Memeism

Hey Memetic family whatsup?
 Today I'm gonna share you some meme that I've made in several times in 2018 and 2019. Lets enjoying.....
At first we should knows "What is meme? or What's the meaning of meme or SARCASM''
Meme meaning 
an idea, image, video, etc. that is spread very quickly on the internet [ https://dictionary.cambridge.org/dictionary/english/meme ]
SARCASM Meaning 
the use of remarks that clearly mean the opposite of what they say, made in order to hurt someone's feelings or to criticize something in a humorous way [https://dictionary.cambridge.org/amp/english/sarcasm]
Meme: No difference dude

Meme: Lover

Meme: Sketch 

Meme: Zafar Iqbal

Meme: About Fb comments


Meme: About Lier

Meme: About Ershad

















কবিতা: ভাঙা হৃদয়

কবিতা: ভাঙা হৃদয়

ভাঙা হৃদয়

- সজল আহমেদ

আমি তপ্ত তেলে সেদ্ধ হওয়া মাছ
বজ্রপাতে বজ্রাহত গাছ
তপ্ত রোদে ফুটতে থাকা বালি
ক্ষুধা পেটের মৃতপ্রায় কাঙালি।

তোমরা আমায় ভাবছো কে কী, কে তা জানে
খালি রোডে খুঁজি জীবনের মানে
হাঁটছি আমি একলা একা অফুরন্ত রোড
আহার ছাড়া নিদ্রা ছাড়া জলহীন শুকনো ঠোঁট।

শুকনো ঠোঁট ভিজাতে আমি চাইনি কারো চুম
চোখ জ্বালা হয় পুড়ে গেছে কাঁচাপাকা ঘুম
এই যে এখানে তাকাও বুকে এটা আমার হৃদয়,
বাঁচতে হলে এই হৃদয় কে ভালো রাখতে হয়।

খুব যে সফল ভালো থাকায় তাও না
আমার মধ্যে পুড়ে ধোয়া সকল বাসনা
মরে যাচ্ছি দূরে যাচ্ছি অনুভূতি নেই
আমি ছিলাম পূর্বে যিনি, বর্তমানেও সে'ই।

আতুড়ে নুন খাইয়ে আমায় মেরে ফেলতে চাও?
দূরে যাও.... যাও না দূরে আমি বোকা নও।
আমি ঝঞ্ঝা কাটিয়ে আসা একটা ভাঙা তরী,
আমায় ডোবাতে এসো না হা হা কোন আনাড়ী।

কে কতদূর ভালোবাসো আছে আমার জানা
শুনবো না ডাক আর ডেকো না সোনা
আমি মেটাল থিংগস বা শুকনো কাঠ
অনুভূতিহীন কপোট্রন বা আকাঠ।

এই এখানে প্রতিদিনই যাচ্ছি মারা
যাচ্ছি মারা নিত্যনতুন উপায় হারা
তোমরা প্লিজ একটু আমায় ভালো থাকতে দাও না;
তোমরা কেন এমন রূপের, পরের ভালো চাও না?
তোমরা কেন এমন করো; পরের ভালো সয় না?
তোমরা কেন মর্ষকামী, পর কে ভালো থাকতে দাও না?

কবিতা: গোল

কবিতা: গোল

গোল

- সজল আহমেদ

আপনি ভাবছেন পৃথিবীটা বস্তুত গোল
যেহেতু আপনি ঘুরছেন গোল হয়ে
আপনার মাথা গোল
আপনি বাজান বগল
আপনার মস্তিষ্কে গোলের দখল
ছাতা গোল
মাথা গোল
ঢোল গোল
বল গোল
আমরা পড়ি ভূগোল
গোল এবং গোল
আপনার বন্ধু হিসেবে আছে কিছু ছাগল
সর্বশেষ আপনি একটা পাগল।

সেই বিজ্ঞানী ভাবতেন, ঘুরে ফিরে আমরা আসি গোল হয়ে
এখানে শেষের যে পদচিহ্ন পরেছিলো মূলত গোলাকার একটি মাঠের শেষ সীমানায়
অতএব পৃথিবীতে যা কিছু দৃশ্যমান
পিরামিড হতে চায়ের দোকান
কমলা হতে আপেল
শাক হতে মাঠের ফসল
তামাক হতে জল
সকল
মূলত
গোল।
আমরা জানিনা
পৃথিবীর আকার মূলত গোল কিনা।
যেহেতু আমরা দেখিনি প্রত্যক্ষ ভাবে
কেমন এ পৃথিবী
সমান্তরাল নাকি উঁচুনিচু
ঢিপি
চ্যাপ্টা নাকি গোল
তবুও আমাদের মূলো গুজে মুখে, বিশ্বাস করানো হয়; পৃথিবী গোল।

কবিতা: হাসি

কবিতা: হাসি

হাসি

-সজল আহমেদ

১.
আজ হাসি, আমাকে দেখে তুমি হাসছো? 
খুব ক্রিটিকাল লাইফ। তোমরা বরটা। ঐ ভাউড়া *দাটা
দেখে আমার আফসুস হয়
দুঃখ পাই! 
তবুও হাসতেই হয় বাল
ও পেলো আমার কচকানো ময়দার তাল।
আর এতেই ভাউড়া *দাটা কত খুশি!
হাসি। 
তোমার বরটা একটা বুড়ো খাসি!
২.
আজ আমার বয়োস হচ্ছে বাইশ বচ্ছর ছয় মাস একুশ দিন।
আর তোমার বাইশ বচ্ছর দুই মাস ছাব্বিশ দিন ষোল ঘন্টা। 
কিন্তু তোমার বরের?
শুনেছি তোমার বাবার চেয়ে পাঁচ বছরের ছোট
হা হা তোমার বাবা কী বুদ্ধিমান দেখেছো?
যাতে তুমি বিয়ের পর বাবা ও স্বামীর আদর থেকে মাহরুম না হও সেজন্য বুড়োটা ওর মতো আরেকটা বুড়ো ধরে তোমাকে গছিয়ে দিয়েছে!
তোমার বিয়ের বয়স এই একবছর অতিক্রম হলো 
আর আমি এখনও মাস্টারবেট করি তোমার মেমরি।
আর ১০টি বছর পর।
আর মাত্র দশটি বছর পরে দেখা হলে লজ্জা পেওনা যেন! 
পুরুষরা সর্বদা পুরুষই থাকে
তথাপি মেয়েরা ক্রমশ হয়ে যায় কাকি বা মাসি।
৩.
হাসি।
হাসলে তো?
তোমার এ হাসির প্রতিশোধ আমি নিতে চাই! যেহেতু মানুষ মাত্রই প্রতিশোধপ্রবণ।
প্রাক্তন প্রেমিকার উপর প্রতিশোধ নিতে প্রেমিক এর পৈশাচিক আনন্দ।
তোমার এখন বর আছে তাই হাসছ
অথচ ভুলে গেছো 
আমিও কিন্তু খুব বিয়ে করতে জানি! আমারও বৌ হবে একদিন। তখন তোমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে খুব হেসে নেবো।

৪.
তোমার ননদ সুলতানাকে আমার নতুন করে ভালো লাগে 
ওর ও আমাকে; আমাকে ওর; আর আমার ওকে; দুজনার দুজনাকে ভালোলাগে।
আমরা উভয়ে একটা সিদ্ধান্তে এসেছি, আর সাত বছর পর আমরা একে অপরকে বিয়ে করে নেবো। 
তোমার বাসার পাশে একটা বাসা ভাড়া নেবো 
যাতে প্রতিদিন বৌ সহ তোমার সাথে দেখা হয়ে যায়
আর তুমি যেন জেলাস হও। বেশি বেশি কষ্ট পেতে পারো। 
আমরা উভয় উভয়কে ভালোবাসবো। প্রতিদিন তুমি ঈর্ষায় কয়েকবার মরে যাবে এট ভেবে 'কেন আমি আসাদ সুলতানা কে এত ভালোবাসি?'
হাসি।
তোমাকে ঐসব দিনগুলোতে সত্যই ভুলে যেতে পারবো; যেহেতু আমি ভুলে যেতে ভালোবাসি।

একটি প্রেমের কবিতা

একটি প্রেমের কবিতা

একটি প্রেমের কবিতা

- সজল আহমেদ

এক.
শারদুল তাকিয়ে শারমিনকে দেখতো
আর তা সবসময় সন্ধ্যায়।
ভালোবাসার মানুষকে অন্ধকার থেকে ভালোবাসা ভালো।
শারদুল যেতো শারমিনের বাসার সামনে;
শারমিন বসে জানলার পাশে কুপির আলোতে-
একটা ঝিঁঝিঁ ডাকতো
একটা কুকুর ডাকতো
একটা পাখি ডাকতো
একটা নিষ্প্রভ সন্ধ্যায়
শারমিন বই পড়তো
শারমিন চুল বিছালে
শারদুল তাকিয়ে দেখতো

দুই.
এরকম দেখতে দেখতে একসময় শারমিনের এক্সাম শেষ হয়
শারদুল সাহস করে ভালোবাসি জানিয়ে দেবে বলে
প্রত্যহ দাঁড়িয়ে থাকতো শারমিনের বাসার দরজায়।
শারমিন আসতো/ শারদুল চুপ
শারমিন যেতো /শারদুল চুপ
শারমিন বসতো/ শারদুল চুপ
শারমিন দাঁড়াতো /শারদুল চুপ
শারমিন তাকাতো/ শারদুল চুপ
শারমিন হাসতো /শারদুল চুপ
তাঁর লজ্জা খুব!
যেনো পেটে জমা অনেক কথা
বলতে গেলেই ফাঁসি হয়ে যেতে পারে এমন ভয়ে; শারদুল কখনো বলতে পারেনি!
শারদুল ভাবতো; শারমিন বুঝে যাবে।
শারদুল জানতোনা; মেয়েদের মনে
যদি হয় কামান দাগানো,
কখনো বাইরে প্রকাশ হয়না কাকে সে ভালোবাসে, কাকে সে পছন্দ করে।

তিন.
দিন যায় দিন আসে/ শারদুল চুপ
রাত যায় রাত আসে/ শারদুল চুপ থাকে
এমনকি দিনের পর রাত এবং রাতের পর দিন হয়
সন্ধ্যা হয়, সন্ধ্যা হতে সকাল
ফুল ফোটে পাখি ডাকে/ শারদুল চুপ থাকে।
দুজনেই মনেমনে খুব কলা খাচ্ছে
খাচ্ছে যেহেতু কলা; তাই দুজনারই পথ খোলা
অথচ দুজন দুজনাকে বলতে পারেনা।
একদিন হঠাৎ চেয়ারটা উল্টে যায়;
শারদুল উল্টো হয়ে বসে
শারমিন আসে
শারদুল কে জানায়; বিয়ে হচ্ছে আমার। ছেলে ব্রুনাই থাকে।
শারদুল শুনেও না শোনার ভান ধরে বলে; কে যাচ্ছে? কবে যাচ্ছে? কোথায় যাচ্ছে? কেন যাচ্ছে? বরগুনা কোথায়?
শারমিন বোবা হয়ে যায়। শিট শারদুল এমন বেওকুফ! সবকিছু না বুঝার ভান করে শারমিন ও বলে, হুম আসছে। আবার যাবে। আমাকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে।
শারদুল হাসে
শারমিনের গাঁ জ্বলে
শারদুল হাসে
কিছু বলেনা
শারমিন কয়েকবার তাকায়
কিছু করার নেই। অভিমানে চলে যায় ।
শারমিন যায়
সাথে নিয়ে শারদুলের ফুটো কপাল!

চার.
ঠিক পাঁচবছর পর শারদুল-শারমিনের আবার দেখা হয়ে যায়
সেই একই রাস্তায়।
শারমিনের পড়নে শাদা শাড়ি
মুখ ম্লান।
শারদুল হাসে, কী খবর?
শারমিন কাঁদে, ব্রুনাইওয়ালার মৃত্যু হয়েছে!
শারদুল স্তব্ধ। স্তব্ধ আকাশ। পাখি থেমে যায় সব। জলে নেই কম্পন। বাতাসে মৃদু ঝঙ্কার। আকাশটা হাসে, সাথে সূর্যও হাসে। শারমিন তাকিয়ে থাকে।
শারদুল মুচকি হাসে। শারমিন চলে যায়। বেওকুফ একটা!

পাচ.
আবার সন্ধ্যে এসেছে।
শারমিন পুরোনো শাড়িতে
জানালার কাছে
কুপির আলোতে
অপেক্ষারত-
একটা ঝিঁঝিঁ ডাকে
একটা কুকুর ডাকে
একটা পাখি ডাকে
একটা নিষ্প্রভ সন্ধ্যায়
এক টুকরো কুপির অালোতে
শারমিন বসে বই পড়ে
শারমিন চুল বিছায়
শারদুল তাকিয়ে দেখে।

কবিতা: পীতাম্বর ও রাধে

কবিতা: পীতাম্বর ও রাধে

পীতাম্বর ও রাধে

- সজল আহমেদ

পীতাম্বর ডাক মেরেছে খাড়ায়া নদীর কূলে
রাধা তাঁরে জবাব দিলো; “ঝাঁপাই চলো জলে”
“এই কালো জল পানায় ভরা জলজ কুম্ভীর নাই
নির্ভয়তে গামছা পইড়া চলো জলেত ঝাঁপাই। ”
দূর অম্বরে এমন দৃশ্য আঁকছেন বিধাতা
যিশুখ্রিস্ট নাইচা ডাকে “জলেতে ঝাঁপা। ”
পীতাম্বরে খুশির কোন আলাদা যুক্তি নাই
এই জলেতে পীতাম্বর ঝাঁপায়, রাধে ঝাঁপান তাই।

ওপারের মুসলমান উচ্ছেদের সহায়ক এপারের মুসলমান

ওপারের মুসলমান উচ্ছেদের সহায়ক এপারের মুসলমান
হিন্দুদের উচ্ছেদ করলে আমাদের বাঙ্গালী  নামে মুসলমানরা সে বিষয়ে নীরব থাকেন প্লাস সাপোর্ট করেন। কিন্তু যখন ভারতে হিন্দুরা মুসলমান উচ্ছেদ করে তখন ঐ নামে মুসলমানরা আবার এপার বসে প্রতিক্রিয়া দেখান।

 অথচ বাংলাদেশে এরকম দুএকটা বিচ্ছিন্ন হিন্দু উচ্ছেদের ঘটনায় বাংলাদেশের মুসলমানদের কোন রিঅ্যাক্ট না থাকায় এবং ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ সরকার হতে না নেয়ায়, ঘটনাগুলো ভারতের মুসলমানদের উচ্ছেদ করণে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। ভারতের গোঁড়াবাদী পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর নৈমিত্তিক  টোটকা হিসেবে এই উচ্ছেদ ইস্যুটা কাজ করে। তাঁরা কজ দেখান যে, 'বাংলাদেশে হিন্দু উচ্ছেদ হচ্ছে, অতএব এখানেও মুসলিম উচ্ছেদ বৈধ! ইত্যাদি, ইত্যাদি......' ফলে দু'দেশেই ইন্ট্রাক্ট স্বরূপ 'হিন্দু উচ্ছেদ' ও 'মুসলিম উচ্ছেদ' বেড়ে চলছে!

স্মার্টনেস কি এবং স্মার্টলোক কারা?

স্মার্টনেস কি এবং স্মার্টলোক কারা?

আমরা যাদের স্মার্ট ভাবি আদৌ কি তাঁরা স্মার্ট? 
আমার নাম সজল। পোশাকে নতুনত্ব আছে, দামী গ্লাস, চেহারা সুন্দর আর পাছার নিচে আছে ডুয়োকাট!
দাদা আমি কি স্মার্ট?

আমি সজল প্যান্টের উপর লাল জাইঙ্গা পরলাম আর তাতেই স্যুপারম্যান হয়ে গেলাম? যদি প্যান্টের উপর লাল জাইঙ্গা পরে নিজেরে স্যুপারম্যান ভাবতে থাকেন তাহলে চলুন উঁচা বিল্ডিংয়ে ঝাপ দিয়া দেখান আপনি উড়তে পারেন না হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পরেন! ভালো পোশাক, সুন্দর চেহারা নিত্য নতুন স্ট্যাইলে চুলের কাট, মেকআপ ইত্যাদিতে আমি বড়জোর স্ট্যাইলিশ হব, স্মার্ট না। চুলে নায়কের মতো কাটিং, পোশাকে নতুনত্ব, পাছার তলে ডুয়োকাট আর পকেট ভর্তি টাকা থাকলেই আপনি স্মার্ট না! রিমেম্বার ইট, স্মার্ট হতে হলে প্রথমে হতে হবে বুদ্ধিমান। বিষয়াদি বিশ্লেষন করলে স্মার্টনেস এর যে সংজ্ঞা বের হয় তা হলো,
স্মার্ট হতে হলে আপনার প্রচণ্ড বুদ্ধি থাকতে হবে, বিবেকসম্পন্ন হতে হবে। থাকতে হবে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার যোগ্যতা (Intelligence as manifested in being)। সময় মতো কথা বলতে পারার ক্ষমতা এবং কথার মাধ্যমে অন্যকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা।
Definition of SMART: 
  • S-SPECIFIC (নির্দিষ্টতা) 
  • M- MEASURABLE (পরিমিত) 
  • A- ACHIEVABLE (অর্জনের যোগ্যতা)
  • R-REALISTIC (বাস্তববাদী) 
  • T-TIME BOUND (সময়নিষ্ঠতা)

স্মার্টলোক হলো,
Intelligence as manifested in being quick and witty.( বুদ্ধিদীপ্ততা প্রকাশের মাধ্যমে যে দ্রুতই কাউকে প্রভাবিত করতে পারে)
Brightness , Cleverness 

অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুযায়ী স্মার্ট হলো,
 Intelligence the ability to comprehend; to understand and profit from experience. (বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বুঝতে পারা এবং সামাল দিতে পারা যেকোন পরিস্থিতি)
আবার,
the combnation of personalty (ব্যক্তিসচেতন), social(সামাজিক) , capability of facing any situation and a healthy(যেকোন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারা) , positive mentaly (বিবেকসম্পন্ন).
কাজেই এইসব না থাকলে নিজেরে স্মার্ট প্রমাণে ব্যস্ত হওয়া আর প্যান্টের উপরে লাল জাইঙ্গা পরে স্যুপারম্যান হওয়া সমান!

প্রতিনিধি


পৃথিবীতে নিজেদের একমাত্র বান্দা খুঁজতে হিড়িক পরে যায় শয়তানের গ্রহ ইভিলার-বিথ্রিনাইনজিরোটুথ্রিটু (Eviller-B390232) তে। শয়তানের বান্দাদের পৃথিবীতে প্রতিনিধি হিসেবে সেট করে পায়ের উপর ঠ্যাঙ তুলে বিশ্রাম করার পায়তারা করছিলো সমগ্র শয়তান। প্রতিনিধি খুঁজতে সমগ্র পৃথিবী জুড়ে পাঠায় অসংখ্য স্যাটেলাইট। একদিন হঠাৎ পৃথিবীতে সেট করা স্যাটেলাইট হতে সিগন্যাল আসতে থাকে সাথে সাথে ভেসে ওঠে সেই প্রতিনিধির নাম। পৃথিবীর বৃহৎ মহাদেশ এশিয়ার ছোট্ট একটি দেশ বাংলাদেশের পাহাড়িয়া বিশাল বিভাগ চাইট্টাগ্রামে শয়তানের এক জাতভাইয়ের বাসা হতে অনবরত এ সিগন্যাল আসছিলো! খুশিতে পেঙ্গুইনের মতো দুলতে থাকে শয়তান সরদার।
সিগন্যাল আসার সঙ্গে সঙ্গেই শয়তান সরদার নিজেদের জাত ভাই খোঁজার কাজে পৃথিবীতে বাচ্চা শয়তানদের ছড়িয়ে দিলে তাঁরা সিগন্যাল ধরেধরে এসে সব জড়ো হয় তাদের সিগন্যাল পাঠানো বান্দাটির বাসার সামনে! বান্দার বাসার সামনে নেইম প্লেটে বড়বড় করে তাঁর নাম সাঁটানো ছিলো "ড্রোন বিজ্ঞানী, অপদার্থবীদ, কলামিস্ট, সায়েন্স ফিকশান ও ভূতের বাচ্চার লেখক প্রফেসর ডাক্তার মোহাম্মদ সরফরাজ দিকপাল (এমএসসি. বিএসসি, ড্রোনেসসি, সায়েন্সফিকেশানাসসি, কলামেসসি, এমবিবিএ অন লিথোলজি ফ্রম ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া)" হ্যাঁ ঠিক জায়গায়ই এসেছি, বললো সব শয়তানের বাচ্চারা।

সুন্দর স্ট্রব্রেরীর মতো লাল কলিংবেলটায়
একটানা ঊনপঞ্চাশটি টিপ দেয়ার পরও দরজা না খোলায় বিরক্ত হয়ে এক ছোট শয়তানের বাচ্চা খেকিয়ে ওঠে-
" কী অবস্থা! মরছে নিকি সব? দিকপাল সাহেব বাসায় নাই নিকি?''
একটি অচেনা চিনচিনে ভদ্র গলা শোনা গেলো, "না তোমাদের স্যার এসময়ে বাসায় থাকেন না। উনি এখন সম্ভবত য়্যুনিভার্সিটির মাঠে ড্রোন নিয়ে খেলাধুলা করছেন ছাত্রীদের সাথে। দরজা খুলে দেই উঠে বসো। চা খাও উনি এসে যাবেন তন্মধ্যে''
হাতে চা খাওয়ার একদম সময় নেই দেখে চা খাবেনা দরজা খোলার দরকার নেই, বলে শয়তানের বাচ্চারা চলে গেলো য়্যুনুভার্সিটির মাঠে। সেখানে দিকপাল সাহেব ড্রোন উড়াচ্ছিলো না বরংচ ডান হাত মাথায় দিয়ে, বামহাতে মোসগুলো একবার এদিক একবার ওদিক ছড়িয়ে গভীর চিন্তায় চিন্তামগ্ন! মাঝে মাঝে বা হাতটা আনমনে চলে যাচ্ছিলো নোস্ট্রলেও।

শয়তানের বাচ্চারা তাঁর পিছনে এসে চোরের বাচ্চার মতো দাঁড়িয়ে কাচুমাচু গলায় বললো-
 "আপনি কী সরফরাজ দিকপাল?''
      "হ্যাঁ!''
"কী করছেন এখানে?''
     "কাল কী বিষয়ে কলাম লিখে মৌলবাদীদের ঘেটি থেকে কল্লা আলাদা করা যায় সে বিষয়ে ভাবছি।''
"অহ আইচ্ছা! আইচ্ছা!"
      "তো এদিকে ফেরেন। কথা আছে। ওদিকে ফিরে বসে আছেন ক্যানো?''
"তোমরা যারা এত প্রশ্ন করো: ইচ্ছে হলে ফিরবো। এখন যাও বাড়ি গিয়ে আমার সায়েন্স ফিকশান মুখস্ত করোগে যাও....''
      "আপনি যাদের ভাবছেন আমরা তারা নই। আমরা আপনার ছাত্রী নও, আমরা শয়তানের বাচ্চা। শয়তানের রাজত্ব থেকে এসেছি। "
অাশ্চর্য হয়ে দিকপাল পিছনে তাকায়। পিছনে তাকিয়েই সে হতভম্ব হয়ে যায়!

"আপনারা! আপনারাই কী তাঁরা যাদের আমি সিগন্যাল পাঠিয়েছি?'' চকচক করে ওঠে দিকপাল সাহেবের চোখ।
    "হ্যাঁ আমরা।'' শয়তানের বাচ্চারা জবাব দেয়।
 খুশিতে আত্মহারা দিকপাল খুশিতে, ঠ্যালায়, ভাল্লাগে, ঘোরতে প্রায় চিৎকার স্বরে বলেন,
"চলুন চলুন বাসায়। আমার গিন্নি খুব চমৎকার লিকার ছাড়া চা বানায়। খেতেখেতে গল্প করতে পারবো। "
      "না আমাদের হাতে সময় নেই!'' এরপর এক শয়তানের বাচ্চার ডাউট হলো, সে চিন্তা করে শয়তানের প্রতিনিধিত্ব করে এমন কারোর তো বিনয়ে গদগদ হওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা! আগপাছ না ভেবেই সে জিজ্ঞেস করে বসে-
     "আপনি কী সত্যই দিকপাল সাহেব নাকি ভুরুংবাজি করছেন?"
"কেন ডাউট হচ্ছে?'' বলেই তিরিশ বছরে না কাটা মোস ছেচল্লিশ বছরে না কাটা নাকের পশম উঁচিয়ে - "তোমরা যারা সন্দেহপ্রবণ: এখনো সন্দেহ আছে?''
এবার উল্টো চকচক করে ওঠে শয়তানের বাচ্চাদের চোখ! তাঁরা সরফরাজ দিকপাল কে চ্যাংদোলা করে মাঠে থামিয়ে রাখা একটি ড্রোনে চেপে পারি দেয় শয়তানের রাজত্বে। এবার তাঁরা আরাম করার সুযোগ পাবে। দিকপাল তখন মোসে তাঁও দিতে দিতে দাঁত বের করে হাসছিলো। নাকের দুই ফুটো থেকে উঁকি দিচ্ছিলো কাঁচাপাকা ছেচল্লিশ বছর পূর্বের সেই না কাটা পশম!

এমিনেম : কখনো হারেনি

১.
রিয়েল লাইফে আমি যারে গানের দেবতা হিসাবে পূজো করি সে হলো অ্যামিনেম। আমার সংগ্রহে অ্যামিনেম এর ১৮০টা গান আছে প্রায়। সবগুলোই আমার প্রিয়র তালিকাতে। লেখাটা যখন লিখতেছিলাম তখনো আমার ব্যাকগ্রাউন্ডে প্লে হইতেছিলো অ্যামিনেম, ফিফটিসেন্ট,ক্যাশিশ, ইলিয়ড ব্যাংকসের ডোন্ট নো। আমি আর রাজ এই গানটা ২বছর যাবৎ শুনতেছি আর প্রতিদিনই কমপক্ষে একবার। 
অ্যামিনেম আর টুপ্যাক শাকুর এর নাম এখন একই সাথে উচ্চারিত হয়। 
অ্যামিনেমের প্রথম অ্যালবাম ইনফিনিটি বাইর হইলো ১৯৯৬ সালে। ফ্লপ হইছিলো। মাত্র ১০০০কপি বিক্রি হইছিলো ঐটা। তখন আশেপাশের ঐযে কাক পাখিরা তাঁরে র‍্যাপ করা ছাইড়া দিতে কইছিলো। তাঁরা কইতো "তুমি তো ধলা চামড়ার তো তুমি কী র‍্যাপ করবা?" (তখন র‍্যাপে ব্ল্যাক আমেরিকানগো একচ্ছত্র অাধিপত্য ছিলো) 

২.
ফ্লপ প্লাস এত নিষেধের পরও অ্যামিনেম তখন র‍্যাপ করা ছাড়লো না। বরংচ সে তাঁর সারফেসের উপরে সমাসীন রইলো এরপর র‍্যাপ অলেম্পিক এ সুযোগ পায় আর ২য় স্থান অধিকার করে। তখনই সে ড. ড্রের নজরে আসে। ড. ড্রে ভিতরের মার্শাল ব্রুস ম্যাথার্সরে দেখতে পায়। ড. ড্রে তাঁরে স্টুডিওতে নিয়া আসে আর প্রথম রেকর্ডটা করায়। ড. ড্রে তাঁরে রিদমডের সুরে বল্ল কও - "মা নেম ইজ, মা নেম ইজ অ্যামিনেম " ড. ড্রেরে আশ্চর্য কইরা সেই অ্যামিনেম বলতে লাগলো - "হা মা নেম ইজ, মা নেম ইজ অ্যামিনেম।''
২০০০ সালে বের হয় অ্যামিনেমের দ্বিতীয় ও সফল অ্যালবাম "দ্য স্লিম শেডি এলপি" এইটা এত সফল হয় যে প্রথম সপ্তাহে ২৮০০০+ কপি বিক্রি হয়! এরপর যেইটা বেরহয় সেইটা রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হয়। এরপরের অ্যালবামটা "দ্য মার্শাল ম্যাথার্স এলপি" যেইটা বিক্রি হয় ১৭৬০০০০ হাজার কপি! এরপরে এরপর একের পর এক আসে কোনটাই আর ফ্লপ হয়নি। আমরা পেতে শুরু করলাম অ্যামিনেম এর বিখ্যাত র‍্যাপপগুলা- আই অ্যাম নট অ্যাফ্রেইড, ব্যাড মেটস ইভিল, লুজ ইওর সেল্ফ, র‍্যাপগড, লাভ দ্যা ওয়ে ইউ লাই, মোকিং বার্ড, ফাল, নো লাভ, বারজার্ক, অন ফায়ার ইত্যাদি।

৩.
 ২০০০ সালে তাঁর মুভি "এইট মাইল" আর তাঁর "লুজ ইওর সেল্ফ'' সেরা র‍্যাপ সং হিসেবে পায় গ্রাম্মি অ্যাওয়ার্ড! অ্যামিনেম সেই ঘেটোর র‍্যাপার মার্শাল ম্যাথার্স থিকা হইয়া ওঠে আমাদের সকলের প্রিয় অ্যামিনেম! লুজ ইওর সেল্ফ যারা শুনছেন, নিশ্চই তাঁরা গানটার এই কথাগুলা বার না আওড়াইয়া পারেন না "He's nervous, but on the surface he looks calm and ready
To drop bombs, but he keeps on forgettin'
What he wrote down, the whole crowd goes so loud
He opens his mouth, but the words won't come out
He's chokin', how, everybody's jokin' now
The clocks run out, times up, over, blaow!
Snap back to reality, oh there goes gravity''
এই সং রাইটার এখানে অ্যামিনেম এর সাথে আমাগোও আঁকছেন। যখন আপনি স্টেইজে গান বা কবিতা একটা কিছু বলতে যাবেন, দেখবেন স্টেইজের আশেপাশে কিছু ছাগল টাইপের মানুষ আপনারে হাসে। আপনি বিষম খান। আপনার মনে আবৃত্তি আছে কিন্তু মুখ থিকা তখন বের হয়না। গলায় আটকে আছে। এখন আপনার গলায় আটকে থাকা আবৃত্তি বা গানটা যে কইরা হোক বের করতে হবে। বের করলেই দেখবেন যারা স্টেইজের পাশে হাসাহাসি করতেছিলো, ওরা হাসি থামায়ে দিয়া আপনার গান বা আবৃত্তি শুনতেছে, তাতে সেইটা মানসম্মত হোক বা না হোক। আপনি যে গাইতেছেন বা আবৃত্তি করতেছেন সেটাইতো অনেক কিছু নাকি?
স্টেইজটা হইলো যুদ্ধক্ষেত্রের মতো। এইখানে সারা পারা মাতানো দামাল বাচাল ছেলেটাও বোবা হয়ে যায়!

পিউডাইপাই এবং একজন বাঙালী নারী

পিউডাইপাই এবং একজন বাঙালী নারী
(লেখা পইড়া আমারে ফিমেনিস্ট মনে করলে আমার কিছু আসে যায় না)

আমি যারে দেইখা সবচে বেশি ইন্সপায়ার্ড হইছি সে হইলো পিউডাইপাই। একটা লোক, একলা একা এতবড় হইতে পারছে একমাত্র নিজের আর্মস, নী'র শক্তি আর মেধায়। আজ তাঁর ইউটিউব সাবসক্রাইবার সংখ্যা ৭৬ মিলিয়ন! বিশ্বের এক নম্বর ইউটিউবার। কয়েকদিন আগে ছিলো ৬৫ মিলিয়ন। তখনো এক নম্বর ছিলো। টি-সিরিজ এর সাথে একটা বুদ্ধিদীপ্ত ফ্যাসাদ তাঁরে আরো ১০+ মিলিয়ন সাবসক্রাইবার জুটিয়ে দিছে। পিউডাইপাই শুধু যে ইউটিউব নিয়া বইসা রইছেন তা না, তাঁর রয়েছে নিজস্ব শপ। সেইখানে সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বেচাকিনা করেন। এখন তাঁর যদি ইউটিউব চ্যানেলটা বন্ধ হয়ে যায়, তাতে তাঁর ইনকামের কিচ্ছু হবে না! 
পিউডাইপাই একাই সব করেন। একাই পথচলা শুরু করছিলেন ২০০৬ এ। সেই একা একা একটা লংরোডে তেরোটা বছর হাঁটতে হাঁটতে সে আইসা দাঁড় হইছেন আজকের এই স্থানে। পিউডাইপাই আপনাকে খুব সুক্ষ্মভাবে বুঝাবে,
 "ইফ ইউ হ্যাভ লটস অব মানি, ইউ ক্যান ফাক এভরিথিংস এভার ইফ ইউ ওয়ান্ট!'

আমি জানি এই ফেসবুক লাইফের লিজেন্ডারি হইলো গিয়া ধোয়ার মতোন। "ফু'' দিলেই নাই। ফেসবুকে আপনার পপুলারিটি একটা ইল্যুশনের মতোন। দেখলেন এই আপনি জনপ্রিয় আবার চোখের পলকের মধ্যে নাই হয়ে গেছে। এইখানে একটা মেয়ে ইনবক্সেই সেলিব্রিটি। শতশত মেসেজ তাঁর ইনবক্সে জমা হয়। মূলত ঐ মেসেজগুলাই একেকটা ফালতু সময় নষ্ট করার মতো। হাই, হ্যালো, ভালো লাগে, ক্রাশ খাইছি ইত্যাদি। ইনবক্সের যেই ছেলেটি আপনার উপর ক্রাশ খায়, দেখবেন ঐ ছেলেটা আবার অন্য মেয়ের উপর ক্রাশ খাইতে সময় নিবে না। আর যে আপনারে বলে "ক্রাশ খাইছি!'' সে আপনারে স্পেশাল নাও ভাবতে পারে। সো সে আপনারে মেন্টালি সাপোর্ট না ও করতে পারে। ৮৫% বাঙালী ছেলেরা গার্লফ্রেন্ডরে মেন্টালি সাপোর্ট দিতে অপারগ। 

 ইনবক্সের বাইরে যে একটা রিয়ালিটি আছে, সেইখানে একটা মেয়ে সেলিব্রিটি হইতে প্রতিবন্ধকতা আছে। ইনবক্সের বাইরে একটা মেয়ে বয়ফ্রেন্ড এর বা স্বামীর কথার বাইরে যেতে পারে না, জোড়ে কথা বলতে পারে না, ফ্যামিলির কোন ডিসকাশনে তাঁরে ভ্যালু দেয়া হয়না, বাইরে রাজনীতি করতে পারে না, না দেখাইতে পারে কোন জোর। একটা মেয়ে যখন কোন বিষয়ে স্বামী বা বয়ফ্রেন্ডরে পরামর্শ দেয় তখন স্বামীর জবাব থাকে "মেয়ে মানুষ বেশি বুইঝো না তো!'' 
মানে ফেসবুকে আপনার একটা মেয়েরে সেলিব্রিটি মনে হইলেও সে পার্সোনাল লাইফে একজন সাধারণ মেম্বারের গুরুত্ব ও পায় না। ফেসবুকে হাসিখুশি ফ্যাশন্যাবল ছবি দেইখা মনে হবে যে, এই মেয়ে চব্বিশ ঘন্টাই থাকে সম্ভবত হাসিখুশির উপরে। কিংবা শতভাগ লাক্সারিয়াস লাইফস্টাইল তাঁর। কিন্তু না। আপনি যখন মেয়েটার রিয়ালিটিতে প্রবেশ করবেন দেখবেন ঐ ছোট্ট দুনিয়ায় সে সবসময় একা আর ডিপ্রেশন প্লাস হীনমন্যতায় ভুগে। সে চিন্তা করে, আরে আমি তো একটা মেয়ে আর এই কনজারভেটিভ সোসাইটিতে আমার কোন দাম নাই!

 ছেলেদের কথা যদি বলি, মেয়েদের মতো অত ডিপ্রেশন তাঁদের না থাকলেও একই রকম অনুভূতি সম্পন্নও। তো এইসব খুচরা আলাপ করার একটাই কারণ আর তা হইলো, ফেসবুকের বাইরে মেয়েদের বা ছেলেদের একটা আলাদা জগৎ আছে যেইটারে বলে রিয়ালিটি। এই রিয়ালিটিতে মেয়েরা বা ছেলেরা যেসব কারণে ডিপ্রেশড থাকে সেইসব কারণ ডিসকভার কইরা ঐরকম ঔষধ প্রোয়োগ করা উচিৎ ফ্যামিলি থিকাই। আপনি আপনার মেয়েকে গুরুত্ব দিন, যেমন দেন আপনার অন্যান্য সদস্যদের। মেয়েকে আপনি গালি দিয়েন না। তাদের সাপোর্ট দিন এবং সর্ব কাজে। ছেলেরেও তদ্রুপ।
আর যদি কোন মেয়ে ফ্যামিলি থিকা সাপোর্ট না পায় সেইক্ষেত্রে মেয়েটা নিজরে যেন কোনভাবেই ছোট না ভাবে। এইটা আমার পরামর্শ। 

মেয়েরা একটামাত্র কারণেই নিজরে আগাইয়া নিতে পারে না সেইটা হলো, সে নিজরে কখনোই একটা পুরুষের সমান ভাবতে পারে না। দেখবেন এইটা তাগো কথায় কিন্তু প্রকাশ পায় "আহারে যদি ছেলে হইতাম!'' বা "তুমি তো ছেলে, সব করতে পারো। আমি মেয়ে সব করতে পারি না!'' ইত্যাদি ইত্যাদি। এইসব নিম্নমানের ভাবনা যেন মেয়েরা না করে। তাইলেই অসম্ভব হবে তাঁরপক্ষে একজন নারী পিউডাইপাই হওয়া।  

একজন পিউডাইপাইর কথা এই প্রসঙ্গে বলার কারণ হচ্ছে, মেয়েরা যদি নিজরে ডেভেলপ করতে চায় সেইক্ষেত্রে তাঁর পিউডাইপাই'র মতো একা একা সব শুরু করতে হবে। একাই তাঁর পথচলা শুরু করবে এই কারণে "সে তাঁর সঙ্গীরে তাঁর সাপোর্টার হিসেবে নাও পাইতে পারে। মেয়েদের সব বিষয়ে সাপোর্ট দিবে এমন পুরুষ পাওয়া দুষ্কর! '' তাহলে কী একটা মেয়ের স্বপ্ন দেখা ধুলায় মিশবে? না।
দ্যা অ্যালকেমিস্টে একটা কথা বারবার বলছেন সেই বুড়ো রাজা "তুমি যখন কিছু পেতে চাও, পুরো পৃথিবী তোমাকে সেটা দেওয়ার জন্য ব্যাকুল থাকে। তোমার শুধু ইচ্ছা থাকতে হবে। '' সো মেয়েদের ও বিভিন্ন দিকে না তাকিয়ে, কে তাঁরে কী কইলো ঐসব না শুনে শ্রেফ সামনের দিকে হাঁটতে হবে। "You can dream it, you can do it.''