কথনের বাপ (পাণ্ডুলিপি)


গ্রুগ্রী
(+)বরংচ ব্যক্তিত্বহীন তো সে, যে মানুষকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেয়ার ভান করে! কারণ যে ব্যক্তিত্বহীন সে “সম্মান” কি সেটাই বুঝে না!
(+)বেঈমানদের সাথে অভিমান করা আর না করা সমান! বেঈমানরা অভিমানের দাম দিবে না!
(+) আজ যদি আমি মারা যাই কাল হবে দুদিন, আর আমার ক্রিটিকসরা বলবেন “ক্ষাণকির পোলা মরছে ভালো হইছে!”

-নিঃসঙ্গতা-
একা একা কথা বলা, একা রোডে হাঁটা একা ২৪টা ঘন্টা কাটানোর নাম হচ্ছে নিঃসঙ্গতা।

-ভুলে যাওয়া-
নিজের মস্তিষ্কে নিজের অনুভূতিকে কবর দেয়ার নাম হচ্ছে ভুলে যাওয়া।

-ইভটিজিং-
আমরা একটা ছোট্ট বাসায় থাকি
সকাল হলে সবাই মিলে ছাদে উঠে হাঁটি
নিচ দিয়ে কে যায় ; অচেনা মুখ দেখে
কাক ডাকতে থাকি।

-অবসাদ-
প্রতিটি রোডে থাকে পাতা মৃত্যুর ফাঁদ
মানুষটি মরে গ্যালেও মরেনা অবসাদ!
[২]
প্রতিটি রোডে থাকে পাতা মৃত্যুর ফাঁদ
মানুষটি মরে গ্যালে পরে রয় অবসাদ!

-লাইফ-
মানুষের লাইফটা ধরো হাশরের মাঠ
কষ্টের সময়টা পার হতে হতে চুকে যায় পাঠ।

-মানুষ মানুষের জন্য না-
কে কার কষ্টে কাঁদে জানি না
মানুষ মরে মানুষের তরে বালের প্রবাদ মানি না!

-স্বার্থপর-
জগতের প্রতিটি জীব জড়
সব শালারাই স্বার্থপর।
যদি কেউ ভাবে,
কার ধন কে খাবে?
তাকাও করে চোখ কান খাড়া
তোমার চিনির বয়ামের দিকে
লাইন ধরে যায় ১ লাখ পিঁপড়া…..

-স্ব-
প্রতিটা মানুষ নিজেই নিজের ভিন্ন চক্রে নিজের মতো ঘোরে
আমি শুধু নিজের চক্রে হাহুতাশ করি আহারে!

উড়ে যাব/
কে আছো ওখানে?
দরজা খোলোনা…..
উড়ে যাব আকাশে
আমাকে পাবে না।
ধরতে পারবেনা
পাখা হবে দুটো
উড়ে যাব সরু হয়ে
যদি পাই ফুটো।
গাইবো গান
আর শুনবে খাড়া করে কান
গান গেয়ে হারাবো
আমাকে পাবে না।
হা হা হা!

ক্রাশ/
দৃষ্টিতে বলি হয়ে যায় একশ খাসি
কাচাপাঁকা সবে এসে বলে ভালোবাসি

ভালো লাগা/
অপূর্ব সে এক চাঁদের গরিমা
আলো ছিলো স্পষ্টত
ছিলো না পূর্ণিমা।

অভিমান/
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি
ভেঙে পরে না
তোমার জন্য কাঁদতে চাই
চোখে জল আসে না!

ব্যাঙ/
ক্ষুব্ধ ব্যাঙ মায়ার চেহারা
রাগ করে থাকে মনেহয় গাছের পেয়ারা
ব্যাঙ জোড়ে জোড়ে হাকে ঠিকই
সে রাগ করে না!
কেয়ারলেস/
হারিয়ে যাওয়ার আগে নেয়না কোন খবর
হারিয়ে গেলে অবশেষে জলে ভেজায় কবর।

ব্রেকআপ/
এত এত অভিমান এত অভিনয় শেষে
পাছা ঘুরায়ে দুই যাত্রী উঠলো দুইটা বাসে
তাঁগো একই দ্যাশে যাওয়ার কথা, এখন যাবে ভিন্ন দ্যাশে!

ভালোবাসা/
কে কার প্রতি মুগ্ধ ছিলো জানি না
বিদায় শেষে ঝরলো চোখে
সাধারণ সে পানি না!

সিগারেট/
একটা সিগারেটের টানে সারা দিনের ডিপ্রেশন শরীরে গুম হয়ে ঘুম দেয়।

রেডসালাম/
আসসালামু আলাইকুম শ্রদ্ধেয় কাকা কুকুরের বাচ্চা!

মরতে ভয়/
আমার লাশটি গেলার জন্য সর্বদা কবরটি হা করে রয়।
আমিও অক্সিজেন গিলতে হা হয়ে রই;
আমার মরতে করে ভয়!

ডিপ্রেশন/
মনে হবে নিজেকে হারিয়েছেন গহীন বন
নিজেরে নিজের অসহ্য মনে হওয়া, নিজের ঘিলু চাবায়া খাওয়ার
নাম হইলো ডিপ্রেশন।

কাক/
ও কাক ও কাক
তুই একটু জোড়ে ডাক
যা ছিলো আমার জীবনে তা
অশুভ হতে থাক।

শালিক/
আমড়া গাছে বসে ডাকে
একটা শালিক পাখি
আসো আমরা গলা মিলিয়ে
শালিক ডাকতে থাকি।

মূল্য/
আপনি, তুমি এবং তুই
গোলাপ, জবা এবং জুঁই।
তফাৎ বুঝে ডাকে সবাই নাম,
ডাকের মাঝেই বুঝে ফেললাম কার কতটা দাম!

কাক-২ /
অনেকদিনের চেনা জানার পর
আমি বুঝলাম কাক শুধুই কাক
যেদিন পাখিরা সব হারিয়ে যাবে
গাছগুলো সব শূণ্য হবে
টিনের চালায় অবাক দৃষ্টি কাক তুই ডাকতে থাক।

গোলাপ/
আসসালামু আলাইকুম ও গোলাপ
আপনি আছেন আমিও আছি
ঘ্রাণে আসেন দুইজন নাচি
বকতে থাকি পাগলের প্রলাপ
অলাইকুম আসসালাম ও গোলাপ।

চুমু/
ঠোঁট স্তব্ধ হয়ে উপলব্ধি করে
নিচের অংশ কি যেন আচমকা চুমুক মারে
কি উহা? উহা কী?
জীববিজ্ঞান এর বিবর্তনে
বিপরীত লিঙ্গ ছাড়া আরকি?

স্বরিবোধী/
আসলে আল্লা বইলা কেউ নাই!
পূবের আকাশে তাকাই
সুবহানআল্লাহ্ চমৎকার সব
মেঘ আকাশে দেখতে পাই!

কল্পনা/
চাষ করি আকাশে নতুন মেঘের
আকাশে আকাশে আজ উন্মদনাা
এক কুটি গ্রহ আছে নিজস্ব প্যাঁচে
চাঁদ শোনে কার যেন কুমন্ত্রণা!

কাকের গান/
ওড়ে সকালের কালো-কালো কাক
হে ছোটপাখি, হে ছোটপাখি
শ্লেটে তোমারে করি আঁকা-আঁকি
তোমার বিশাল ফ্যান আমি
প্রত্যহ প্রত্যুষে তোমার কা কা কা গান শুনি!

ডারলিং/
প্রত্যুষা!
দ্যাখো দ্যাখো
ডারলিং প্রত্যুষে
জাগছে উষা।

চলে গেলে/
একবার মরে গেলে আমাকে
আর ফিরে পাবে না
বডি দেখবে ঠিকই
জড়িয়ে ধরতে পারবে না
কবরের পাশে যাবে
একসাথে শোয়া হবে না
একবার হারিয়ে গেলে
আমাকে আর খুঁজে পাবে না!

একদা/
একটি দেহ নিস্তেজ হয়ে গেলে
ইতিহাস থেমে থেমে যায়
শোবার ঘর, সমস্ত কিছু পর করে দ্যায়
কেটে যায় মায়া হায়!
প্রেমিকা ও পর হয়ে যায়।

বিপক্ষীয় সময়/
একটা সময় সবকিছু পর হয়ে যায়
নিজের শরীর নিজের বিপক্ষে চলে যায়
দেহের দূর্ঘটনা নিজের স্তনঢাকা ওড়নাটা
বুকে না জড়িয়ে, গলায় জড়িয়ে যায়!
হাহ্! এই মাদারচোদদের পৃথিবীতে-
আর স্থায়ী হতে হয় না!
সহী প্রেমিকা ভোলার উপায়/
মন দিয়া পুরানা প্রেমিকারে না ভুলতে পারলে তাঁরে মা ভাবতে থাকেন।


-আর্গ্যুমেন্ট-
মেয়ে মানুষ/
চাইতে চাইতে পাইতে পাইতে পাওয়ার অতিরিক্ত পাইলে
হয়ে যায় সোনা ব্যাঙ;
দুইটা আর থাকে না গজায় তিন ঠ্যাঙ।
লম্বা লম্বা লাফ দিয়ে পার হয়ে যাইতে চায়;
সুন্দরবন অথবা উত্তরের হিমালয়।

বক/
উড়ে যায় সাদা দুটো ডানা মেলে
আকাশ ও পাখি উভয়ই সাদা
কাদা-পানিতে নেমে মাছ খায় অথচ
শরীরে ছিটে না একফোঁটা জল বা কাদা।

কাক/
কালো সে পাখি কুচকুচে কালো তাঁর দেহাবয়াব;
রাত্রে বেলা দ্যাখে দিনে চুরির ও খোয়াব।


ব্রেকআপ/
এত এত কষ্টের পর
মাথা থেইকা কমলো চাপ
দুইটা মানুষ দুদিক হাঁটলো
রিজন ছিলো ব্রেকআপ।


সন্যাসী/
অজস্র কষ্টের পর
বিকারগ্রস্ত মানুষটি
হেঁটে গ্যালো বৃন্দাবন
রেখে ভারী আকাশটি।


ভুলকে ভয়/
কিছু কান্না ভুলে থাকা যায় না
অসহায় কোন মেয়ে যদি ফোনে কাঁদে,
পৃথিবীতে আর থাকতে ইচ্ছে হয় না
মনে চায় চলে যাই এলিয়েন রূপে চাঁদে।


বিবেক/
বিবেক বিবেক ডাকপাড়ি
কই গ্যালো হতচ্ছারা?
জনসমুদ্রের ভীর ঠেলে দেখি
বিবেক এর মায়, গ্যাছে মারা।


লাইট/
আলো ফেলে দূরে কাঁদছিলো
একটি পাওয়ারফুল লাইট
আলো কম হতেই
হোগায় হাত রেখে
মালিক ব্যাটারীতে
দিচ্ছিলো টাইট।


বৃষ্টি/
আকাশের মনখারাপ হলে
আকাশটা খুব কাঁদে
আকাশের অশ্রুকে
বৃষ্টি নামেই সবাই ডাকে!


শিকার/
বাঘের সামনে হরিণ ভাবছে,
প্রতিটা প্রাণের প্রতি দয়া দেখানো অাবশ্যক! বাঘ সেদিন ক্ষুধার্ত ছিলো না বিধায় সেদিন সে প্রাণে বেঁচে গেলো। হয়রান হরিণ বাঘের কবল থেকে ছাড়া পেয়ে ক্ষুধায় কাতর হয়ে ১ মাঠ ঘাস সব সাবড়ে দিলো। ঘাসের ও প্রাণ ছিলো।


নদী/
নদী
আজ অবধি
তাঁরে বিশ্বাস করা দায়
কোন খানে গিয়া ভাঙবে পার
আশঙ্কা এখানে হায়
এখানেই ডর!


ধৈর্য্য/
তসবিহ দানা তসবিহ দানা
ক্ষ্যামা এইবার একটু দাও না!
এত যদি একজন ডাকো
সে কি বেজার হয় না?
কথনের বাপ| ভার্স সমূহ| সজল আহমেদ| ২৬শে এপ্রিল ২০১৮ ইং
SHARE

Mad Max

  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
  • Image

0 comments:

Post a Comment