়
ঘর পালালেই কুফার কপাল খুলে যায়
.
কপাল যেই খুলে যায় কুফা বেকুব হয়ে যায়
বেশি টাকা নিয়ে বসে পরে আবার জুয়ায়
.
জুয়ার আড্ডায় কুফা আবার যেই বসে
খয়রাতি কুফা রূপে গৃহে ফিরে আসে
.
গৃহে ফিরে এসে খায় ভাত সেই মেলামাইন থালায়
কুকুরের পেটে কভূ নাহি ঘি হজম হয়
.
ঘি হজম নাহি হলে থানকুনি খায়
থানকুনি খেলে পেটের ব্যামো চলে যায়
.
ব্যামো চলে গেলে আবার কুখাদ্য খায়
আবাল মরে না সব পৃথিবীতে পরে রয়
.
পরে রয় পৃথিবীতে কতশত অবাস্তব কল্পনা
মাটির বুকে ছিড়ে ফুটুক সুশ্রী ফুল সকলের বাসনা
.
বাসনা সকল কভূ পূর্ণ নাহি হয়
বেকুবের বুদ্ধি হলে সব অকালে হারায়
.
অকালে হারিয়ে যায় অযত্নের দাঁত
প্রেমিকা জমা করে শুধু অবসাদ
.
শুধু অবসাদ যারা জমা করতে জানে
তাঁরা শেখাতে আসে ভালোবাসার মানে
.
ভালোবাসার মানে ঝামেলা বাড়ানো
পঁচা মিস্টির নিষ্ফল মাছি তাড়ানো
.
মাছি তাড়িয়ে শেষে চলে গেলে বেলা
শিশুরা ফিরে ঘরে ছেড়ে এসে খেলা
.
ছেড়ে এসে খেলা মাকসুদ ঘুমুতো যায়
পলি কে স্বপ্নে দেখে দ্রুত ভোর হয়
.
ভোর হলে মা এসে কান ধরে টানে
মরিচ ডলে ভাত খায় বসে স্ব আসনে
.
স্ব আসন যে ছিনিয়ে নিতে জানে
তাঁর বুঝতে বাকি নেই জীবনের মানে
.
জীবনের মানে অস্ত্র ছাড়া যুদ্ধ
হয়তবা মরো, নতুবা মারো পালসুদ্ধু
.
পালসুদ্ধু যদি যুদ্ধে মারতে নাহি পারো
শত্রুর গুলিতে তবে আগেভাগে মরো।
(সংক্ষিপ্ত)

No comments:

Post a Comment