Wednesday, November 7, 2018

কুর্সড বা গালাগালি (পর্ব - ৪)



ঈমান
উঠে এসো সাম্রাজ্যের শীর্ষ শিখরে যেখানে
মিল্কিওয়ের জিলাপির প্যাচ থেমে গিয়ে
নক্ষত্ররে ধরে রেখেছে ডার্ক ম্যাটার।
অধিষ্ঠিত হও তোমার সিংহাসনে, বসো উচ্চাসনে।
আহ্বান করো আমারে মনে মনে,
ওগো সাম্রাজ্যের নারী!
তোমা হতে আমার দূরত্ব হাজার বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে!
দূরত্ব কমাতে আমরা সময়কে থামিয়ে দেবো।
তোমার সাথে আমার দেখা হয়নি
আত্মা আমাদের রেডিও সেন্সর
আত্মায় নির্ভর করে,
তোমাতে এনেছি আমি পূর্ণ ঈমান।


সত্ত্বায় যৌনতা
প্রেম এই সুরার গেলাশে আজ মিশে যেতে থাকো;
চষক-গণিকা নাটুয়ার নৃত্যে,
এক ফাঁকে কামাভাব ভর করে কামাশক্ত শরীরে;
সত্ত্বার চাহিদা শুধু সেক্স!
গণিকার পুলকিত ভ্যাজিনা ছেদ করে তড়তড়িয়ে ওঠা অর্গাজম
শিৎকারে ছিড়ে ফেলা যৌনি যবনিকা
একদলা থু মেরে, পিচ্ছিল পিথিবীর অভ্যান্তরে শিশ্ন ঢুকিয়ে,
করি মানব ভ্রুণের চালান।
প্রেম তড়তড়িয়ে চলে আসে দেহে
ক্ষয়িত অনুভূতি ঘর্মাক্ত গতরে।
রাতের ঘুম।
আসো হানা দাও ক্ষয়িত যুগল আঁখি পল্লবে,
মিশে যেতে থাকো শয়ন বিভোর পোট্রেয়েটে।
কি নিদারুণ পিথিবীর সুখ!
হাহ! গণিকার শিৎকার কানে বাজে,
দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতায় আমি জেনে গেছি-
অর্গাজম নয়, ভান করে মাগীগণ চেঁচামেচি করে!
জরায়ু বলতে গণিকার যা রয়েছে তা একদমই ছাড়ানো ফলের খোসা!

আমারে দিয়া কি হবে মধুসূদন?
আমারে দিয়া কী হবে মধুসূদন?
না একটা লাইন পদ্যে খাটি
না খাটি কারো আর্চনায়
খর্ব কায়া নিয়ে
না খাটি একটা বিশাল পোট্রেয়েটে।
আমারে দিয়া কী হবে মধুসূদন?
আমি কলমের লম্বা আগা না
কবির গভীর পঙক্তি না
না আমি শিল্পের “শ” জানি!
এক ইতর বিশেষ গামছা কাঁধে
ক্ষুদ্র পৃথিবীর খালি জায়গারে নিস্ফল আমি পূর্ণ করি।
আমারে দিয়া কী হবে মধুসূদন?

ধোঁয়া
ও সিগারেটের ধোঁয়ারে
এই তাবৎ পৃথিবীতে তোমারে ছাড়া
মনের কথা কমু আর কারে?
কে আর আছে আমার? হ। তুমিই আছো।
একটা দৃশ্যপট কল্পনা করো
আমি আর আমার প্রেমিকা হাইটা যাচ্ছি
একটা খোলা রাস্তায়
একঝাক কাক আকাশে উড়তেছে লাউডলি সাউন্ডে।


এ ম্যান বোকাচোদা
অবয়ব দেখে ভেবোনা প্রেমিকা এসে গ্যাছে বুঝি
জড়িয়ে ধরার পর আর কাজ হবে না,
দীর্ঘপথ হেটে আসতেও পারে প্রেমিকার মা!
প্রেমিকার পুলকিত কানন দেখে তড়তড় করে
শীরদাঁড়া খাড়া করে প্রবেশ করোনা
ওখানে কুম্ভকর্ণের মেলা তোমার আগে
বসাতে পারে অন্যকোন সাধু
শেষে হবে তুমি মহাচদু!
হুহ! নিজের রূহের প্রতি নিজেরই বিশ্বাস নাই
তুমি আইছো মিয়া প্রেমিকা নিয়া?
বোকাচোদা বোকাচোদা মহাবোকাচোদা!
ঘেণ্যা
খোদার দুনিয়া দোলে
বিষম চোটে
পৃথিবীতে যা ছিলো সুখ
পিঁপড়েরা খেয়েছে চেটে।
পৃথিবীর যেদিকে তাকাই
সব শূণ্য-শূণ্য লাগে!
পৃথিবী ভাগ হয়ে যা
যত পাওনাগণ্ডা সব
মিটিয়ে দেবো
মৃত্যুর ইশারায়
মিটে যাবে যাক!
হাতে ধাঁড়ালো ছোড়া
আইপ্যাডে নোটবুক
সুইসাইড নোট লিখি কুটকুট
পৃথিবীর বুকে যত
জমেছিলো শোক
যারা ছিলো পাওনাদার
মিটিয়ে দিও সব
যত আছে দুর্ভোগ
জীবনের গুষ্টিচুদি
ধরে গ্যালো ঘেণ্যা!
ছ্যাঃ ছ্যাঃ ছ্যাঃ!
প্রথমে ছুড়ি ঢোকাবো
নিষ্ঠুর হার্টে
পৃথিবীর যত তেতো
নোনতা দুঃখের স্বাদরে
এই শালা হার্ট নিয়েছে আগে
কেটে কেটে নিজেকে
সাতশ সত্তর টুকরা করার পরে
মস্তিষ্ক নিষ্ক্রিয় হবে
চোখ বন্ধ হবে
টিকটিক আওয়াজ
থেমে যাবে।
পরে থাকবে আমার লাশ
ঘরের মেঝেতে।
পিঁপড়েরা আমাকে
চেটেপুটে খাবে।
একখণ্ড মাংস বা
একফোটা রক্ত
আর অবশিষ্ট থাকবেনা
কবরের মাটিতে
দাফনের মতো!
জীবনের গুষ্টিচুদি
ধরে গ্যালো ঘেণ্যা!
ছ্যাঃ ছ্যাঃ ছ্যাঃ!


স্বমরন
আসো বুকে ডিনামাইট বেঁধে
ঝাপিয়ে পরি দাহ্য আগুনে;
বিস্ফোরিত হওয়ার আগে আগে
ভাবি আমাদের দুজনার অর্গান
ছিন্নভিন্ন হয়ে আলাদা
একটিমাত্র সত্ত্বায় পরিণত হবে।
খোদার পৃথিবীর সব নিয়ম
আমরা পাল্টায়ে, একটি শরীরে দুটো আত্মা সার্জারি করে ঢুকায়ে দেবো!
আমাদের শরীরেরা হবে – একই আত্মার দুটো শরীর।

মৃতআত্মা
মৃত আত্মা পরতে পরতে জীবনরে খুঁজে পায়
জীন জীবিত হয় আর মৃত্যু হয় কশেরুকায় মেঘমালার
বিলিয়ন বৎসর আগের মৃত আত্মারা সেই জীবিত হয়েছে কবে
নীল আকাশে তাদের অস্তিত্ব দেখা যায়!

তোমারে যে জানা হোলো না
।।১।।
এই যে রাত দীর্ঘ একটা পার করতেছি
নির্ঘুম, স্বপ্ন আর ধরা পরেনা চোখে; দীর্ঘ সময়েও
তুমি এই আসো সামনে আবার হারিয়ে যাও ইল্যুশনের অতল গহ্বরে!
ছুই ছুই পানিতে তোমারে মাছরূপে দেখি আবার লাফ দিয়ে কই যে হারিয়ে যাও ঘাসফড়িঙ!
পা গজিয়ে যায়!
।।২।।
আমি গুহার বাদুড় হয়ে বেঁচে আছি
রাত কে আমার সহ্য করতে হয় শরীরে গজানো পুঁজযুক্ত ফোঁড়ার মতো।
মস্তিষ্কে জমিত নিকোটিন
ও জ্বলন্ত সিগারেটে ধোয়ারে…. আসো তোমারে
তাক করে কামানের গোলার মতো রাতের কুয়াশারে ঘোলা করি।
।।৩।।
অনুগ্রহ করে তোমার যাপিত দীর্ঘকালের যবনিকা খোলো,
সামনে মহাকাল, পেনসিলে আঁকা স্কেচ। আর ছায়ার ওপাশে তোমার মুখ
আমি দেখতে চাই!
দেখতে চাই আমি!
আমার দীর্ঘশ্বাসের কারণ হয়োনা প্লিজ!
আমার একেকটা দীর্ঘশ্বাসের ওজন কত জানো তো?
।।৪।।
আশ্লেষ ঝরাপাতা শিশিরেরে জানে দীর্ঘ সময় পরেও;
দীর্ঘ সময় দূরে থেকেও তাঁরা কাছাকাছি হয়।
আফসোস আমরা দুজন দীর্ঘকাল একই ডালে বাসা বেঁধে ছিলাম
একটা মুহূর্তকাল ও দূরত্বে ছিলাম না যেমন একটা মানুষের কাছাকাছি হার্ট থাকে।
অথচ কস্মিনকালে ও একে অপরের মুখ দর্শন করলাম না, আত্মারে জানলাম না!


টাউটার
শ্লেষ ভরা কন্ঠে টাউটাররা বলে, সোনার বাঙলায় কাক তুলনায় কবি বেশি!
আমি টাউটাররে কথার প্যাচে একটা থাপ্পড় মাইরা কইলাম,
রাস্তায় বসা নেড়ী কুত্তাটাও একটা কবি।
তোমরা তাঁর কবিত্বসত্ত্বা দেখতে পাও না বইলা তোমরা কবিতার বাল ও বুঝো না।
শ্লেষভরা কন্ঠে টাউটার এগেইন কইলো, কাউয়া এখন কবি!
আমি তখন আমার কবিতারে জিগাইলাম “ও কবিতা, তুমিই কও আমি কাউয়া না কবি?”
আশ্চর্যভাবে আমার কবিতার জবান খুইলা গেলো জুনিয়র যিশুর মতো!
জুনিয়র যিশু সাদৃশ্য আমার কবিতা কইলো,
“হ হ হ ক লেখলেই কবিতা
কাউয়া কা কা করলেও কবিতা
কোনটা যে কবিতা আর কোনটা যে কবিতা না সেইটা আমি কবিতা নিজেই জানিনা!
অতএব তুমি কবি না কাউয়া সেইটা ডাউট করতে পারতেছি না!
তবে আমার ভাষায় তুমি কালা-শাদা কাউয়া।
যাও ডালে বইসা কা কা করগে।”
অবশেষে নিজের কাউয়া পরিচয় পাইয়া
আমি আমার কবিতার খাতা পুড়াইবার সিদ্ধান্ত নিলাম।
স্পষ্টত দেখা গ্যালো, টাউটাররা তাগো কালা দাঁত বাইর কইরা হাসতেছিলো!

No comments:

Post a Comment