Monday, November 19, 2018

কাঁদতে থাকা নোটবই - ৩


ফিলিস্তিনের শিশু
মিন হা খলাক্ না ক্বুম
হে মাটি তোমার ভিতরে আজ ঘুম পড়ায়ে দিলাম ফিলিস্তিনের শিশু
ফাটে বোমা বুম বুম
সহিসালামত রাখো, রাখো সহিসালামত আমার আর বলার নাই কিছু!
যদি বলি
চলে গুলি
গুলি চলে
ছলেবলে
বিভিন্ন কৌশলে
কারণে
অকারণে
ছোড়া বিদ্ধ করে বুক
কথার চাবুক
চলে বিভিন্ন ইস্যুতে আসে যম
ফাটে বোমা বুমুবুম
তোমার মাঝে আজ
ফিলিস্তিনি এ শিশুরে পাড়ায়ে দিলাম ঘুম
হে মাটি
তুমি জানো কি?
যারা মরে শিশুকালে
আর পাখি ডাকা সকালে
তাঁরা জান্নাতে বসে খেলে
পানি, ফুল মাছের সাথে
এই জলপ্রপাতে
তুমি খুজে দ্যাখো নিয়ে দম
প্রতিটা ঢেউয়ে লেখা তাদের নাম
আর যারা শহীদ
মরে যাওয়া মানে ঈদ
ওরা বেঁচেবর্তে থাকে
গাজীদের অস্ত্রে
তন্ত্রে তন্ত্রে
সময় হুইসেল হয়ে।


২.
আমার পাখিটা কাঁদলো কেন?
আমি কখনো যাকে কাঁদতে দেখতে চাই না
আমি কখনো দেখতে চাই না দেখতে ও সোনামুখে জল গড়াক
নোনতা জলে মুখ কেন তাঁর থিতু?
তুমি তাঁকে বারবার কাঁদাও হে ঈশ্বর!
কেন?
কেন হে ঈশ্বর?
ঠিক কী কারণে?
এত মানুষ কাঁদে যে রোজ
তাতে কী তোমার হয় না?
কেন আমার পাখিটা কাঁদবে?
ঠিক কী কারণে?
জবাব দিবে
নাকি আরসে মো'আল্লার সথে করে দেবো আড়ি?
তোমার যদি জল দেখতে এতই মনেচায়
তোমার যদি এতই জাগে সখ
তোমার যদি এতই মনেচায় দেখবে জল
তাহলে রয়েছে বিশাল সমুদ্দুর!
এত এত জল তবুও তোমার
এত জল দেখার সখ?
ছিঃ ঈশ্বর ছিঃ!
জবাব চাই
আমার ছোট্ট পাখিটা কাঁদলো কেন?

৩.
আমি একটা আধা পঁচা গলা লাশ
পৃথিবী আমারে করে উপহাস!
কেন এই সাড়ে সাত মিলিয়নের দুনিয়ায়
বোকাদের কেউ আপন নয়?


৪.
আরশে বসা আল্লার কাছে;
আমার একটা আর্জি আছে।
কেন এত কাঁদি খোদা জানো?
পাখির অসুখ আমাকে দাও
পাখিটা আমার কাঁদেনা যেন কখনো!


৫.
দোআ
এখনো চোখে চোখে ভাসে পাখিটির আধো আধো ঘুম ভাঙা চোখ।
যদি আমি মরে যাই
আফসুস নাই
পাখিটির শান্তি হোক!



৬.
আর আমার কিছু হবে না
আমার আর
আর আমার
আমার আর
কিছু হবে না
একটা হৃদয়
একটা মানুষ
কতটা দুঃখ পেলে
কতটা পঁচে গেলে
মরে যেতে চায়
কত নিষ্পাপ মুখ
অতল গহ্বরে
অথবা শূণ্যে
কিংবা সমুদ্রে তলায়!
আর কত তকলিফ?
আর কত ব্যথা হৃদয়
গিললে
কতটা আঘাত দিলে
মানুষ
বোবা হয়ে যায়?
বলতে পারো?
বলবে আমারে?

৭.
আপনার মাথায় চিন্তা;
আপনার মাথায় বিড়ি।
বিড়ি চিন্তারে খায়না
বিড়ি আপনারে খায়।


৮.
ভাল্লাগেনা?
ভাল্লাগেনা?
যাও......
গিয়া মুড়িভাজা খাও.......
আমি এখন নিজের গাঙ্গে একলা মাঝি; ভাসাই দিছি নাও।
আমার এখন একলা চলার হইয়া গেছে অভ্যাস;
আমি এখন নিজের রাজ্যে কইরা বেড়াই ত্রাস!
ঐখানেতে আমিই পুলিশ; আমিই আবার ডাকাত
আমার কথায় উপুত হয় সব আমার কথায়ই কাত
আমার কথায় দিন হয়; আমার কথায়ই রাত।
আমি নিজের চক্রে নিজের মতো ঘুরি
নিজের লাগানো দাহ্য আগুনে নিজের মতো পুড়ি।
আমার এখন ভালো লাগেনা কাউরে
সাধারণ জন দেখলে আমায় পালায় দূরে দৌঁড়ে।
তোমরা যারা অসহ্য আজ চইলা বাবা যাও;
আমি এখন নিজের গাঙ্গে একলা মাঝি; ভাসাই দিছি নাও।

৯.
তুমি দূরে গেলে ভুলে যাই বাপের রাখা নাম;
ভালোবাসা মানে হলো বালছেড়া কাম।


১০.

প্রেয়সি কি আমার কোরান পাঠ শোনে?
ইয়াসিন টান মারি চার আলিফে দেখি প্রেয়সির মুখ,
আহা! আমি তো হারিয়ে গেছি হামজার টানে!
প্রেয়সি কি গোপনে আমার কোরান পাঠ শোনে?
রেহালে কোরান মজীদ, বাহিরে প্রেয়সির প্রকাশ!
আস্তেধীরে পাল্টে গেছে কোরানের সুর-
প্রেয়সি কি বাইরে দাঁড়িয়ে শুনছে কোরান পাঠ?
কোরানের সুরে প্রেয়সির সাথে কি মোহিত হচ্ছে ঐ চাঁদ?
তথাপি ভোকালে অতি সুর আনি-আরো চার আলিফ পাঠ করি টেনে,
কে জানে প্রেয়সিরে মোর কোন আলিফের টান কাছে আনে!

১১.
ও চিঠির কোন জবাব হবেনা
একটি নীরব গাছ বৃষ্টিতে ভিজে যায়
পাতার ফাঁদে জমে থাকে জল; খুলে যায় চোখ। কেউ হতাশ হয়না।
এত সুন্দর মাছরাঙাটা অথচ সে কাঁদতে জানেনা।
অত সুন্দর পাবদা মাছটা অথচ সে সাঁজতে জানেনা।
মাছরাঙা দেখে ভালো লাগে অথচ মানুষ্য তাঁর প্রেমে পরতে পারবেনা
ওঁর শরীর ভিন্ন অবয়বে চোখেরও ভিন্ন রেটিনা।
গাছ হতে ঝরে যায় ফুল - খোপা হতে খুলে যায় চুল;
যে জিনিসটি অতীব সুন্দর ওর প্রেমে পরা ভালো। পেতে চাওয়া ভুল।
প্রেমে পরে সাঁতরে গেলে বুকের গভীরে গিলে ফেলে হজম করতে জানে সমুদ্দুর
প্রেমের গভীরে গেলে মুখ পুড়ে দেয় রোদ্দুর।
সবই অতলে তলাতে গিয়ে জন্ম দেয় এক সুগভীর ইতিহাসের।
একটি সুনীল সমুদ্র যদি কৃষ্ণগহ্বরের গভীরে হারিয়ে যায়। আর ভিন্নভাবে জন্মায় পৃথিবী।
পাখি হয়ে গান গাইবে কর্কশ হাঁসেরা
ওখানে নিত্যনতুন জন্মাবে অন্যরকম ঘাসেরা
যদি শিশিরই না জমা হয় ঘাসে
তবে ঘাসেদের জন্মানোটাই বেহুদা।
(চলছে........)


১২.
অভিশাপ
তোমাকে দিলাম অভিশাপ; একদিন আমার মতো নিঃসঙ্গতা আর একাকীত্ববোধ যেন তোমারেও পেয়ে বসে।
হাসি যেন যাও ভুলে;
কান্নারা জোট যেন বাঁধে তোমার কপালে।
যেন তোমার পাশে কেউ আর না আসে।
না ধরে হাত ;
আমার মতো যেন কুড়ি বছর মনেহয় তোমার একেকটা রাত।
যেন একদিন তুমিও কাঁদো;
যেন তোমার চোখের নিচে কালি জমে
যেন কিরিচ দিয়ে কেউ কোপায় তোমার হৃৎপিণ্ড
যেন তোমার জীবনটা হয় লন্ডভন্ড।
যেন আপন বলতে কেউ না থাকে ধরাধামে।
 তুমি মারা গেলে যেন থাকে প্রথম প্রহর
আর সাথেই যেন শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি
যেন ও বৃষ্টিতে খাটিয়া সমেত ভিজে যাও তুমি।
লাশ যেন পঁচে যায়; বৃষ্টিতে ডুবে যেন যায় তোমার কবর।
কবরে যেন তোমার উপর আজাব বর্ষিত হয়;
তোমাকে দিচ্ছি অভিশাপ- আজবে গজবে যেন কাটে আখেরাত।
তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছি কষ্ট হচ্ছে।
বিগত বাইচাত্রামির কথা মনে পরে?
যখন প্রতিটা পাপের হিসাব নেয়া হবে,
ওগো তুমি যাবে কই, কই পালাবে?
২৩/০৭/২০১৮

No comments:

Post a Comment