Wednesday, November 7, 2018

কুর্সড বা গালাগালি (পর্ব - ৩)


বালছাল
আমি এক বালছাল উড়ে চলি বাতাসে
কাকের ডানা ধরে চলে যাই বৃন্দাবন
কুকিল হয়ে ডাকি বোসে গাছের মগডালে
রূপকথার রক্তচোষা দুষ্টু বাদুড় রূপে মুখে খাই মুখেই পায়ু।
কখনো বা বিশাল প্রেমিক আমি!
কৃষ্ণের বাঁশি ধরি, বাজায়ে রাধারে ডাকি।
আসো রাধা, বোসো পাশে; গোপন কিছু কথা আছে,
আসো বোসে পান করে যাও মধুর নহর থেকে ধাবিত মধু
আজলা ভরে মধু পান করো
যমুনার ঘাট যদিও না দিতে পারি
সামনে বহমান পায়রা নদী
পা ডুবাবো ছোট নৌকায় বোসে
পান করবো নদীগহ্বর থেকে কাদা মাখা সুপেয় জল!
রাক্ষুসে তেষ্টা শেষ হয়ে যাবে কথা দিল্যাম।


ডারউইন
ডারউইন ভেবেছিলো অত সুন্দর একটা পাবদা মাছের ঠ্যাঙ গজালো
কালো পাখা গজালো
তারপর বিহগ আকার ধরে
উড়তে উড়তে সে কুচকুচে কালো কাক হয়ে গ্যালো!
কাব্যিক উপমায় কী সুন্দর অকবি ডারউইন হয়ে গ্যালো “বায়োলজি বুক অব পোয়েট্রি”র এক মহা দাপুটে কবি!
আমি যদি যদি বলি, হুতুম প্যাঁচা একদিন অলুক্ষুণে ডাক ডাকতে গিয়ে রূপ নিলো প্রেমিকাদের
তবে গালি দিবে প্রেমিকারা, গালি দিবে তাবৎ নারীবাদী!
অথচ পাবদা মাছের সাথে এটা অন্যায় হোলো কিনা?
স্যরি জীববিজ্ঞান উপমা দিতে জানে না!


অ্যালন
একা একা ভালো থাকা হয়না আর আমার।
একা, খোলের অভ্যন্তরে ভালো থাকে না ঝিনুক দিনভর।
মুক্তোর পাহারারত একা ভালো কাটেনা সময়,
খোল ভরা একাকীত্বে শুকিয়ে জলের মাঝে তার একা থাকার ভয়;
তাই জমিত মুক্তোর সাথে বার বার কথা কয়।
খোলের গভীরে কত জমানো বেদনায়
শ্রেষ্ঠ সময় সমূহ, ভালো থাকার প্রয়াস চলে;
ঝিনুক কান্নায় ভেঙে পরে হায়!
পানি শুকালে – খোল পূণরায়,
শুকিয়ে সে যায় –
ভালো থাকা আর হয় না!
রিপ ঝিনুক রিপ!
একা থাকে চিল, মেঘের ওপারে ডানা ঝাপটায়।
বয়োস বেড়ে গেলে, একা একা বাঁচে না চিল সঙ্গীর অভাবে
আর প্রাপ্ত মৌলিক চাহিদা সমূহের হীণতায়!
অমন নাদুসনুদুস অর্গ্যানে খাদ্যের অভাবে মারা পরে সে।
ঠোঁট ভেঙে যায়,
পাখা খসে যায়,
পূণরায় গজানোর অপেক্ষায়
ক্রমশ সে মৃত হতে হতে
একদিন মরে যায়।
মাছের ফসিল বলে ভুল করে জাদুঘরে কোন
অ্যান্থ্রোপোজনিক চিল রেখে দ্যায়!
একা থাকা জিন্দিগিই ছিলো তাঁর ভুলের।


হে হে
“প্রেম স্বর্গের এক সুরা”
বলেছিলো যারা
পা তুলে মুখ বরাবর
আমি তাদের সেলুট জানাই!
কবর থেকে টেনে তোলো ওদের
আর প্রেম করার সুযোগ ও দাও তাদের
শালাগণস উঠানো পরে যদি প্রেম করে
বারবার মরে যায়,
প্রতিবারই জীবিত করো
আর প্রেমের সুযোগ দাও
শালারা বারবার মরে যাক
সুরার দাপটে
বারবার পাক স্বোয়াদ দুনিয়াভি দোজখের।

ব্রেসলেট
১.
লাল ; হাতে ফিতের মতোন জোঁক দাঁড়িয়ে আছে শীর দাঁড়া উঁচু করে-মেঘ ছুঁতে চায়!
বাল! হতাশার প্রলাপ বোকো না।
২.
স্টিলের ব্রেসলেট, হাতে জড়ানো শাদা মাখন ;
এক সুখানুভূতি অথবা ক্রোন্দনরোল অর্গাজম,
যেন বিছানায় সুখ পেয়ে শিৎকারে মোহিত প্রেমিকার ভ্যাজিনার খোয়াব।
৩.
শাদা ব্রেসলেট; ঝংকার মেরে উজ্জল আলো হাতের ফাঁক থেকে ঠোঁটের শীর্ষে এসে,
প্রেমিকার জিহ্বা আয়ত্ত্বে পেয়ে আমি হয়ে যাই এক সাকার।
লেহন করো।
৪.
নীল ব্রেসলেট; বুবস! আমি এক মহা চোদু।
প্রেমিকার স্তন যুগল উঁচু পাহাড়ের মতো খাড়া হয়ে নিচে নেমে যেতে থাকে,
চর্বচোষ্য উপভোগ্য স্তনে আমি স্কেটিং করি।
৫.
গোলাপী ব্রেসলেট; গরম জবজবে প্রোমোদক ভগর তীব্র
আভাসে সত্ত্বায় আমি হই ফাকার!
৬.
শাদা-লাল ব্রেসলেট, ব্লোজবের সান্নিধ্যে এসে গলে ক্ষয়ে পরে
যেতে থাকে ধ্বজ পুঁজিত স্পার্ম।
হা……..হ্…….. সোনার ব্রেসলেট আমার!
৭.
সাদা, লাল, গোলাপী, নীল, স্টিল ব্রেসলেট ;
ছিড়ে যাক ভ্যাজাইনার পর্দা
ইচ্ছে চলে আসুক ভিষম বিষে,
কাটুক দিন ঋতুবতী প্রেমিকার সংস্পর্শে
এসে ঠোঁট দুটো কমলার কোষ ভেবে খেয়ে ফেলা,
ঢোক গিলে খেয়ে ফেলা বাসী থুথু
যোনী তড়তড় করে ফুলে ওঠে মৃদু আঘাতে আঘাতে এক অশ্লীল কাজ শেষে!
নিজের শরীরে দলা থু মেরে কেড়ে নেয় প্রেয়সীর ওড়না
বেলুনসম স্তন-যুগল চেয়ে থাকে ভাটা মৎসের মতো খালের কিনার,
যেন মাটির বুকে খাড়া পাহাড়, জেগেছে
অপার কুতুব মিনার!

No comments:

Post a Comment