Saturday, November 17, 2018

নফস (পাণ্ডুলিপি)

সজল আহমেদ এর কবিতা আর্কাইভ

প্রতারক তারা
একরাতে চাঁদ হয়ে জ্বলে যাও-অন্যরাতে হইয়া আসো প্রতারক তারা!
নির্বাক আমি দেখে শুধু চলি, কত রংবেরঙের তারা হয়ে জ্বলতে পারো অধরা!
প্রেমের পদ্য হয়ে যাচ্ছে বিষাদের নীল সিন্ধু!
তাঁহারা এক একে প্রশ্ন করছে,কষ্টের রং কেন নীল?
কেন নীল ব'ই হলো না সাতরঙা রংধনু?
কেন ভালোবাসা হয় বর্ণচোরা?
যে পাতে রাখো সেখানে সেইরূপে থাকে,
কেন কিছু ভালোবাসা অগোচরে থেকে যায়,থেকে যায় অধরা?
(৩১ জুলাই ২০১৭ইং)

মানবাধিকার
তোমরা আর আমারে মানবাধিকার শিখিওনা;
যেই মানবাধিকার আমার গালে কষাইয়া থাপ্পড় মেরে
তিনি সিদ্ধ হন মহাপুরুষে,
সেই মানবাধিকার আমার শিখতে হবে না।


পড়তে আমারে নিষেধ করা হয়
পড়তে আমারে নিষেধ করা হয় গলা চেপে ধরে,
জানতে দেওয়া হয় না এজিদের পরিসীমা হোসেনের দোহাই দিয়া
"কোথায় খোদার আরস?'' জানতে দেওয়া হয়না আমায় বেড়াজালে ঢেকে।
জেহাদ মানে কি? শত্রুর গলাকাটাতেই কি সীমাবদ্ধ সে?
জানতে দেওয়া হয়না আমার গলাকেটে।
ইতিহাসে সত্য কি? জানতে দেয় না আমারে।

রোবট
হারে শাউয়ার পরিস্থিতি-কপোলেরে গাইল খাওয়ায়।
যখন ধর্ম থাকবেনা।নৈতিকতা যাবে শাউয়ালদের চোদনে।
তখন পুঁজিপতিগণ হবে রোবট নির্ভর।
রোবটের সাথে প্রেম করবে,রোবটের সাথে যৌনসংগম করবে
আর গাইল পারবে "নিজের কপাল নিজে খাইলাম,হারায়ে গেলাম রোবটের রসকষহীন যৌনির গহ্বরে!''
তখন আর কাজ হবেনা।

পাথর
আগাছা আছি এই'ই ভালো।
আমি আগাছা হিসাবেই থাকতে চাই।
আমি কখনো কষ্ট পাইনা এইটাই আমার নিয়ম।
আমি হইলাম একটা পাথর বা গাছ!



দ্যা পলিটিকস অব বেঙ্গল
রাজনীতির ঐ গড়ের মাঠে মহিষে চোদে হাতি!
বাঙ্গালী চোদে বাঙ্গালীরে, হাসে ভিন্ন জাতী।
বাংগালী-পদ্যে গদ্যে দেশপ্রেমের নহর ছুটায়-
মতের ভিন্ন হইলে তাঁরা, ভাইরে ভাই কোপায়!
তাঁরা নাচে গান গায় ইবলিশের তালে,
গুল মারতে গিয়া নেতার ঠ্যাং ছোঁয়ায় কপালে!
তাঁরা মরে নিজেই নিজের দোষে;
দিবেনা সম্মান কাউরে নিতে চাও যদি আপোষে!


অলীক অসভ্য নগর
মাংসের ঘ্রাণ ঘোরানো রাস্তায় আর বিস্বাদ ;
তোমাকে নিয়ে চলছি তো চলছিই অজানা কোন এক জংলায়,
যেখানে জরে জীব খায়!
আর আমাদের তেষ্টা পেলে পান করতে হবে চুমুকে চুমুকে নোনাজল।
খিদে পেলে খেতে হবে গুল্ম।
আর গুল্ম খেতে খেতে স্বাদ ভোতা হয়ে গেলে-
আমার গা থেকে একটুকরো মাংস খুবলে খেয়ে নিও।তোমার জন্য করব এটুকু সেক্রিফাইস।
এখানে পৃথিবীর সব সভ্যতা থেমে গেছে,
থেমে গেছে সময়-থেমে গেছে প্রেম প্রীত, আত্মীয়তা বলতে শুধু আছে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকো।
করুণা অকরুণা কি সেখানের কেউ জানে না।
এক জাহাজেই নাবিক খুন করে খালাসিদের অকারণ!
এখানে প্রেম কি কেউ বোঝে না,
তুমি আমিই হয়তোবা ঘাসের সাথে জড়িয়ে থাকা শিশির বিন্দু কে প্রেম শিখাবো।
আর এরাই হবে এ নগরীর প্রথম প্রেমিক যুগল।
এ নগরীতে কোন বাড়িঘর নেই,
দলবেঁধে সবাই ঘুমিয়ে পরে শুকনা ঘাসের উপর।
সন্ধ্যে নেমে আসলে এখানে ভোর হয়-দলবেঁধে নেমে পরে খাদ্য সঞ্চয়ে।
দিব্যি ঘাস খেয়ে কাটিয়ে দেয় পিঁপড়ে ও পাখিরা,
শুকনা গাছের ডাল খায় জীব ধরে।
পাখিরা যে এলাকায় থাকে,
হলদে মাছির ছানারা সেথায়ই খেলা করে নেচে।
গুনগুন গান গায় ভ্রমরার দল-
বাঁশি বাজিয়ে চলে মশা বাহিনী ।
আর বাদুড়েরা দলে দলে যায় রক্ত স্নানে।
সঁচারিত করবো সভ্যতারে, এক বিন্দু নাপাকির সাথে জন্মাবো ভবিষ্যৎ সভ্যতারে।
যে এ নগরী পাহাড়া দেবে সভ্যতার ঝান্ডা নিয়ে।


কেড়ে নিয়া সে সুখে আছেন
আমি মরে যেতে চাই পৃথিবীর পরে,
খোদা যা দিলো আমারে
সব নিয়া তিনি আমারে নিঃস্ব করলেন।
এই গাত্র আর গাত্র ভর্তি আধা পঁচা রক্ত, গলা মাংস ছাড়া, আর আছে আমার সম্বল হিসাবে, দীর্ঘশ্বাস!
এই বুক জুড়িয়া তিনি মানিক দিছিলেন-একমাসে তাহাও নিয়া যে নিলেন,
আর রইলো কি মোর বাঁচার কোন সম্বল?
খোদা আর কি আছে বাঁচার মতন?
জড়ায়ে গায়ে বাঁইচা আছি দুঃখ নামের কম্বল।




ও মা!
সন্ধ্যার আকাশ ভারী মেঘে।বর্ষণ মূখর একটা সন্ধ্যা।জ্বরে কাঁপছি থরথর।মা হইলে পট্টি লাগাইতো,প্যারাসিটামল ঠাইসা ঢুকাইতেন মুখে।আফসুস তিনি গত হইছেন ৬ বছর পূর্বে!এই পৃথিবীর মাটিতে সে গইলা সার হইছেন,ফারিশতারা হয়ত তাহারে পাহাড়া দিচ্ছেন।কাফনের কাপড়ও হয়তো পঁচন ধরছে কব্বরে।এই সন্ধ্যায় মায়েরে ভাবি।জ্বর সে বেড়েই চলছে।



সোসাইটি ওয়ালা গণ
আমিও যে একজন মানুষ!
আমার ও একটা পেট আছে
আমার ও একটা সংসার আছে
আমার ও আছে কিছু স্বপ্ন,কিছু আকাঙ্খা আর দীইর্ঘকাল বাঁইচা থাকনের স্বাধ!
তোমরা সোসাইটি অলারা সোসাইটিতে আইন তৈয়ার কর-
আমার জায়গার উপরে তোমাগো সোসাইটির সমিতি গড়ো।
বাইছা আমার জায়গা'ই তোমাগো চুজ করতে হইবো কেননা-
তোমার পূর্বপুরুষরে তুমি ভুলতে পারোনা।
চাবুকের আঘাত খড়মের পারা আর নীলকরের নীলের যে অবৈধ রুধি তোমার শরীরে প্রতিটা শীরায় কীরা করে আছে,
সে তুমি ভুলে যেতে পারো না।
আমার যে রক্ত প্রতি ওয়াক্ত তুমি চুষে চুষে খাচ্ছো,
ওরূপ তোমার পূর্বপুরুষ খেয়েছে জোঁকের লাহান মোর পূর্বপুরুষরে।
তোমাদের এই সোসাইটি আমার জন্য নয়-
করবে না মোর কোন উপকার।
এই সোসাইটিও মোর রক্ত চুষে খায় গালি দেয় শালা চান্স নাই কোন গরীবের!
এই আমিরি সোসাইটিতে তোমরাই থাকো
পকেট ভরো-আর আমার জায়গায় খুটি পুতে বল "এই সম্পত্তি ছোটলোক নহে তোর''!


এষা মিলা ও হাবীবি-গুচ্ছ কবিতা
১নং
১.
হাবীবি আমার! হইয়া যাও তুমি খাজুরের ফুল।উঠানে দাঁড়িয়ে শীতের চাদড়ে নিজকে জড়াবো উফ কি ঠান্ডা!তোমারে দেখিবো আর প্রশ্নবানে জর্জরিত করে কইবো "ওগো এষামিলা তুমি শীতের সকালে এতো সুন্দর ক্যানো? কিভাবে হও? কার জন্য হইয়া ফুইটা থাকো কন্টক ভরা খাজুর গাছের মাথায়?'' আমার বকবাকানিতে তুমি মৃদু হাসবা আর টালমাটাল দুলবা শীতের ঠান্ডা বাতাসে।
২.
এষামিলা তোমারে আমি আহ্বান করতে থাকবো...তুমি শরমে শরমে শীতের ঠান্ডা শিশির চুমুকে পান করে আবার মুখ ঢেকে নিবে খাজুরের খোলে। খাজুরিয়াল তোমার যৌনি থেকে রস সংগ্রহ করবে।
৩.
আমরা গ্লাশ ভরে চুমুকে চুমুকে পান করব সে রস!বাদুড় আমাদের আগে হয়ত এসব চেখে দেখে।চেখে দেখে শালিক। তুমি তাকিয়ে ওয়াক দৃষ্টিতে,মানুষ্য শাবক আমার প্রেমিক সহ কি গিদার!কি গিদার!

২নং
এষামিলা!
কাল রাত থেকে আমিও স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম।সে স্বপ্ন নদীর মত বইতে বইতে চলে যায় অচেনা কোন এক মহাসাগর থেকে মহা জগতে!সেখানে তোমাকে পাই আমার পতি রূপে!তুমি কর্তৃত্ব গ্রহণ করে বোসে আছো সবুজ ঘাসে।
আর আমি উড়ে ছুটে চলি তোমার শাড়ির আঁচলে।আমার কোন কাজ নাই তোমার শরীরের গন্ধ শোঁকা ছাড়া।তুমি সেই মৃদু হাসি দাও।তোমার টোলপরা গাল নিয়ে আমি সেই স্বপ্নের মাঝেও হারিয়ে যাই আরাক স্বপ্নের গভীরে!


৩নং
আসসালামু আলাইকুম হাবীবি ও এষামিলা!তুমি গোলাপ হইয়া ফুটে আছো আমার ফুলের টবে।উঠন্ত যৌবনা গোলাপি গোলাপ।তোমার ঠোঁট হইয়া আছে গোলাপের পাপড়ি।তোমার নরম কাঁটায় আমার হাত বিঁধলেও,কেমন যেন সুখ অনুভূত হয়।আমি তোমারে কত সালাম দিই,নতজানু হই তোমার কাছে।তোমার কোন জবাব নাই।বার বার গোলাপের গায়ে লেপ্টে থাকতে দেখি তোমার সেই টোলপরা গালের হাসি!এষামিলা হাবীবি আমার তুমি ফুল হইয়াই থাকো।নিত্য পূজারী হিসাবে আমি সেই ফুল যত্ন নিবো।


৪নং
আজ থেকে চৌষট্টি বচ্ছর চৌষট্টি দিন পরেও এষামিলারে আমি দেখিব টোলপরা নবযৌবনা কোন এক নারীরূপে।হাসিতে যার কলকল কইরা মুক্তা ঝড়বে।গায়ে বেহেশতি হুরির সুভাস।ইন্দ্রানির লাহান দৃষ্টি।গোলাপের লাহান অধর।নিষ্পাপ সেই হাসি।আহা!কি প্রাণবন্ত সেই হাসি!সেই হাসিতে আমি আবার ফিরা যাবো আমার সেই ওঠন্ত যৌবনে।আমি দেবো ঝিনুকের হাসি।ঝুলেপরা চামড়া পাইবে হরমন।সে টানটান হবে।শাদা পাকা চুল সে আবার কাচা হবে।
প্রত্যেক যুবতী টোলপরা নারীদের মাঝে,আমি দেখতে পাবো তাঁরে!আহা!তাঁর যৌবন শেষ হবে না চৌষট্টি কুটি বছরেও!ভালোবাসার বা ভালো লাগার যে কোন বয়োস হয় না এষামিলা!

৫নং
ইয়া এষামিলা!
খবরের কাগজ খুলে কি দেখলে প্রেম আমার?
বৌয়ের বটির তলে দিলো স্বামী প্রাণ, ছাই মুখে আশার!
তুমি কেন করছো ইতস্তত বোধ?
প্রেম আমার!সব নদীতে বহেনা একই স্রোত।
তুমি তো আমারে ভালোবাসো তবে কেন ভয়?
কেন কুঁকড়ে যাচ্ছ সীমাহীন লজ্জায়?
এসব বাজে নারীর লজ্জা তো তোমার নয়!
তুমি তো একান্তই আমার নারী,
যাঁর কোলে মাথা রেখে আমি রাত কাটাই,তোমাতেই আমার ধ্যান,
সেইসব কালো মেঘের দিনে গাই বৃষ্টির গান।
এষামিলা!প্রেম আমার!
তুমি তো আমারে ভালোবাসা তবে কেন ভয়?
কেন কুঁকড়ে যাচ্ছ সীমাহীন লজ্জায়?
ঐসব বাজে নারীর জন্য লজ্জা করা কি তোমারে মানায়?


০৬নং
ঘুমাইতাছিলাম দিকচাঁদ,ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে ভাইসা আসলো হু হু এষামিলার গান।গানের মধ্যেই সে আমারে ডাকতাছিলো।তাঁর গায়ে জড়ানো শুভ্র মেঘ;খোপায় খোচা তারা।সে আমারে নিয়া যাইতে চাচ্ছে বকুলেরই দ্যাশে।
যেইখানে চাঁদ উঁকি দেয় বকুল গাছের মাথায়।আর তারারা খইসা পরে বকুল গাছের পাতায় জইমা ওঠা শিশির বিন্দুতে।
এষামিলা আমারে নিয়া উইড়া গেলো বকুল গাছের মাথায় সেইখানে বকুল ফুলের গন্ধ কিঞ্চিত বেহেশতি মেশক এর মতই।এষামিলা একটা বকুল ফুল হাতে নিলো।সেই ফুল থেইকা আশ্চর্য ভাবে জন্মাইলো বকুল ফল।
০৭নং
আকাশে মেঘেরা গালাগাল দেয়;চাঁদ ঢেকে নেমে আসে বৃষ্টি,
বাইরে তাকিয়ে আছি হঠাৎ দেখি নূরে সয়লাব আমার ঘর!
এসেছো এষামিলা?
চাঁদ ফেড়ে নেমো এসেছে আমার উঠোনো, টানা বর্ষণ সে থোড়াই কেয়ার করে না!
আমি তাকে পেয়ে ভুলে যাই ঘুমানোর কথা।আমার ঘুম যেন তার কপালের টিপ শুষে নিছে।
টোলপরা গালে সে হাসতেছিলেন চাঁদে হাসি!আমি সে হাসি ধরে রাখতে চাই পাত্রের মধ্যে।
বর্ষা হলে মাকে দেখি, পানি জমিয়ে রাখে বালতিতে।আমি সে বালতিটা আপাতত খুঁজি!


০৮নং

এষামিলার সাথে হজির হলাম মেঘেদের রাজ্যে।সেই রাজ্যে রাজা-রাণী নাই, নাই জনমানুষ। মেঘরা হলো প্রজা।এষামিলা এখানেও কর্তৃত্ব গ্রহণ করলো।সে হলো রাণী আমি রাজা।অন্য নিয়মে এখানে রাণী-রাজা হিসাব।
সে মেঘদের শাসন করতে লাগলো তাঁর নিজের খেয়ালে মেঘদের সাজাইয়া দিলো একেরপর এক!
আর আদেশ দিলো,জড়িয়ে থাকে যেন মেঘ যুগল।মেঘেরা বেশ উল্লাসিত বোঝা যায়!
নতুন রাণী পেয়ে মেঘেরা ঘাড় পেতে মেনে নেয় আদেশ। খুশিতে তাঁরা এক পশলা বাদল ঝড়িয়ে দিলো।আমি আর এষা মিলা ভিজি সে বাদলে।
আমি শুধু তাকিয়ে দেখছিলাম তাঁর কর্তৃত্ব খাটানি।
ভেজা বৃষ্টিতে তাঁর নারীত্ব ফুটে উঠলো,ফুটে উঠলো যৌবনের রেখা!
যতই সে কর্তৃত্ব খাটাক তার রূপে নেই কর্তৃত্ব নেই।তাঁরে লাগছিলো নেহাত ষোড়শী ভেজা বৃষ্টিতে।
আমি চাচ্ছি,মেঘেদের কর্তৃত্ব সে এখন আমার উপর খাটাক।


কই যাবো মাবুদ?
আল্লাহ্ তোমারে যে ভালোবাসি সেইটা তো তোমারে বুঝাইতে হবে না।তুমি মাবুদ ভালোই বুঝো।সাড়ে তিনহাত বানাইয়া আমারে দেও নানা পদের ভার!মাবুদ এই ছোট্ট শরীরে দুইটা হাত,এই হাত ভরা দায়িত্ব দিলা ভুলচুক তো কিছু হইতেই পারে।আমারে তুমি ত্রুটির চোখে যদি দেখতে থাকো, কই যাবো? আমি কই যাবো?
মাবুদ কত দায়িত্ব আমি পালন করতে যে চাই,পৃথিবী জোড়া বইসা আছে শয়তানের বাচ্চা!তাঁরে কেমনে দমাই?
সে আমার নফসেরে ধোঁকা দেয়,ত্রুটি ঢুকায়ে দেয় এই ছোট্ট শরীরে!মাবুদ নফসেরে বাঁচাও শয়তান থিকা।আমি তোমারে যে ভালোবাসি এইটা জানা তোমার।লাভ ইউ মাবুদ লাভ ইউ!



কোরআন
ইহা শুধুমাত্র এক গ্রন্থ নয় একটি জীবন বিধান,
প্রভূর পক্ষ হইতে অপার দান,
যাবতীয় সরল পথ প্রভূর বিধান
সব নিয়া লিখিত এই প্রভূর কোরআন;
ওগো কোরআন, তোমায় দেবো যথাযথ সম্মান,
যেহেতু তুমি প্রভূর পক্ষ হইতে আমাদের মেহমান।
তোমা হইতে শিখি,
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আল-আমিন
ইয়াসিনে তিন আলিফ টানে যথা সুর দিয়ে টালমাটাল উঠিয়া যাই সুরের সাগরে হয়ে যাই বিলীন,
সকল প্রশংসা তাহার, মালিক আমার! করায়ত্ত্ব যার আসমান-জমিন।
ক্বুলহু আল্লাহু আহাদ্,
বল তিনি আল্লাহ্ এক।
ইন্না আ ত'ঈনা কাল কাওসার,
নিশ্চই তিনি আপনাকে দান করেছেন কাওসার।

ও চাঁদরে
তোমাকে যত ছুঁইতে চাচ্ছি চাঁদ, ততবারই আমি ধোঁকা খেলাম!
এই মনে হয় তুমি কাছে মোর-এই মনে হয়, যেন কতদূর!
বর্ণচোরা চাঁদ! কত রঙঢঙে ওঠো রাতে আবার হারিয়ে যাও সকালের রোদে-
কেন চাঁদ থাকো না সকালের মান অভিমান ক্রোধে?
আমরা কি এমন চাঁদ চেয়েছিলাম?
যে শুধু থাকবে রাতের নীলকাব্যে?
তুমি চাঁদ সুযোগবাদী রাজনীতিজ্ঞের মত;একরাতে উঠে আবার তলিয়ে যাও দিনের সূর্যে!
পনেরোদিন খবর আছে তোমার আবার পনেরোদিন তলিয়ে থাকো নামকরা চোরদের মত!
মেঘের আড়ালে লুকাও;দাও বাঁকা হাসি হৃদয়ে যে কত ক্ষত
তোমাকে দেখানো বা গল্পকরার সময় কই?
তুমি চাঁদ বর্ণচোরা স্বভাবটা ছাড়ো।
এই মনে হয় তুমি কাছে মোর-এই মনে হয়, যেন কতদূরে!

ফাইজা চল বৃষ্টিতে ভেজো
ফাইজা।
বৃষ্টিতে ভিজি চল দুজন মিলে,
এই ঝুম বৃষ্টিতে চল ভিজি প্রসন্ন বিকেলে।ভিজবে তুমি বৃষ্টির জলে ভিজবে তোমার আঁচল,
ভিজে আঁচলে জড়িয়ে নেবে দেহ ;ভেঙে যাবে মেঘের পাচিল।
ভেঙে পাচিল মেঘ গড়িয়ে বৃষ্টি পরবে ঝুম-
ভিজে গায়ে লাগবে যে বেশ;অনবদ্য খোপায় বাঁধা চুল।
যদি বৃষ্টি থেমে যায়!
অকারণ যেন তোমার মন খারাপ না হয়।
মিকাইলের ঘুম ভাঙিয়ে করব অনুরোধ বৃষ্টি দিবে আরো-
খোদাতালার বৃষ্টি পরবে-ভিজতে যেন পারো।
যেমন ঝুম বৃষ্টি হয়েছিলো নূহ নবীজির কালে-
নূহ নবীজির জিগারি দোস্ত হয়ে করবো অনুরোধ, খোদাতালা বৃষ্টি দেবেন ভিজবে এই অপরাহ্নে।


দেশদ্রোহী
বাংগালী কবিগণ বলে,আমার দেশপ্রেম না থাকিলে আমি নাকি বাংগালী না।বাংগালী হইতে হলে,এই দ্যাশে থাকতে হলে আমারে কিছু নিয়মের মধ্য থিকা উঠতে হবে, আর মানতে হবে বেঁধে দেওয়া কতিপয় আইন!
ইহা না মানিলে নির্বাসিত করিবে আমায় অন্যকোথা!কিংবা দেশদ্রোহী বলে ঢুকায়ে দিবে চৌদ্দ শিকের কারাগারে।
অথচ নিজ দেশের চেয়েও আমার ভালো লাগে মোদীনা,নবীজির দ্যাশ।ভালো লাগে অ্যামাজনের বন,রোমানিয়ান নারী আর মিশরের মমি।তাতে যদি আমি দেশদ্রোহী হই তাহলে আমি তাই।
দেশপ্রেম নাই বলে দোষ করেছি যখন।আমি দেশদ্রোহী।আমারে শাস্তি দাও কোর্টমার্শালে।কেটে নাও জিহ্বা,উপরিয়া ফেলো মোর চোখ!যাতে এ চোখে ভালো না লাগে কিছু।অন্ধ হইয়া থাকিবো বাংলার মাটিতে।
তবে হ্যাঁ,পৈত্রিক ভিটেটুকুর দাবী ছাড়িব না।কেড়ে যদি নাও মোরে,কবর দিও বাপের ভিটারো উপরে।


রবীদার গোলাম
আমার নাকি লিখতে হবে রবীঠাকুরের হাতে!
জাতেওঠা নাপতেরা তাই বলে চলে।
স্বাধীন করেছে দেশ মোর স্বজাতী,এই সম্বলে?
আহা!রবী ঠাকুর!কি জাদুটোনা করে গেলে?
কবিতার ভাষায় তোমারে করিতে হবে সম্বল চামচিকাগণ ইহা বলে!
অথচ এরা জানিয়াও ধরে না জানার ভান,
তুমি সেই কবে, ইংরেজ সৃষ্ট প্রমিতে দিয়েছিলে লাথি,
ভেঙেছিলে নিয়ম কবিতার ছলে!কপটের দাঁত ভেঙেছিলে, ছিলো যে ক'পাটি।
সেই তোমাকেই সম্বল করে আজ আমাদের নিয়ম বেঁধে দিচ্ছে,কলিকাত্তার হারবাল এর দালাল, বাংলা অ্যাকাডেমি।
চাষাভূষা প্রমিত শিখেনি তাই তাঁরা জাতে ওঠেনি,
আফসুস করে বলে ওরা,সময় থাকতে কেন রবী শিখিনি!
দলিতদের নেই কোন চান্স সাহিত্য সাম্রাজ্যে,
যেহেতু বাস করছি যে রবীদার রাজ্যে!
আহা!চাষাভূষা বেচারাগণ!হইয়া যাও উড়ন্ত পাখি,
চলে যাও রবীদার কাছে-গিয়া বল;ওগো রবী দা মরার পরেও তোমার নিয়ম কেন বহাল তোমার নিয়মে কেন লিখি?
যদি জবাব না পাও-তবে রবীদাকে দিয়ে এসো অশ্লীল অশ্রাব্য গালি।
যে নিয়ম বেঁধেছে ওঁর চ্যালা
তাতে গালি তো ছিলোই কপোলে।
গালি দাও বেশি যাতে, ঠাকুরের পো মরার পরেও শান্তিতে না থাকতে পারে পরপারে পরবাসে।


বর্ধিত ঋন
আমারে মাগো জন্মায়েছো।
ক্লেশ করেছো,শ্লেষ করেতো ফেলে দাওনি!
এ ঋন শুধিব ক্যাবা?
ভাবি তা!
খোদা কিছু ঋন পয়দা করেন,সারাকাল গতর খাটিয়াও যাহা শোধ হয় না!
সৃষ্টির ঋন তন্মধ্যে একটা।
খোদার ঋনের পর,আস্তে আস্তে বড় হইবার জন্য বাঁধা পরি মায়ের ঋনে।
তারপরে ঋন জোটে বাপের।
ক্লেশ করে সারাকাল যিনি গড়েন আমারে।
আহা মানুষ আমি!
এত ঋনী হয়েও গর্বে নামেনা পাও ;লাগে যদি জমিনের ধুলি!
অথচ,জমিনের সন্নিকটে আমার আরাক ঋন!
এত ঋন নিয়াও পায়ের উপর ঠ্যাং তুলে বেশ কাটাই দিন।
আমি মানুষ!প্রকৃতই এই
শরমের ডর দেখাও আমারে?
শরমের পাত্র তো আমি নই।

~কালিদাস~
কবি কোথাও আমি দেখিনা তোমারে,
দেখিনা কোন নব পুস্তকে।দেখিনা তোমারে ইতাহাসের কোনায় কিঞ্চিতে।
তবুও তুমি ফড়িং রূপী হয়ে আছো কবি কালিদাস!
শালা মিথ্যের ফুলঝুড়ি! বেনামের কবি!ফড়ফড়ে ফড়িং রূপে হয়ে আছো কবি কালিদাস!
তুমি শালা আমার চে শ্রেষ্ঠ কবি?
বালটা!
আমিতো বিশ্বাস করিনা তোমার অস্তিত্বেই!
তাহলে?
আমার চে শ্রেষ্ঠ তুমি কিভাবে?
কালিদাস!
তোমারে যে পয়দা করেছে খোদ ইংরাজ উহা আমার জানা
ইতিহাসের বাপ হোথা দাঁড়িয়ে তোমার জন্মে শালা কলঙ্ক লেপে দেয়!
তুমি শালা মিথ্যার ভিত!আদতে তুমি শালা ছিলাই না!
তাহলে?
আমার চে তুমি শ্রেষ্ঠ কিভাবে?
তোমারচে গুনি নয়া কবিগণ
তাদের বেশি করি সম্মান-শালা তোমার চে।
তাহলে?
কিভাবে তুমি আমার চে শ্রেষ্ঠ হলে?
আমরা তো কবিতা লিখি ইউনিক টেক্সট এ,তাও মাঝেমাঝে খেয়ে ফেলে কম্পিউটার!
তুমি শালা এমন কি বাল?লিখেছিলে কোন কাগজে যা খায়নি কখনো উইপোকা?
উইপোকারা কি তোমার জিগারি দোস্ত নাকি?
শালা মিথ্যের ফুলঝুড়ি! বেনামের কবি!
ফড়ফড়ে ফড়িং রূপে হয়ে গেলো কবি কালিদাস!


রোড
হাঁসের ধোনের মত প্যাঁচানো রাস্তা -রন্ধে রন্ধে তার প্যাঁচ!
রাস্তা ভরা আদিখ্যেতা -একপাশে তার আলো ভরা আরাকপাশে সাঁঝ।
রাস্তা ভরা গর্ত আছে, আছে অনেক ভয়-
বাঁকা রাস্তায় যাইতে যাইতে করবা সব ভয়রে জয়।
গর্ত দেখে যাইতে থাকো পইরোনাকো গর্তে-
গর্তে যদি পরে যাও উঠাইবেনা কেউ উপরে।
আরো আছে নানান প্যারা গর্তে পরা জুড়ে-
ভুলে যাও কেন,হাতি যদি গর্তে পরে চামচিকায়ও চুদে!
ও তাঁরে চুদে চামচিকায় -নানান রকম ছলে,
আপন লোকেও পুটকি মারে আড়ালে আবডালে!
দূরে দাঁড়াই মিচকা শয়তান মজা মাইরা দেখে-
হোগা মাইরা বুকে ফুক দেয়;ভাসে প্রবঞ্চনার জলে।
ও হাতি তুমি গর্তে পরোনা, গর্ত দেখে হাটো
গন্তব্যে পৌঁছতে চাইলে একটু কাকা খাটো।


প্রেয়সি কি আমার কোরান পাঠ শোনে?
ইয়াসিন টান মারি চার আলিফে দেখি প্রেয়সির মুখ,
আহা!আমি তো হারিয়ে গেছি হামজার টানে!
প্রেয়সি কি গোপনে আমার কোরান পাঠ শোনে?
রেহালে কোরান মজীদ, বাহিরে প্রেয়সির প্রকাশ!
আস্তেধীরে পাল্টে গেছে কোরানের সুর-
প্রেয়সি কি বাইরে দাঁড়িয়ে শুনছে কোরান পাঠ?
কোরানের সুরে প্রেয়সির সাথে কি মোহিত হচ্ছে ঐ চাঁদ?
তথাপি ভোকালে অতি সুর আনি-আরো চার আলিফ পাঠ করি টেনে,
কে জানে প্রেয়সিরে মোর কোন আলিফের টান কাছে আনে!


বাপ
একজন বাপ এই কি চায়, তাঁর অসুখের রাত
ছেলে নাক টেনে দিব্যি ঘুমিয়ে রাত কাটাক?
অথচ পেকেছে ঘুম ছেলের বাবা আস্তে আর্তনাদ করে,
ঘুম যেন না ছোটে বাবজির তাঁর,
কি ঘুমান ঘুমাচ্ছে শান্তির আহারে!


বিরহে আল্লাহ জপি
বিরহ বিনে আল্লা খোঁজে কে?
যার রয়েছে বিরহ-সেই খোঁজে আল্লার অনুগ্রহ।
বিচ্ছেদ বিনা কে আল্লারে খোঁজে?
অথচ আল্লার কাছে মানুষের কত ঋন!
ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ কোলাব্যাঙ হয়ে লাফ দেয় তিন মাথা হয়ে।বলে "অাষাঢ়ে আল্লা চিনি না,শীতে পানি শুকায় কালবৈশাখে হয় ঝড় তখন মনে পরে আল্লার নাম"!
পার নাস্তিক কমুনিস্ট ও বিপদে বিরহে মনে মনে জপে "আল্লা আল্লা'' আর আল্লার কালাম।


সিফিলিস ও নিষ্পাপ
আল্লাহ তুমি তো জানো আমি কতটা সৎ বা অসৎ।যদিও বা একটু অহংবোধ জন্মায় কানে ঢেলে দিও শিসা।খোদা যে গোটা আমার তৈয়ার হয়েছে তুমি জানো,সে গোটা আমার কেন হলো আমি জানি না!আমি তো খোদা করিনায় জেনা, অবৈধভাবে কারো হাত আমি ধরিনায়!সামান্য যে, ভালোবেসে কারো হাত ধরব সে যোগ্যতাটুকুও আমার নাই!
তবে কেন খোদা ভয়ে আমি থাকি? হলো নাকি মোর সিফিলিস!খোদা তুমি তো জানো,সিফিলিস হলে খাজনার চে বাজনা বেশি!লোকে নিন্দে করে আমারে বলবে "করেছে এ পতিতা গমন! না হয় লুটেছে কোন যুবতীর সম্ভ্রম!''
অথচ,খোদা তুমি জানো আমি এসবের কিছু করিনি!হয়ত বদখত বান্দা তোমার পা পিছলে করেছে সামান্য ভুল।কিন্তু এতবড় পাপ সে করেনি।খোদা কর এর বিচার,বিনাদোষে যদি মোরে কেউ রবীন্দ্রনাথ বানায়!



মরন ও আমার খাট
মামা ডেকে বললেন সজল!
এইখাটে আমি ঘুমাই এইখাটেই আমার মরণ হবে।
এই খাটেই আমি লাশ হয়ে পরে থাকবো, রাতে যদি মরি তবে সারারাত!
এইখাট আমার,বিছানায় ছড়ানো আমার ঘ্রাণ, কনকন শব্দে হর্ন বাজানো সিলিং ও আমার,
তথাপি আমার মৃত খাট হইতে উৎখাত করে রাখিবে মাটির উপর।



অন্ধ হইয়া যাব সিদ্দিকুর!
অন্ধ হইয়া যাব সিদ্দিকুর!
চিন্তা করোনা তুমি সাথি পাবে গল্প করার।
তোমার যে দুচোখ নিলো পুলিশ,বেত্তমিসের দুচোখ উপরায়ে এনে না হয় লাগিয়ে দেবো!তুমি আলো দেখবে পৃথিবীর!
না হয় কাল থেকে নিজের সার্টিফিকেট পুলিশের হেফাজতে দেবো।তাঁরা রোজ সার্টিফিকেট পূজো করবে।দেবতার নাম দেবে সিদ্দিক।
যে বিদ্যের ঋন গছায়েছো মাথায়, চোখ দুটো খুলে রাখি পকেটে,না হয় কালা চশমায় গুঁজে দেবো।এ চোখে পাস এর সনদ দেখতে লজ্জা হয়!


কবি
কবিরা নিরপেক্ষ তো নয়ই,উপরন্তু তাঁরা ভিন্নমতরে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করে খোদায়ী দাবানলে।
তাঁরা গালি দেয়;গান গায় আর হেয় করে পুরো পৃথিবী।
অতএব
কবিদের তুমি নিরপেক্ষ ভাবো কোন আক্কেলে?
কে কবিদের সৎ বলে?
কবিরা কারো আপন নয়-তবে যদি কারো আপন হয় তবে পেলে দাগা কিঞ্চিত,হুল ফুটিয়ে দেয় ভিমরুলের ন্যায়।
তাইতো কবি অনেকের কাছে গালির নাম।
আমারে তুমি কবি বোলো না।

No comments:

Post a Comment