আব্দুল আজীজ
- সজল আহমেদ
১.
আব্দুল আজীজ সাব!
আপনি এত কামালেন
টাকা,
তবুও
আপনার সম্পদের কোন হিস্যা হবে না!
আপনি হেঁটে যান, আমি উগ্র গন্ধ পাই!
আপনি এত টাকা দিয়ে কি করবেন?
প্লিজ পারফিউম কেনেন।
টাকা দিয়া কি বাবা ডাক শুনতে পরবেন?
আপনার একটি বাচ্চা।
জুন এ দশ বছরের হলো।
আপনার বাচ্চা। ও খেতে চায় না। ও কথা বলে না। ও মরে যায় না। ও মরতে চায় না।
ছোটবেলায় যখন ডাক্তার দেখাতে নিয়েছিলেন,
ডাক্তার বলেছিলেন, পাঁচ বছর পর আপনার বাচ্চা ঠিক হয়ে যাবে। আপনাকে ডাকবে আব্বা।
আজ
দশবছর
হয়ে গেলো
দামড়া পোলাটা
ও কিন্তু আপনাকে
একটিবারের তরেও
আব্বা ডাকলো না!
২.
আব্দুল আজীজ!
আপনি ওকে গলায় বেঁধে দিয়েছেন তাবীয।
আপনার
যেন ও কথা বলে, খায় আর হাটতে পারে। আর আপনাকে আব্বা ডাকে।
অমুক ফকিরের কারামতি ভরা তাবীয,
এ তাবীয গলায় দিলে পুরুষের গর্ভে ও সন্তান হয়ে যায়!
কিন্তু আজীজ কি লিখে এনেছেন আপনার কপালটায়
কে জানে!
আপনার বাচ্চাটা এ তাবীযেও মুখ খুলে না!
আব্দুল আজীজ সাব
আপনার বেঁধে দেয়া তাবীযে কোন কাজ করে না!
আপনার
সন্তানটি
আপনাকে
ডাকে না
বাপ!
৩.
ও অসুস্থ হয় কিন্তু মরে না
আপনি চান ও মরে যাক
বোঝাটা কমে যাক।
কিন্তু কি?
ও মরবেনা।
ও অসুস্থ হলে আপনিই ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যান
অথচ আব্দুল আজীজ!
বাচ্চাটা মরে যাক আপনি চান।
আজীজ আপনি থামুন!
তবে কেন ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যান?
আব্দুল আজীজ আপনি কিন্তু থামেন না!
আপনি থামবেন ও না! আপনার সন্তানটিকে বাঁচাতে হবে। আপনার আশা হয়তো বিশটি বছর পর;
ও আপনাকে আব্বা ডাকবে!
কিন্তু কী?
আব্দুল আজীজ সাব
আজ
দশবছর
হয়ে গেলো
দামড়া পোলাটা
ও কিন্তু আপনাকে
একটিবারের তরেও
ডাকলো না বাপ!
৪.
আপনি যতই বলুন এ সন্তানটির জন্য আপনার মায়া আছে, ভালোবাসা আছে। আমি জানি। নয়তো কবেই গলাটিপে ওকে মেরে ফেলতেন!
৫.
এরপর একদিন আপনার সন্তানটি অসুস্থ হলো; আপনি দেখতে পেলেন ওর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে খুব! চোখ দুটো উপরের দিকে রেখেছে কাউকে দেখার মতো। আর জিহ্বা বের করে তৃষ্ণার্ত বিড়ালের মতো।
আপনি কাঁদছেন আজীজ সাব?
আপনিও কাঁদেন? কাঁদতে আপনি জানেন?
আপনাকে কাঁদতে দেখলাম এই প্রথম!
আপনি কাঁদেন
কারণ আপনি জানেন
এই বাচ্চাটি আজ মারা যাবে!
আর আব্দুল আজীজ সাব
দশটি বছর একটা কুকুর পুষলে, ঐ কুকুরের প্রতি ও মায়া পরে যায়
আপনি ওরঁ প্রতি সকল গাফেলতি- অবহেলার কথা ভাবছেন;
আর আজীজ সাব এসব ভেবেই আপনি কাঁদছেন!
৬.
আপনি দেখতে পেলেন একসময় আর বাচ্চাটি নড়ছে না
আপনি জোড়ে জোড়ে কাঁদছেন!
কারণ ও মরে গেছে!
নিচ্ছে না কোন দীর্ঘশ্বাস
আঃ আজীজ আজ দশবছরে ওর আয়ু শেষ হয়ে গেলো
কিন্তু
ও
আপনাকে
ভুলেও
ডাকলো না
আর
বাপ!
৭.
মানুষ কয় প্রকারের কুত্তারবাচ্চা হতে পারে, বাচ্চাটা মারা যাবার পরপরই আপনি বুঝলেন!
যারা বেঁচে থাকতে একটা দিন ও বাচ্চাটাকে দেখতে এলো না,
তাঁরা আপনার কাঁধে হাত দিয়ে বলে "ইস যদি একটিবার ডাক্তারখানা নিতেন তাহলে হয়তো বেঁচে যেতো!''
কেউ বলে "চিকিৎসার অভাবে বাকহীন ছিলো বাচ্চাটা!''
আবার কেউ কেউ চোখের জলে আপনার দাঁড়ি ভিজিয়ে দেয়!
আপনি শুধু দেখেন। অথচ কিছু বলতে পারেন না! কারণ মরে পরে থাকা বাচ্চাটা আপনার!
৮.
আজীজ সাব
আপনি এখন ভাবছেন,
ওকে জন্মানোই আপনার ছিলো মহাপাপ
কারণ
আজীজ সাব
এই দশটি বছর ও থেকে গেলেও
একটিবার
ডাকলোনা
আর বাপ!
২১/০৩/২০১৭
- সজল আহমেদ
১.
আব্দুল আজীজ সাব!
আপনি এত কামালেন
টাকা,
তবুও
আপনার সম্পদের কোন হিস্যা হবে না!
আপনি হেঁটে যান, আমি উগ্র গন্ধ পাই!
আপনি এত টাকা দিয়ে কি করবেন?
প্লিজ পারফিউম কেনেন।
টাকা দিয়া কি বাবা ডাক শুনতে পরবেন?
আপনার একটি বাচ্চা।
জুন এ দশ বছরের হলো।
আপনার বাচ্চা। ও খেতে চায় না। ও কথা বলে না। ও মরে যায় না। ও মরতে চায় না।
ছোটবেলায় যখন ডাক্তার দেখাতে নিয়েছিলেন,
ডাক্তার বলেছিলেন, পাঁচ বছর পর আপনার বাচ্চা ঠিক হয়ে যাবে। আপনাকে ডাকবে আব্বা।
আজ
দশবছর
হয়ে গেলো
দামড়া পোলাটা
ও কিন্তু আপনাকে
একটিবারের তরেও
আব্বা ডাকলো না!
২.
আব্দুল আজীজ!
আপনি ওকে গলায় বেঁধে দিয়েছেন তাবীয।
আপনার
যেন ও কথা বলে, খায় আর হাটতে পারে। আর আপনাকে আব্বা ডাকে।
অমুক ফকিরের কারামতি ভরা তাবীয,
এ তাবীয গলায় দিলে পুরুষের গর্ভে ও সন্তান হয়ে যায়!
কিন্তু আজীজ কি লিখে এনেছেন আপনার কপালটায়
কে জানে!
আপনার বাচ্চাটা এ তাবীযেও মুখ খুলে না!
আব্দুল আজীজ সাব
আপনার বেঁধে দেয়া তাবীযে কোন কাজ করে না!
আপনার
সন্তানটি
আপনাকে
ডাকে না
বাপ!
৩.
ও অসুস্থ হয় কিন্তু মরে না
আপনি চান ও মরে যাক
বোঝাটা কমে যাক।
কিন্তু কি?
ও মরবেনা।
ও অসুস্থ হলে আপনিই ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যান
অথচ আব্দুল আজীজ!
বাচ্চাটা মরে যাক আপনি চান।
আজীজ আপনি থামুন!
তবে কেন ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যান?
আব্দুল আজীজ আপনি কিন্তু থামেন না!
আপনি থামবেন ও না! আপনার সন্তানটিকে বাঁচাতে হবে। আপনার আশা হয়তো বিশটি বছর পর;
ও আপনাকে আব্বা ডাকবে!
কিন্তু কী?
আব্দুল আজীজ সাব
আজ
দশবছর
হয়ে গেলো
দামড়া পোলাটা
ও কিন্তু আপনাকে
একটিবারের তরেও
ডাকলো না বাপ!
৪.
আপনি যতই বলুন এ সন্তানটির জন্য আপনার মায়া আছে, ভালোবাসা আছে। আমি জানি। নয়তো কবেই গলাটিপে ওকে মেরে ফেলতেন!
৫.
এরপর একদিন আপনার সন্তানটি অসুস্থ হলো; আপনি দেখতে পেলেন ওর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে খুব! চোখ দুটো উপরের দিকে রেখেছে কাউকে দেখার মতো। আর জিহ্বা বের করে তৃষ্ণার্ত বিড়ালের মতো।
আপনি কাঁদছেন আজীজ সাব?
আপনিও কাঁদেন? কাঁদতে আপনি জানেন?
আপনাকে কাঁদতে দেখলাম এই প্রথম!
আপনি কাঁদেন
কারণ আপনি জানেন
এই বাচ্চাটি আজ মারা যাবে!
আর আব্দুল আজীজ সাব
দশটি বছর একটা কুকুর পুষলে, ঐ কুকুরের প্রতি ও মায়া পরে যায়
আপনি ওরঁ প্রতি সকল গাফেলতি- অবহেলার কথা ভাবছেন;
আর আজীজ সাব এসব ভেবেই আপনি কাঁদছেন!
৬.
আপনি দেখতে পেলেন একসময় আর বাচ্চাটি নড়ছে না
আপনি জোড়ে জোড়ে কাঁদছেন!
কারণ ও মরে গেছে!
নিচ্ছে না কোন দীর্ঘশ্বাস
আঃ আজীজ আজ দশবছরে ওর আয়ু শেষ হয়ে গেলো
কিন্তু
ও
আপনাকে
ভুলেও
ডাকলো না
আর
বাপ!
৭.
মানুষ কয় প্রকারের কুত্তারবাচ্চা হতে পারে, বাচ্চাটা মারা যাবার পরপরই আপনি বুঝলেন!
যারা বেঁচে থাকতে একটা দিন ও বাচ্চাটাকে দেখতে এলো না,
তাঁরা আপনার কাঁধে হাত দিয়ে বলে "ইস যদি একটিবার ডাক্তারখানা নিতেন তাহলে হয়তো বেঁচে যেতো!''
কেউ বলে "চিকিৎসার অভাবে বাকহীন ছিলো বাচ্চাটা!''
আবার কেউ কেউ চোখের জলে আপনার দাঁড়ি ভিজিয়ে দেয়!
আপনি শুধু দেখেন। অথচ কিছু বলতে পারেন না! কারণ মরে পরে থাকা বাচ্চাটা আপনার!
৮.
আজীজ সাব
আপনি এখন ভাবছেন,
ওকে জন্মানোই আপনার ছিলো মহাপাপ
কারণ
আজীজ সাব
এই দশটি বছর ও থেকে গেলেও
একটিবার
ডাকলোনা
আর বাপ!
২১/০৩/২০১৭
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDelete