তোমরা কখনো তাঁর হৃদয় দ্যাখোনি

তোমরা কখনো তাঁর হৃদয় দ্যাখোনি


হে পৃথিবীর প্রেমিকাগণ
তোমরা কী দেখেছো কখনো তাকিয়ে তোমার গরীব প্রেমিকের হৃদয়
কতটা জ্বলছে?
কতটা হীনমণ্যতা নিয়ে তাঁর বেঁচে থাকা,
কতটা নিজেকে তাঁর নিজের ছোট মনে হয়
তুমি কী দেখছো
রাতের গভীরে ঐ যুবকের একা কান্না?
তোমরা তো প্রেমিকের উপর দ্যাখো
কখনো খুড়োনি প্রেমিকের হৃদয়।
কিভাবে একটা পৃথবীর সাথে যুদ্ধ করে চলতে হয়;
কখনো ভেবে দ্যাখোনি একটা সমুদ্রের জল কেন নোনা হয়
কেন মিশে যায়
কবরে শরীর
কেন এত প্রণালী পার হয়ে যাবার পর
একটা মাছ;
নিঃসঙ্গ থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।
বই থেকে ছিড়ে যায় পৃষ্ঠা
একাকী সটকে পরে অনেক দূরে
উড়ে যায় একাকী একটা কাক।
অর্থ ফুঁড়িয়ে ফাঁকা পরে থাকে এটিএম বুথ;
এই পৃথিবীটা
এইযে দ্যাখছো এটা
বড়ই অদ্ভুত!

অসুখে জর্জরিত ও।
তোমাকে দূরে সড়িয়ে দেয় ওটাও তোমাকে এতটা ভালোবেসে;
তোমার অসুখ হবে ভেবে-
নিজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দ্যায় তোমায়।

তুমি তাঁকে স্বার্থপর ভাবো
ভাবো বুঝি নিজের স্বার্থের দিকে তাকিয়ে
ছেলেটা আজ তোমাকে ছেড়ে গ্যাছে
অথচ
তুমি ভুলে যাও বারবার;
যে ভালোবাসে ও কখনো স্বার্থপর হয় না
তুমি ভুলে যাও বারবার
যদি স্বার্থপরই ও;
তবে তুমি কষ্ট পাবে ভেবে অন্যকোন নারীর দিকে কেন তাকায় না?
নিজকে তুমি প্রশ্ন করেছো কখনো;
কেন এত হাসি মুখে থাকা ছেলেটা আজ গোমড়ামুখে
একটুও হাসে না?

কেন তোমকে ও দূরে সড়াতে চায়?
হয়তো বাকিটা সময় তুমি ওঁর সাথে অসুখে থাকবে
এই ভেবে নিজ হাতে তোমাকে ছেড়ে দিয়েছে তোমার গন্তব্যে একা।
তোমাকে ছেড়ে দিয়ে ও মনেমনে বলে;
"এ প্রকাশ্য পথেসাতশকোটি মানুষের ভীড়েপ্রিয়তমা তোমার হাঁটার এখনো অনেক পথ বাকিসবে শুরু করেছোএ পথের কোন সীমানা নেইএখানে অনেক কাঁটাতারঅনেক বেড়াজালএকটা বিশাল পর্দা।বিশাল পর্দা ছিড়ে ফ্যালোবেড়াজাল ডেঙিয়েপর্দাটা ছিড়ে ফেলেহাঁটতে শুরু করোতোমাকে হাঁটতে হবে।
যখন তুমি চিনতে শিখবে "মানুষ কী?''যখন তুমি বুঝতে শুরু করবে বাস্তবতা কতটা কঠিনবারবার আমার নাম জপে চলে যাবে দরগায়আমার নামে শিন্নি দেবেঅথচ আমাকে আর ফিরে পাবে না

মানুষের হৃদয় কতটা কঠিন হতে পারেযেন শক্ত শীলা পাথড়আজ কী বুঝতে পারোনি?পেরেছো তোতবে কেন বারবার নিজের নরম হৃদয়েএত আঘাত সহ্য করছো?নিজেকে কেন গোছাতে তোমার এত সংশয়?
মানুষের সড়ে যাওয়া কতটা ভয়ংকরআজ শিখতে পারোনি তুমি?শিখেছো তোতবে কেনকেন তবে
শক্ত হতে পারো না তুমি?''

বিভিন্ন ইস্যুতে
বিভিন্ন ক্ষত সৃষ্টি হওয়ার পর
ও সিদ্ধান্ত নিয়েছে
নিজের অগোছালো
বেদনার অনলে
তোমাকে পুড়তে দেবে না
তোমার সুখে থাকাই ওর প্রয়াস।
এখনো তুমি বাস্তবতাকে দ্যাখোনি;
দ্যাখোনি কিভাবে তোমাকে কাঁদানোর পর
শেষ রাতে ও ঘুমায়নি;
ঘুমাতে পারেনি
কেঁদেছে খুব নীরবে।
যে তোমাকে কখনো কাঁদতে দিতে চায়নি;
ও তোমাকে কাঁদিয়েছে কেন?
কখনো কী তুমি ভেবে দেখেছো?

একটা সময় এমন আসে
মানুষ তাঁর সমস্ত প্রিয় জিনিস কুরবানী করে দ্যায়
যেমন ইব্রাহীম তাঁর প্রিয় পুত্র কোরবানী দিয়েছিলো তেমন।
পৃথিবীটা পরিক্ষালয়
অতএব এখানে আবেগের ভীড়ে
বাস্তবতাই আসে বারবার ফিরে
নিজের প্রিয় বস্তু এখানে বিভিন্ন কারণে কুরবানী দিতে হয়।

SHARE

Mad Max

  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
  • Image

0 comments:

Post a Comment