Wednesday, November 7, 2018

কুর্সড বা গালাগালি (পর্ব - ৬)


বিণয় বা ভদ্রতা
আমারে খাইছে মেঘ
বিণয় নামের ভূতে
তাই সাদা সাদা কাশফুলেরা
কালো মেঘরে চুদে।
বিণয় আমায় আমি বিণয়রে
বাসর ঘরে ডাকি
একসঙ্গে আমরা দুইজন
অশ্লীলতায় মাতি।
গোস্বামী গোস্বামীর বিণয়
দিল বরাবর কোপ
রাধিকারে ভালো লাগলে
লাগে ভালো তাঁর ঠোঁট।
তামাক পাতা গ্লাস ভরা শারাফ
তামাম অন্তরের খোড়াক
রামের সীতা সীতার রাম
রাবনের লোভ গৎ বাঁধা যৌবনে
রামের সীতা রাবনের চোখ
তাকায় সীতার যৌবন পানে।
সাদা বোরাক তুলার মতো সাদা,
তুলার মতো বোরাক
পিঠে চইড়া উইড়া যাবো
রাধার বৃণ্দাবন।
চোখের পাতায় একেকটা প্রশ্ন
রামের ভ্রাতা লক্ষণ
যুবক ভ্রাতার সুন্দরী পত্নি
লক্ষণের কী ভালো লাগে না সীতার যৌবন?


দুঃখ
বিরহ যার রয়েছে পরন্ত বিকালে
রোমান্থিত স্মৃতিরা যাকে
প্রতিনিয়ত ধর্ষন করে যায়,
অতি আগ্রহে আর হারানোর বিরহে
ধীমান কচ্ছপ হয়ে খোঁজে সমুদ্দুর শ্যাওলা।
যে নিজেরে খুঁজে পায় না প্রণয়ীর আঁধারে
তারে তুমি কিভাবে বলবা যে, “দুঃখ পেয়ো না?”
হভাই!


জাবর টোয়াকিং
বালকেরা দলবেঁধে দৌড়াতে লাগলো উঁচা পাহাড়ে
কাউয়া দুইটা উড়তেছিলো পাহাড়ের সীমানায়
বালকের দলদের ছিলো কাউয়ার ডাকে ভয়!
কাউয়া ডাকা সমূহ বিপদ কাউয়া ডাকলে
ভাগ্যের ফেরে গোয়া মারা যায়!
তাইলে কী আর পাহাড়ে উঠমুনা?
বালকদ্বয় খালি ভাবে।
তাঁরা ভয় তাড়াইতে জোড়সে জিপার টেনে
হিসহিস শব্দে মুইতা দিলো কাকের দিকে তাকায়।
এমন মুতের বেগ যে পাহাড়চূড়া ও ডোবে,
মুতের বেগে জোড়া কাউয়া পাহাড় থিকা দূরে
জোড়সে বেগে উইড়া গ্যালো কা কা কা রবে!
বাঁইচা গ্যালো জোড়া কাউয়া উইড়া আচমকা,
বালকের দল এমনই পটু-মুইতা সড়ায় শঙ্কা।
জোড়া কাউয়া আপত্তি জানায়,
অন্যায় করছো অন্যায় করছো ওহে বালকদ্বয়
আমরা অহন বিচার দিমু রাজার দরগায়!
মাফি মাঙলো বালক সকল
কার বালে কে শোনে?
উইড়া গেলো বাল-উল্টা কাউয়া প্রসাদপানে নালিশ জানাইতে।
জোড়া কাউয়া উইড়া গিয়া নালিশ ঠুকলো রাজার দরবারে,
রাজাসাব ওহে শোনেন একখান বাত
বিচার চাইতে আজকা আসছি আপনার বরাত!
কইলো রাজা, বলো কী হে কাক?
অভিযোগ বইলা ফ্যালো কিসের কিবা হারিআপ।
কইলো কাউয়াদ্বয়,
মহারাজ মহাশয়!
কিছু বালক মুইতা দিছে আপনার সীমানায়
মুতছে আমাগো গায়
কইছে তাঁরা মুতের এত পাওয়ার
যেন বিশাল জলোপ্রপাত!
আপনে নাকি কইলে কিছু
মুইতা ভাসাইবে আপনের রাজপ্রসাদ!
ফুলেফেপে রাজামশায় বালকদ্বয়দের ডাকে
নিষ্পাপ বালকদ্বয় গোমড়া মুখে আসে!
বালকদ্বয়দের দেইখা রাজা হইলেন তেলে বেগুন
গৌমত্তা সাব ধুতি জাগায় দেখতে পাইলো
রাজার হোগায় রাগের আগুন!
কইলেন রাজায়, ওহে বালকদ্বয়!
কাউয়া যদি ডাকেই, ধাজ লাগে ক্যান তোমাগো শাউয়ায়?
কাচুমাচু মুখ বালকদের রাজায় পাইয়া সুযোগ,
সব বালকের গর্দান নিতে হুকুম ফরমায়!
বিপদে তাগোর মুতার অভ্যাস রাজায় তা না জানে!
বালকদ্বয় জিপার খুললো চাইয়া আসমান পানে।
উপায়হীণ বালকেরা।
মুইতা দিলো তাঁরা,
সামনে ছিলো যারা,
ভাইসা গ্যালো সব শালারা;
পেছনেও ছিলো যারা!
ভাইসা গ্যালো উজির-নাজির
ভাইসা গ্যালো সেনাপতি
যতো ছিলো পেয়াদা,
ডুইবা মরলো রাজকবি,
মুত স্রোতে ঢোলপেট হইলো
রাজার পোষা বুদ্ধিজীবি!
মুতে ভাসলো মন্ত্রীর চেয়ার।
মুতের সমুদ্রে ডুইবা মরলো স্বয়ং মহারাজ,
তিনশো কিলো দূরে ভাইসা গ্যালো রাজার রাজপ্রসাদ।
বিপদ বুইঝা দুইটা কালো কাউয়া উইড়া গিয়া
কই গ্যালো যে কে তাঁগোর আর পায়?
কাউয়া গিয়া উইড়া বইলো ডেউয়া গাছের শাখায়।
মরলো রাজা, গ্যালো রাজ্য মুতের সাগরে
সমস্যার মূল উড়াল জানা কাউয়া দুইটা ফাঁকে বাঁইচা গ্যালোরে!


ঘুঘু
আমাকে একটা ঘুঘু ভাবো
পশমের নিচে উদগ্র মাংসালো কলবের
উড়ে উড়ে চলে যাই দূরে
নিজের আয়ত্ব ছেড়ে দূর পাহাড়ে।



মাতাল
মিডনাইট একটা মদের বোতল হাতে
একেকটা সিগারেট যেন বন্দুকের গোলার মতো
আমি এক মধ্যরাতের বন্দুকবাজ। ধুমা উড়ানিই আমার কম্ম!
জানালাগুলো খুলে দিলাম
অথবা হাতে থাকা মদের বোতল ফিকা কাঁচ ভেঙে ফেললাম।
স্বাদ নিলাম উন্মুক্ত শিশিরের ; ছাদ দিয়া লাফায়ে বইসা
খাড়া হয়া যাই উন্মুক্ত শিশিরের উদম দেহে।
অনুভূতিতে জানালা ভাইঙা সবুজ ঘাসের
মাঠে কল্পনার অর্ধচন্দ্র হিসাবে
অন্ধকারে খেলা করে শাউয়ার বিরক্তিকর জোনাকি।
যেন সতেরজন তাগোর পুটকি মারছিলো
এবা কইরা জোনাকির হোগা টিপটিপ কইরা জ্বলে।
তারা টিপটিপ কইরা জ্বলতেছিলো মাঠে আমি
বিরক্তি নিয়া তাকায়া থাকি আর মনে মনে বলি,
পাইলে হাত দিয়া টিইপা মারুম শাউয়ার জোনাকি।
হঠাৎ দমকা বাতাস বইসা যাইতে থাকলে আমি
পোতায়া গেলাম দুই নাম্বার প্লাস্টিকের মতো।
যেন জোর করে কেড়ে নেয়া বাতাসের চাদর পাতা মাঠ
ঝড় হয়েছিলো গত পরশু
পীযূষ পান করে আসা বেহেশতি নমুনা।


কুকিল
কুকিল একটা উটকো পাখি, কুচকুচে কালো তারোপর কুকিল বড্ড কুটিল!
সে কাকের বাসায় ডিম পারে আর কাকের বাসায় তাঁর বংশ বিস্তার হয়।
অামরা কনভার্টেড কুকিলকে মানবরূপে আলআকসার সামনে অস্ত্র ধরতে দেখি
যারা নিজেদের বড় করে গড়ে তোলে কাকের বাসায় আর
বড় হবার পর দয়াময় কাকের সে কলজে ছিড়ে খায়।
কান্না করেছি আমিও
প্রতিক্ষারত আমি একদিন কেঁদেছিলাম বিষন্ন সন্ধ্যায়
নাহ আমার আর ভালো লাগে না পৃথিবী!
একটা বয়োস আসার পর আমার রুহ এর বৈচিত্র্যতা এসেছে
আমার কেন যেন মনে হয় পৃথিবীতে আসা আমার বৃথাই ছিলো!

No comments:

Post a Comment