Showing posts with label দীর্ঘ কবিতা. Show all posts
Showing posts with label দীর্ঘ কবিতা. Show all posts

সজল আহমেদ এর কবিতা: আব্দুল আজিজ

আব্দুল আজিজ

১.
আব্দুল আজীজ সাব!
আপনি এত কামালেন
টাকা,
তবুও
আপনার সম্পদের কোন হিস্যা হবে না!
আপনি হেঁটে যান, আমি উগ্র গন্ধ পাই!
আপনি এত টাকা দিয়ে কি করবেন?
প্লিজ পারফিউম কেনেন।
টাকা দিয়া কি বাবা ডাক শুনতে পরবেন?
আপনার একটি বাচ্চা।
জুন এ দশ বছরের হলো।
আপনার বাচ্চা। ও খেতে চায় না। ও কথা বলে না। ও মরে যায় না। ও মরতে চায় না।
ছোটবেলায় যখন ডাক্তার দেখাতে নিয়েছিলেন,
ডাক্তার বলেছিলেন, পাঁচ বছর পর আপনার বাচ্চা ঠিক হয়ে যাবে। আপনাকে ডাকবে আব্বা।
আজ
দশবছর
হয়ে গেলো
দামড়া পোলাটা
ও কিন্তু আপনাকে
একটিবারের তরেও
আব্বা ডাকলো না!
২.
আব্দুল আজীজ!
আপনি ওকে গলায় বেঁধে দিয়েছেন তাবীয।
আপনার
যেন ও কথা বলে, খায় আর হাটতে পারে। আর আপনাকে আব্বা ডাকে।
অমুক ফকিরের কারামতি ভরা তাবীয,
এ তাবীয গলায় দিলে পুরুষের গর্ভে ও সন্তান হয়ে যায়!
কিন্তু আজীজ কি লিখে এনেছেন আপনার কপালটায়
কে জানে!
আপনার বাচ্চাটা এ তাবীযেও মুখ খুলে না!
আব্দুল আজীজ সাব
আপনার বেঁধে দেয়া তাবীযে কোন কাজ করে না!
আপনার
সন্তানটি
আপনাকে
ডাকে না
বাপ!
৩.
ও অসুস্থ হয় কিন্তু মরে না
আপনি চান ও মরে যাক
বোঝাটা কমে যাক।
কিন্তু কি?
ও মরবেনা।
ও অসুস্থ হলে আপনিই ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যান
অথচ আব্দুল আজীজ!
বাচ্চাটা মরে যাক আপনি চান।
আজীজ আপনি থামুন!
তবে কেন ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যান?
আব্দুল আজীজ আপনি কিন্তু থামেন না!
আপনি থামবেন ও না! আপনার সন্তানটিকে বাঁচাতে হবে। আপনার আশা হয়তো বিশটি বছর পর;
ও আপনাকে আব্বা ডাকবে!
কিন্তু কী?
আব্দুল আজীজ সাব
আজ
দশবছর
হয়ে গেলো
দামড়া পোলাটা
ও কিন্তু আপনাকে
একটিবারের তরেও
ডাকলো না বাপ!
৪.
আপনি যতই বলুন এ সন্তানটির জন্য আপনার মায়া আছে, ভালোবাসা আছে। আমি জানি। নয়তো কবেই গলাটিপে ওকে মেরে ফেলতেন!
৫.
এরপর একদিন আপনার সন্তানটি অসুস্থ হলো; আপনি দেখতে পেলেন ওর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে খুব! চোখ দুটো উপরের দিকে রেখেছে কাউকে দেখার মতো। আর জিহ্বা বের করে তৃষ্ণার্ত বিড়ালের মতো।
আপনি কাঁদছেন আজীজ সাব?
আপনিও কাঁদেন? কাঁদতে আপনি জানেন?
আপনাকে কাঁদতে দেখলাম এই প্রথম!
আপনি কাঁদেন
কারণ আপনি জানেন
এই বাচ্চাটি আজ মারা যাবে!
আর আব্দুল আজীজ সাব
দশটি বছর একটা কুকুর পুষলে, ঐ কুকুরের প্রতি ও মায়া পরে যায়
আপনি ওরঁ প্রতি সকল গাফেলতি- অবহেলার কথা ভাবছেন;
আর আজীজ সাব এসব ভেবেই আপনি কাঁদছেন!
৬.
আপনি দেখতে পেলেন একসময় আর বাচ্চাটি নড়ছে না
আপনি জোড়ে জোড়ে কাঁদছেন!
কারণ ও মরে গেছে!
নিচ্ছে না কোন দীর্ঘশ্বাস
আঃ আজীজ আজ দশবছরে ওর আয়ু শেষ হয়ে গেলো
কিন্তু
আপনাকে
ভুলেও
ডাকলো না
আর
বাপ!
৭.
মানুষ কয় প্রকারের কুত্তারবাচ্চা হতে পারে, বাচ্চাটা মারা যাবার পরপরই আপনি বুঝলেন!
যারা বেঁচে থাকতে একটা দিন ও বাচ্চাটাকে দেখতে এলো না,
তাঁরা আপনার কাঁধে হাত দিয়ে বলে "ইস যদি একটিবার ডাক্তারখানা নিতেন তাহলে হয়তো বেঁচে যেতো!''
কেউ বলে "চিকিৎসার অভাবে বাকহীন ছিলো বাচ্চাটা!''
আবার কেউ কেউ চোখের জলে আপনার দাঁড়ি ভিজিয়ে দেয়!
আপনি শুধু দেখেন। অথচ কিছু বলতে পারেন না! কারণ মরে পরে থাকা বাচ্চাটা আপনার!
৮.
আজীজ সাব
আপনি এখন ভাবছেন,
ওকে জন্মানোই আপনার ছিলো মহাপাপ
কারণ
আজীজ সাব
এই দশটি বছর ও থেকে গেলেও
একটিবার
ডাকলোনা
আর বাপ!

সজল আহমেদ এর কবিতা: পৃথিবী

পৃথিবী

পৃথিবী একটা আবছা আলোর ভুল বুঝাবুঝির,
পৃথিবী একটা পিংক কালারের শাড়ির,
এবং বসতস্থল কিছু আবোগদা আনাড়ির!
পৃথিবী একটা স্কুল পালানো ছাত্রের বিড়িটানা
পৃথিবী একটা চুৎমারাণীর আচোদা ছলনা!
পৃথিবী একটা মদের বোতলে ১ ছিপি মদ
পৃথিবী একটা ভাড়া বাড়ির ৩ তলা ছাদ
একটা বিশাল খোলা আসমানে পূর্ণিমার বড় চাঁদ।
পৃথিবী একটি বেকার যুবকের কেচে না দেয়া ঘর্মাক্ত জামা,
পৃথিবী একটা সুন্দরী যুবতীর লাল কালারের পায়জামা!
পৃথিবী একটা মন্ত্রীর খুনের গোপন আস্তানা
পৃথিবী একটি ষোরশির মাসিকের ত্যানা।
পৃথিবী একটা বুর্জোয়ার দুনিয়াভি বেহেশতখানা
পৃথিবী একটা প্রলেতারিয়াতের অন্ন-নোঙরখানা।
পৃথিবী একটা চাহিদার ঘর
পৃথিবী একটা বাড়িঘর ভেঙে দেয়া আচমকা ঝড়।
পৃথিবী কাঁদে রোজ অনেক কাঁদা
পৃথিবীর পথে পথে মৃত্যুর ট্রাপ পাতা
পৃথিবী রোজ হাসে অনেক হাসা
পৃথিবী একটি কালো কৌতুক আর বানের জলে ভাসা।
পৃথিবী একটা সবুজ আবরণে রুকাইয়া রুখসানা।
পৃথিবী একটা ভূগোলবীদের ভূ-বিদ্যার কারসাজি
পৃথিবী এক জুয়ারী গোফীর, বৌ খোয়ানের বাজি!
পৃথিবী একটা আয়নাবাজের ছলছাতুরির চাল
পৃথিবী একটা মর্ষকামীর দাহ্য-দ্রোহী সমকাল।
পৃথিবী একটা পকেট মারের বাম হাতের চাতুরি;
পৃথিবী একটা প্যাকেটে প্যাচানো একপাতা মায়াবড়ি।
পৃথিবী একটা প্রেমিকার দেখা বড় বড় সব স্বপ্ন
পৃথিবী একটা কন্ডমে প্যাচানো পুরুষের দৃঢ় শিশ্ন!
পৃথিবী একটা গুন্ডা পিপুলের গৎবাঁধা ভন্ডামি
পৃথিবী একটা হিরুন্সির দিনভর মাতলামি!
পৃথিবী একটা পরমাণু বোমা দূর্বল রাষ্ট্র গ্রাস,
পৃথিবী মানে অহেতুক অযথা আম্রিকার বোমা ত্রাস!
পৃথিবী একজোড়া কাপলের রাতে মধুর স্বপ্ন বোনা
পৃথিবী মানে পোয়াতি নারীর গর্ভপাতের দিন গোণা।
পৃথিবী একটা বলিষ্ঠ হাতে শিশ্ন চেপে ধরা
মাস্টারবেট শেষে স্পার্ম, চেপে চেপে বের করা । পৃথিবী মানে একটি ছেলের সংসারের ভার নেয়া
পৃথিবী মানে টোকাই ছেলেটির থালা ভরা ভাত না পাওয়া।
পৃথিবী মানে প্রেমিকা হারানোর অব্যক্ত যন্ত্রণা
পৃথিবী মানে গার্মেন্টস কর্মী নিগার সুলতানা।
পৃথিবী মানে খুঁজে না পাওয়া সমস্ত ঘটনা
পৃথিবী হলো রঙ্গমঞ্চ বেশ্যার জীবাণুযুক্ত ভ্যাজাইনা!

সজল আহমেদ এর কবিতা: বয়োসের ভার

বয়োসের ভার


২৩ ই আগষ্ট ২০১৭ রবিবার
|
জানি আর ফেরা হবেনা, দু পা চলা হবে না ;
আয়নাতে মুখ দেখা হবে না।
যা হবার তা হয়ে গেছে, ইদ্রানির ঠোঁটের চুম্বন আর উপভোগ করা হবে না।
এক আকাশ অশ্রু যার তাঁর আর ইচ্ছে করে কাঁদতে হয় না এমনিতেই জল গড়ায়, মাটি ভিজে বৃষ্টির জলের মতো।
যা হবে, যা হয়েছে তা হওয়ার কথা ছিলো, ভেবে নীরবে আর কাঁদি না।
দুঃখ লাঘবের উপায় ও খুঁজি না।
কাঁটা আছে গোলাপে জেনেও গোলাপ ছিড়ে পকেটে পুরে, ভালো লাগা এক নারীর সামনে দাঁড়িয়ে ফুল তাঁকে দেয় সাহসী কোন এক যুবক।
সে যুবক জানে, প্রথম প্রস্তাবটা প্রত্যাখ্যান করে নারী। তবে সে ফুল পায়ে দলে যে ভুলটা করে নারী, সে ভুল তো পোষাবার নয়।
ফুল কে পায়ে দলে সে যেন পায়ে পিষছে পুরো প্রেমিকের হৃদয়!
তবুও সে যুবক আশা বাঁধে নিশ্চিত কোনকালে, ভালো লাগা মেয়েটা তাঁকে ডাক দিয়ে পাশে বসাবে।
যুবকের পকেটে গোঁজা ফুল, নিজহাতে বের করে বারবার চুমো খেয়ে, ছেলেটির মাথা নিয়ে নিয়ে বুকে জড়াবে ।
*********
আশা/
 প্রত্যেক নীড়হারা পাখির একই স্বপ্ন থাকে, সে ফিরে পাবে অচিরেই তাঁর হারানো বাসা,
খড়কুটো হয়ত এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রবে,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রওয়া খড়কুটো কে সে একত্র করে পূনঃরায় তাঁর নীড় সাজাবে।
 অথচ আমার সে আশা নেই এখন।
 মিথ্যা ভরসার নীড়বাঁধা ছেড়ে আজ আমি বুঝে গেছি, বুঝে গেছি এই বয়োসে সব গোলাপেই কাঁটা থাকে।
তোমাকে পাবার আশা ছিলো কোন এককালে, বয়োস পেরিয়ে গেলো তুমি এলে না
তাই শেষ বয়সে আর আহ্বান করি না! তুমি সুখে থেকো হাজারবার বলি আল্লারে।
***************
প্রেমিকা বা ঈশ্বরী/
তুমি ভুলে গেছো এই, যার অশ্রু আছে সে বোবা হলেও মনের অবস্থা প্রকাশ পায়।
অশ্রু শুধু দুঃখ প্রকাশের নয়, অশ্রু মনের কথা ও কয়!
শত ব্যথাতুর হয়েও যার গালি বের হয় না, চোখ প্রকাশ করে তাঁর অবস্থা!
হা হুতাশ করে মরে যাওয়ার দ্বারপ্রান্ত থেকে প্রেমিক কেঁদে বলে,
কি হবে কি হবে আর মুখ বুজে?
এত ব্যথা দাও! কলজে চিবিয়ে খাও! সহ্য করেছি সব আর করবনা!
মন! মানুষের সহ্যের সীমা হচ্ছে আত্মহত্যা বা খুন!
আত্মহুতি দেয়া প্রেমিকদের সমবেদনা!
যাঁরা চলমান ধর্মের গণ্ডি পেরিয়ে প্রেমকে ধর্ম বানালো আর প্রেমিকাকে ঈশ্বরী। ঈশ্বরীর বিচ্ছেদে কোন উপায় না দেখে আত্মহত্যাকেই শ্রেয় মনে করে বিসর্জন দিলো নিজেকে।
*********
বিপ্লব আমি যা বুঝি/
আমি বিপ্লব বলতে শুধু বিচ্ছেদের মাঝে বেঁচে থাকা প্রেমিক-প্রেমিকাকেই বুঝি। খাঁটি প্রেমিক সে যে, প্রেমিকার বিচ্ছেদে আত্মহনন করে। শ্রেণী সংগ্রাম বলতে শুধু অর্থ বংশের গণ্ডি পেরিয়ে চলমান প্রেমকেই বুঝি। আর সাহসী যুবক বলতে তাঁকেই বুঝি যে প্রেমকে সোসাইটির ভয়ে আড়ালে রাখে না।

*************
ভদ্র ছেলেটি আজ/
জানি আর ফেরা হবেনা, দু পা চলা হবে না ;
আয়নাতে মুখ দেখা হবে না।
অনিচ্ছুক বৃষ্টিতে ভিজতেও হবে না। রাগে অভিমানে গাল ফুলিয়ে থাকতেও হবে না! যা হওয়ার তা হয়ে গেছে ও নিয়ে আর ভাবি না।
তোমার জন্যই আজ ভদ্র ছেলেটার দেরী করে ঘরে ফেরা!
সর্বদা হাসিমুখে থাকা ছেলেটার চোখ লাল!
সিগারেট মুখে নিতে ভয় যাঁর আজ সে ঠোঁটের ফাঁকে সিগারেট ও রেখেছে,
বাঁ হাতে ধরা মদের বোতল!
**************
প্রতিবিম্ব/
তুমি বা তোমরা আর কত যুবকের বুকে তৈয়ার করতে চাও উল্কাপাতের ক্ষত?
আর কত ছেলে কাঁদতেই থাকবে অবিরত?
কেন এত কাঁদাও?
কাঁদিয়ে কি তবে সুখ পাও?
কেন হারাও, কখনো কখনো
আবার প্রতিবিম্ব হয়ে ধরা দাও?
************
অনুভূতি ভোতা হয়ে গ্যাছে/
২৫শে আগষ্ট ২০১৭
রাত ১২:৪৫
নীল আসমানের সাথে মেঘের যে বিচ্ছেদ ঘটে,
কোনকালে শুনেছো কি আসমান আচড়ে পরেছে মাটির উপর?
আমাকে মনে কর একটুকরো কাঠ বা লোহা, অনুভূতি ভোতা হয়ে গেছে, আহম্মক হয়েছি বারবার!
স্বাদ ও আর আগের মত নেই ; শার্শিতে নিজের অবয়ব দেখে চমকি না আর। একমুঠো খেতে পেয়ে বেঁচে আছি শুকরিয়া হাজার হাজার!
পৃথিবীটা এত বোকা! এত বোকা! যে সময়কে থামাতে জানে না,
তাই পৃথিবীর গতিতে বয়োসের গতি ঢের বাড়ছে কোন মতেই থামছেনা।
তবে ক্রমেই মন যৌবন কৃত্রিমতায় ফিরে যাচ্ছে,
নিরেট পুরোনো তোমাতে আর মন বেঁধে রাখতে পারছি না !
পৃথিবী ধীর হয়ে গেছে, আকর্ষন ও কমেছে তাঁর।
ক্রমশ আগাচ্ছে ধ্বংসলীলায় তবুও চেষ্টা ফিরে পেতে স্বরূপ।
সংগ্রাম করে অহরহ উল্কার সাথে, পৃথিবীর পানে কামুক দৃষ্টি উল্কার।
উল্কা একটা আস্ত উচ্ছৃঙ্খল!
চিন্তা-চেতনা তার এই, কখন সুযোগ পেয়ে করবে সে পৃথিবী কে আক্রমণ!
গাত্রে উল্কার সূর্যের দহন।
তাই এত বেগ নিয়ে এসে পৃথিবীর পরে তার সমস্ত জ্বালাপোড়ার শোধ হিসাবে ইয়া বড় ছেদা করে দ্যায়!
অথচ পৃথিবী সে ছেদা ক্রমশ নিজের উদ্যমে পুষিয়ে নেয়।
 আমিও নতুন পৃথিবীর স্বরূপ ফিরে; পাওয়ার মত সংগ্রাম করে, চলেছি কৃত্রিম ভালোবাসা পুঁজি করে।
সেখানে যদি বাঁধা হয়ে দাঁড়াও তুমি সে তোমার দুর্ভাগ্য!
আমি তোমাকে ছিদ্র করে নিছিদ্র সংগ্রামের পথে পা বাড়াবো!
নিজের মানসিকতার সাথে এক বিপ্লবের প্রচেষ্টা চলছে, চালাতেই থাকবো....
***************
নতুনত্ব-নতুন পৃথিবী গ্রহণ/
২৬শে আগষ্ট ২০১৭
শনিবার রাত ১২:৫০
ক্যানো মন কৃত্রিমতা ফিরে পাচ্ছে আমার, যদি প্রশ্ন করো ;
তবে জেনে রাখা শ্রেয় "মানুষ মাত্রই কৃত্রিমতা, প্রাকৃতিরে সে সাজায় বহুরূপ !''
মানুষের সৃষ্টিশীলতা যা ভাবো - তাও কৃত্রিমতারই স্বরূপ।
দাড়িতে পাক ধরবে হয়তোবা, শূণ্যকে আপন করার ছলে চলে যাবো মহাকাশে;
আকাশে বাতাসে এক সংঘর্ষ বাঁধিয়ে হেসে হেসে চলে যাব অন্য গ্যালাক্সিতে।
যাবো যেখানে তোমরা বা তুমি নেই ; যেখানে প্রেম হয় সবুজ ঘাসের সাথে নীহারিকার,
আর তাদের কভূ বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সইতে হয়না বারবার!
ভালোবাসা যেখানে প্রত্যহ সৃষ্টি হয় নতুন রূপে, নেই হাপিত্তেস বা প্রেমিকাকে না পাওয়ার অাফসোস,
আদীমতা বলতে শুধু ওখানে বয়োস!
আমাদের এই গ্যালাক্সি বেশ পুরানো হয়েছে, বয়োসের ভারে হয়তোবা একদিন দুমড়ে মুচড়ে যাবে;
ইষৎ ধাক্কায় এখানে আপাতত প্রেম দুমড়ে মুচড়ে যায়-
প্রেমিকার হৃদয় মোচড়ায় হারানোর কান্নায়!
আমি সেই হৃদয় মোচড়ানো প্রেমিকদের আহ্বান করি, চল আমার সাথে অন্য গ্যালাক্সি।
এখানে এই গৎবাঁধা শৃঙ্খলে থেকে, জ্বালানো সিগারেটের অ্যাশড্ হয়ে নিজেকে প্রেমিকার অ্যাস্ট্রেতে ফেলে লাভ কি?
ক্রমশই এই গ্যালাক্সির প্রেম বুড়ো হয়ে যায় যৌবন আর অর্থ ফুরোবার সাথে সাথে-
এখানে নীতিহীন মানুষেরা সাজে নীতির পাহাড় ;
তার চে চলো ঐ গ্যালাক্সিতে অভিনয় দেখতে হবে না আর।
আর জ্বলতে হবেনা তোমার সিগারেট হয়ে, অঙ্গুলি তুলে কেও বাঁধা দেবে না,
মনে হবে না পুড়ে পুড়ে তুমি ভস্ম হয়ে যাচ্ছ প্রেমিকার দাবানলে
,
ওখানে যে যার নিয়মে চলে।
যে বয়োসের ভারে প্রেমিকা করেছে ত্যাগ - সে বয়োসেই তুমি দিব্যি জমিয়ে প্রেম করতে পারবে সবুজ ঘাসের সাথে।
মনে হবে যেন কতকাল প্রেম চলেছিলো যেন দুজনার আহা প্রেম!
মন মসনদে সবুজ ঘাসেরে করো আহ্বান।
আকাশটা হবে লালশাদা মিশালো অভ্রে মোড়া, আর সবুজ গাছে থাকবে হলদে পাখির বসা।
সকলেই থাকবে একজোড়া।
মৃদু বাতাস আর জবা ফুল হবে সুগন্ধীর মূল হোতা
একটা প্যালেস থাকবে সেখানে।
সৌন্দর্যের মূল হবে সেখানে সবুজ ঘাসেরা।
ঘাসেদের সাথে তোমার মধুর প্রেম হবে, প্রেম!
মাঝে মাঝে দু-একটা আহাম্মক উলকা যদি এসে যায় তবে, তাঁকে পৃথিবীর দিকে পাঠাবো ঝেটিয়ে-
ওখানেই বিস্ফোরিত হোক, ওখানের মানুষেরা নীতিগত ভাবে আহাম্মক!

************
উপকার/
আজ এই কাক ভোরে আহ্লাদে আটখানা চায়েরকাপে ভাসতে দেখি সকালের সূর্য ; আর ভাবি, সূর্যরা কত বোকা প্রেমে পরে ধরা দেয় সকালের চায়ের কাপে!
যেমনটা আমি ধরা দিয়েছিলাম তোমার ফাঁদে,
তুমি এক চুমুকেই আমায় কিভাবে নিঃশেষ করে দিয়েছিলে!
সূর্যকে আমি "আমি হতে দেবো না'' তাই,
চায়ে ফুক দিয়ে সূর্যকে আমি গলঃধকরণ করে বিচ্ছেদ থেকে এ যাত্রায় রক্ষে করলাম।
****************
২৮শে আগষ্ট
সোমবার |রাত ২:০৮
এ যাত্রায় সূর্য বিচ্ছেদ হতে রক্ষা পেয়েছে বটে, তবুও সে কি কারণ পৃথিবী নামের প্রেমিকার চায়ের কাপে বারবার ধরা দিয়ে আত্মহুতি দ্যায় আহ!
তবে সূর্যকে সালাম!
আমার মতো হয়তো তাঁর প্রেমিকা হারানোর ভয় নেই, শত বিচ্ছেদে সে জ্বলছে জন্ম থেকেই।
সূর্যই হোক প্রেমিক যুগলের পুরোধাঃ।
প্রেমিক যুগল ভাবুক.....
******************
প্রশ্ন/
যা হারাবার তা হারিয়ে গিয়েছে, ওর প্রতি আফসোস করিনা।
আফসোস করা হলো মানুষের সবচে দুর্বলতা, আফসোস করতে করতে আমি নিজের চোখে মরতে দেখেছি বিষম খাওয়া কত প্রেমিক বারবার!
প্রেমিকাকে যদি ভুলে না যায় সে তবে, প্রেমিকার বিচ্ছেদ আর বয়োসের ভার, কোনটার ক্ষমতা রাখে সে সইবার?
পৃথিবীর প্রেমিকাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা....
কেন কলজে ছিড়ে খাও, কেন ব্যথা দাও? কেন ভেঙে ফ্যালো গড়ে ওঠা আশা-ভালোবাসা?
জবাব দাও! আজ না জবাব দিলে কেয়ামত তক দাবী!
****************
তোমাদের গন্তব্য/
ক্যানো বয়োস বাড়ার সাথে ত্যাগ করো প্রেমিক?
কেন বিনাদোষে দাও শত ধিক?
জানি আজ মুখ খুলবেনা!
তোমাদের প্রেম বয়োস বাড়ার সাথে সাথে ছিন্ন হতে শুরু করে,
আর গন্তব্য শেষ হয় খুব অল্প সময়ে।
তোমার ভালোবাসা বলতে শুধু ভাবো চাহিদা!
অামার যে প্রেমিকা - তাঁরে কামুক দৃষ্টিতে আমি দেখিনা।
আমার লজ্জা করে বড়!
অথচ তোমারা?
ভালোবাসা বলতে শুধু চাহিদাই বোঝো!
একরাতে শরীরকে এলিয়ে দাও...... ভালোবাসা হয়ে যায় লুটপাট!
*****************
ভালোবাসা নয় শুধু যৌনতা/
এইযে তোমরা যারা ভালোবাসা বলতে শুধু যৌনতা বোঝো, তাদের প্রতি আল্লার গজব নাজেল হোক!
পুড়ে ভস্ম হও বিদগ্ধ আগুনে।
মন তুমিও দগ্ধ হও আগুনে!
প্রপেলার ঘোরে স্রোতের সাথে তাল পাকিয়ে
আর হাওয়াই ঘুড্ডি তাল পাকায় বাতাসে-
একে অপরের কত ভাব!
তাদের রয়েছে কতশত স্মৃতি ;
কত ঘুড়ির সুতা কাটে হুতাশে; প্রপেলার ভেঙ্গে যায় খাড়া স্রোতে ;
তবুও প্রেম ভাঙেনা কভূ একে অপরের - কোন বিচ্ছেদ নেই একে অপরের!
আর তুমি?
কিঞ্চিৎ স্বার্থে টান পেয়েই আমাকে একা ফেলে ষ্টেশনে সেই পালিয়েই গেলে!
**************
গালি/
..... ভালোবাসা হয়ে যায় লুটপাট!
এইযে তোমরা যারা ভালোবাসা বলতে শুধু যৌনতা বোঝো, তাদের প্রতি আল্লার গজব নাজেল হোক!
পুড়ে ভস্ম হও বিদগ্ধ আগুনে।
মন তুমিও দগ্ধ হও আগুনে!
প্রপেলার ঘোরে স্রোতের সাথে তাল পাকিয়ে
আর হাওয়াই ঘুড্ডি তাল পাকায় বাতাসে-
একে অপরের কত ভাব!
তাদের রয়েছে কতশত স্মৃতি ;
কত ঘুড়ির সুতা কাটে হুতাশে; প্রপেলার ভেঙ্গে যায় খাড়া স্রোতে ;
তবুও প্রেম ভাঙেনা কভূ একে অপরের - কোন বিচ্ছেদ নেই একে অপরের!
আর তুমি?
কিঞ্চিৎ স্বার্থে টান পেয়েই আমাকে একা ফেলে ষ্টেশনে সেই পালিয়েই গেলে!
বয়োসের কাছে আমি মাথা নত করি!
******************
ভবিষ্যত ভরসা/
১৪ই সেপ্টেম্বর ২০১৭
যেমন পৌষের শেষে উলঙ্গ তরুর মাথায় জীবিত থাকে ভবিষ্যৎ
তদ্রুপ আমার মাঝে জাগ্রত রয়েছে কিঞ্চিৎ,
বয়োসের ভারে হয়তো বুড়িয়ে গিয়েছে আমার অঙ্গ
তদুপরি সঞ্চারিত রয়েছে আশা আমার হিয়ায়-
ভালোবাসা না হয় নাই পেলাম; আমার যে বীজ স্মৃতিরূপে রয়ে যাবে বসুধায়;
তাঁরা যেন বারবার প্রতিশোধ নেয় তোমার পাপের, আমি তো পারবনা বয়োসের ভারে আমি অসহায়!
তুমি বড় পাপ করেছো!
সারাটা জীবন একই স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রেখেছো।
আমার যৌবন-জীবন ফুরিয়ে গেলো তোমার প্রতারনায়।
*******************
ধোঁকাবাজি/
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
বহুরূপী পৃথিবীতে দেখেছি, তাঁরা মাছের মতো মন নিয়ে কথা বলা শেষে,
ধোঁকাবাজি করে হিংস্র পশুর ন্যায়,
শেষ দেখায় প্রেমিকের হৃদয় তাঁরা খুবলে নিয়ে পালায়!
তাঁরা আচরণ করে যেন সাক্ষাৎ দেবীরূপে পৃথিবীর বুকে ; এসেছে সয়ম্ভর সভায়-
অথচ শেষ আচরণটা তাদের এমন হয়,
যেন সাক্ষাৎ কোন এক পশু দেবীর ছলে খুন করে যায় কলজে নিয়ে চিবিয়ে খায়!
****************
নিবেদন/
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭
আর যে ছেলেটার মন ভেঙে যায়
তাদের কে করি নিবেদন
পৃথিবীর মাটি সড়িয়ে তুমি উঠে দাঁড়াও
আর অশ্রুকে করো আহ্বান.......
কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল শুকিয়ে ফ্যালো,
শালার জল না থাকলে আসবে কোত্থেকে?
কেঁদেকেটে করো একাকার - জলে যেন হয় সমুদ্দুর ;
আর জলের তলায় থাকা কাদার প্রলেপে যারা প্রেম নেশায় মত্ত আছে তাদের ফিরে যেন আসে হুশ।
এই প্রচারে নেমে প্রতিনিধি রূপে;
যাঁরা প্রেম করো পৃথিবীর মানুষ কিংবা জর-জীব;
লাথি মেরে ইলুসন হটাও, প্রেম বড়ো আজীব!
প্রেম তোমাকে অনুভূতি ভোতা করে দেবে;
রোবট হিসাবে থাকতে হবে প্রেমিকার হাতে।
বয়োস বাড়ার সাথে ক্রমশ প্রেম হয়ে ওঠে এক পাগলের প্রলাপ।
**********************
নালিশ/
১৬/৯/১৭
যদি আঁখি পল্লবে দ্যাখো মেঘ তবে
হাতড়ে সড়াও আর বন্দনা করো নতুন দিনে-
স্বাগত করো তাদের যারা আসবে
তোমার হৃদয়ে কোনে কোন বিচ্ছেদ না নিয়ে।
আর তাঁরা সবুজ ঘাসের সাথে প্রেম করবে চুপি;
ধরবে চেপে বিশ্বাসঘাতক-বেঈমানদের টুটি।
বেঈমান যাঁরা তাদের জগৎ একদম কেয়ার করে না,
এ জগৎকে তুমি নালিশ করো, যেন কেউ বেঈমানী করে পার পায় না।
*******************
কাপুরুষ - বোকা /
১৬/৯/১৭
তোমরা যারা নতুন প্রিয়ার নতুন চাহনিতে ভুললে,
আহা ভাই কাঁটাভরা পথে তুমি কই চললে?
একজোড়া দুটি প্রাণ এক হয়ে ছিলে
বলো বিপদে কী প্রাণ সখিরে কাছে তুমি পেলে?
তারপরেও এত দরদ! এত প্রেম! এত উতলায়?
কেন বেঈমান প্রিয়ার তরে এত তন্ময়?
কেন প্রিয়ার শত অপরাধ ক্ষমা করে দিচ্ছ,
কাপুরুষ তুমি!
***************
বৃষ্টিরে বলি/
১৯/০৯/১৭ ইং
হে মেঘ তুমি বিদায় নিয়ে যাও;
বৃষ্টি তো তাদের দরকার যাদের নাই লাজ-
এত ধোকা খেয়েও যারা প্রেমিকার সাথে ভিজতে ভালোবাসে ঝুম বৃষ্টিতে।
আমার প্রোয়োজন নেই ঝুম বৃষ্টির;
তুমি চলে যাও নির্লজ্জ ঐ প্রেমিক-প্রেমিকার ঘরে।
ওরা ঝুম বৃষ্টি খোঁজে আর কোলা ব্যাঙের মতো আষাঢ়ের বৃষ্টিতে মত্ত হয় যৌনতায়।
এই বয়োসের শেষে - প্রেমিকাও নেই; যৌনশক্তি ও নেই। তাহলে তোমাকে দরকার কিসে?
************
শেষোক্ত/
১৯/৯/১৭|রাত ৩:৫৬
এতদিন এই ছিলে, যতবার মনে করেছি
একাকী মাছের মতো কাঁদার পরে জল লুকিয়েছি।
সেই যে কবে চলে গেলে,
ভুলেও কী মনে করেছিলে?
"কে আমি? কই আছি?'' ইত্যাদি ভেবে-
চিন্তায় ভ্রু কুঁচকেছিলে?
কিংবা কোন স্টেশনে কী নিয়েছো খোঁজ?
অথচ তোমাকে ভেবে স্টেশনেই কেঁদেছি রোজ!
ভালোবাসারে যারা পবিত্র বলে,
আমি তাদের জন্য আফসোস করি!
এই ভালোবাসার তরে কান্না লুকিয়ে থাকে কত আনাড়ির!
তবুও এ প্রেম জগতে বেঁচে রয়েছে শুধু ধন সম্পদ আর দেহের চাহিদা বলে
যে প্রেম প্রেমিককে কাঁদায়,
প্রেম আমি ঘৃণকরি ঘৃণা করি!



সজল আহমেদ এর কবিতা: রিভেঞ্জ

রিভেঞ্জ


।।এক।।
দুঃখ পেলে সবাই
কাঁদতে জানে না
কারো কারো
হৃদয় ভেঙে যায়
কাচের টুকরার মত
অথচ চোখে
জল গড়ায় না!
যারা কাঁদতে জানে না
তাদের দুঃখটা
 কত গভীর
একমাত্র পরমেরই জানা!
আমি এতটুকু দেহে
এত কম বয়োসে
এত অপমান
এত বিরহ
এত অসম্মান,
ক্যামন করে সহ্য করেছি
ভেবে নিজেকে নিজেই
সেলুট করে
বলি "বস মারহাবা'' !
তবে হ্যাঁ, তোমার
সকল দুর্ব্যবহারে
হৃদয় ভাঙে আর
 চোখ ভারী করে!
অপমান, অবজ্ঞা, অানাদর
 আর বিরক্তিবোধ
  থলিতে জমা হতে থাকে।
চোখ বারেবার ইশারায়
বলে দ্যায়, আর কত
অবহেলা, তকলিফ
বাকি রয়েছে?

।।দুই।।
ইনশাল্লা
একদিন ফিরিয়ে দেবো
 সব জমিত অপমান!
তুমি শুধু তাকিয়েই থাকবে
 যেরকম আমি
তোমার দিকে
তাকিয়ে থাকতাম।
মুখের ওপর সব
 "না" বলে দেওয়া,
হাত ধরতে না দেয়া
পাশে বসতে না দেয়া
আমাকে বারবার খোটা দেয়া
আমাকে বোকা ভাবা
প্রতিটা গালি
একেক করে
আশ্লেষে আমাকে
ধ্বংশ করে দেয়া!
টিস্যুতে হাত, নাক মুছে
 মুখে ছুড়ে দিয়ে
সবকিছুর শোধ নেবো
ইনশাল্লা একদিন!
তোমার মুখে কোন
কথা সড়বে না
কারণ নিজেই খাল কেটে
তুমি কুমির এনেছিলে!
ভাবতেও তোমার কষ্ট হবে যে,
"আমি এতটা খারাপ হতে পারি!''

।।তিন।।
ইনশাল্লা
তুমি মরে ভূত হলে,
তোমার মৃতদেহতে
লাথিও দেবো না
আমার দামী জুতো
ফকিরনি একদম
সহ্য করে না!
 জানাজা তো দূরে থাক
 আমি তোমার লাশটা কে
দূর হতে
 দেখতেও যাবো না!
খাটিয়ায় তুমি
অপমানবোধ
 হতে থাকবে।
এমন ভান করে থাকবো
যেন তোমাকে আর
চিনি না আমি।
কোন কালেই
আমরা পরিচিত
ছিলাম না যেন।
আমার ঘৃণা হবে ছিঃ!
পূর্বের সব বিরহ
মনে পরে যাবে;
কবরে একদলা
 থুও ফেলবো না।
জানো তো
আমি যেখানে-সেখানে
থুঃ ফেলি না।
সুযোগ পেলে
তোমার নাপাক খাটিয়ায়
আগুন জ্বালিয়ে দেবো!

।।চার।।
ইনশাল্লা
তুমি মরে যাওয়ার
 একদশক পর একদিন
কবরে বড় ঘাস গজাবে,
তোমার কবরের
 যত্ন নিচ্ছে না যেন কেউ,
নিশ্চিহ্ন প্রায়
কবরের উঁচু প্রস্তর।
মরিচাধরা সাইনবোর্ডে শুধু
তোমার অস্পষ্ট
 নাম সাদা
রঙে লেখা।
আমাকে তুমি
আসতে দেখবে
তোমাকে আমি
দেখবো না।
হয়তো ভাববে
তোমার কবর
জিয়ারতে এসেছি।
তুমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে
হয়তোবা ভাববে আমার
দোআয় তোমার শাস্তি
কিঞ্চিত লঘু হতে পারে।
অামি হাসবো রহস্যের হাসি
তোমার কবরের মাটি
ভেঙে যেতে দেখে।
আমি কবরের পাশে দাঁড়াবো
জিয়ারতের ভান করে
জিপারটা আস্তে টেনে খুলে
কবরের পাশে ঘুরে ঘুরে
কবরের গায়ে মুতে
 লেপ্টে আসবো
 গৎবাঁধা শ্লেষ।

।।পাঁচ।।
তুমি দেখবে
অথচ কিচ্ছুটি
 বলার শক্তি
 নেই তোমার!
দুনিয়াতে তোমার কথা
কেউ শোনে না
এখন আর।
এমনকি তোমার
কবরের ফেরেশতারা ও না!
মনে রেখো, আমাকে
 ইগনোর করেছো বলে
 কবরেও তোমার শান্তিতে
 থাকা হবে না!
হা হা হা!




রিভেঞ্জ-২


একদিন আমাকে করা
সব অপমান
পুঙ্খানুপুঙ্খ ফিরিয়ে দেবো!
পেটে লাথি মারা
গায়ে হাত তোলা
আমাকে ছোট করা
আমাকে নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ
টুটি চেপে ধরা
আর প্রতিটা গালি
যেভাবে আমাকে দিয়েছিলে
 ঠিক তার দ্বিগুণ
বুঝিয়ে দেবো কড়ায়গণ্ডায়!
তোমরা কাঠগড়ায়
 থাকা আসামী হবে
সেদিন আমি লয়ার
আমিই ধর্মাবতার;
তোমরা শুধু তাকিয়ে থাকবে,
হা করার ও শক্তিটা থাকবে না।
 মনে রেখো!
আমি তোমাদের
আশির্বাদ করলেও
তোমাদের মনে হবে
গালি দিচ্ছি!
কেননা তোমাদের পূর্বের
পাপ তোমাদের পীড়া দেবে।
তোমরা আষাঢ়ের গাছ
আমি গ্রীষ্মের প্রখর তাপদাহ
 একদিন শুকিয়ে যাবে
গ্রীষ্মের প্রখর তাপে!
জানি তো একদিন
 তুমি ফিরে আসবা;
অথচ আমি এমন
ভাব ধরবো যেন,
তোমারে আর চিনিই না!
আমি অন্যদিকে তাকিয়ে
 সিগারেট ফুকতে ফুকতে
 বলবো,
"যান বিজি আছি
আন্টি পরে আসুন!''





রিভেঞ্জ-৩

একদিন আমার ও সময় আসবে
আমিও অনেকটা বড় হব!
তোমার কল্পনার অনেকটা বাইরে!
তোমার অহংকারের চে আমার একটা কথার ওজন হবে সাতমন বেশি ভারী তুমি সহ্য করতে পারবে না!
প্রিয়তমা তুমি আমার কথার ওজনে মাটিতে মিশে যাবে।
আমিও তোমার ফোন দেখে রিসিভারে ৩ বারে হাত নেবো না।
তোমার বার্তা খুলেও দেখবো না।
তোমাকে পাশে বসতে দেবো না
জড়িয়ে ধরে ভালোবাসতে দেবো না!
তুমি কাঁদবে আর আমি তাকিয়ে দেখবো।
তুমি টিস্যু চাইবে নাকের চোখের পানি মুছতে
আমার দামী টিস্যুতে তোমারে হাত ছোঁয়াতে দেবো না।
আমি একটা গাছ। মনেকর।
ছোট থাকে গাছ দেখোইতো
ডালপালা গজায়, মস্তবড় শীর সুউচ্চে তুলে মেঘরে চ্যালেঞ্জ করে বসে
উপরের মেঘ ঈর্ষান্বিত হয়,
 যুদ্ধের দামামা বাজায়
বজ্রপাত নিক্ষেপিত হয় মেঘের পাচিল থেকে গাছের মস্তকে!
বজ্রের আঘাতে গাছ মরে যায়
শিকড়ে গজায় তাঁর সুউচ্চে মাথা
তোলার স্বপ্ন।
শিকড় থেকে গাছের ভবিষ্যৎ সুউচ্চে মাথা তোলে, পূণরায় চ্যালেঞ্জ করে মেঘ মালারে।
একদিন আমার ও সময় আসবে
আমিও বড় হব!
তোমার বাড়ির ছোট রাস্তায়
আমারে দেখবা স্বর্নে মোড়া গাড়ি
নিয়ে প্যাঁপোঁ হর্ণ বাজাচ্ছি
কানে তালা লেগে যাবে তোমার পরিবারের।
আর তোমার বাবার কালো কুচকুচে দুটো হাত আমি স্বর্ন দিয়ে মুড়িয়ে দেবো!
একটা বান্ডিলের সব টাকা তোমার বাবার মুখে ছুড়ে দিয়ে বলবো "নে ফকিরনির বাচ্চা এইবার এইসব দিয়া মুড়ি ভেজে তোর মেয়ে কে নিয়া খা যাহ!''