রোড
ও অজিলা এই রোডের শ্যাষ কই, তুমি কী পথরে খোঁজো?
দুইটা হৃদয় যখন একসাথে সঙ্গমে মাতে;
সংগত কারণেই তখন পথ বা সময়ের মৃত্যু ঘটে।
ও অজিলা পথিক তুমি
যাইতে হবে তোমার অনেকদূর
শীর্ণ বসনে
তাকিয়ে থাকো চাঁদের পানে
হাটতে থাকো নির্দিষ্ট একটা দিকে
যেখানে চাঁদ থেমে যাবে
তোমার সাথে আর চলবে না
সেখানেই তোমার পথের মুখ
হাটতে থাকো…
সঙ্গম থামাও…..
প্রেমিকের দৃঢ় শিশ্নের মায়া কাটিয়ে
উঠে দাঁড়াও আর চলতে থাকো।
সময় হওনের আগে যাইতে হবে তোমার!
কাব্যিক গালাগালি~
অনেকদিন যাবৎ তোমারে দেখি,
অথচ কিছু বলতে পারতেছি না চুৎমারাণী!
কী একবালের চেহারাখান ফুটায়ে সেই যে গেলা গা
সেই থিকা চুদির ভাই মনটা খেলতেছে বালের প্রেমের খেলা!
তুমি একটা বাজে ছাই রঙের ড্রেস পইরা আসলা
দেখতে বালের মতো অথচ আমার ভালো লাইগা গ্যালো!
তুমি হাসতেছিলা মনে হইতেছিলো ভেটকি দিছে বোয়াল মাছে,
অথচ আমার মনে হইতেছিলো যেন গোলাপ একটা ফুইটা আছে গাছে।
তুমি গাইতাছিলা গান কাউয়ার কন্ঠে
কিছু পাতিশৃগাল আমি হাটতে দেখছি তোমার আশেপাশে,
অথচ আমার মনে হইলো যেন
বসন্তের কুকিল সকালের ডাক ডাকতেছে
আমাগো কাঠবাদাম তলায়!
আমি তোমার মাঝে প্যাঁচা দেখতে গিয়া শালিখ দেখছি
কাউয়া দেখতে গিয়া দেখছি ময়ূর।
আসলে এইসব বাল ও না, এইসবরে বলে শাউয়ার ভালো লাগা।
আর তোমারে ভিন্নরূপে দেইখা আমার ভালো লাগা থেইকা জাগ্রত হইছে শাউয়ার প্রেম।
আফসুস তোমারে বলতে পারি না।
লজ্জা নিজের কাছে পাই না
অনবরত খিস্তি করে যেতে পারি
খোলা ময়দানে ল্যাংটা হোয়েও হাটতে পারি,
অথচ তোমারে যে ভালোবাসি;
এইটা বলতে আমার হাটুতে-হাটুতে কাঁপুনি ধরে!
কী একটা আমার বালের কপাল
শূণ্যে ভাসা তোমার স্তনযুগল
এর মতো গোল!
গালিই দিবো তোমারে
আমার মনের অসুখ যেহেতু তোমার হেতুতে,
আসো প্রাপ্য সম্মান তোমারে দুইচা দিতে থাকি বাল
আমার কপাল
ঢাইকা আছে মেঘের মতো কালা
চুলে বালে একাকার!
কী এমন জাদু জানো যে এই রাইতের ব্যালাও তোমারে মনে কইরা আমি কাঁদতাছি চুৎমারানি?
সিনালেরে সিনাল আর মাগীরে মাগী কইতে পারাটা আমার স্বার্থকতা আমি জানি।
তোমারে এত ভালো লাগে ক্যানো শাউয়া?
ভালো লাগে লাগুক আবার প্রেম জাগ্রত হইবে ক্যানো বাল?
মাআসসালাম
মা আসসালাম।
প্রেমিকা ক্যামন আছো?
আলহামদুলিল্লাহ্ কওয়ার মতো আশাকরি ভালো।
এই পার্কটা ক্যামন?
লাগে তোমার।
আজ বসেছি এ পার্কে দুটো পাখি
আসো ডিমে তা দিতে দিতে বলতে থাকি
বিভিন্ন কথা
কিংবা দিতে থাকি চারপাশের উপমা।
।।জবা।।
গাছে গাছে লাল জবা ফুটে আছে, সুন্দরী বউ,
জবারে আমার লাগে ভালো এত ভালোবাসা ধরে জবার পত্রে গৎবাঁধা যৌবনের ঢেউ!
জবার গন্ধ নাই অথচ কত নিজে ধরে;
সৌন্দর্য ডালের মাথায় বসে আছে খোপা মেলে বৈশাখে সেঁজে আসা শালিখ;
সাদৃশ্য দ্যাখো কত সুন্দরী জবা সাজায় তোমার খোপারে!
মনে হয় যেন প্রেমিকা রাধিকা শাড়ি পরে কাঞ্চন বালা সমেত
বসে আছে কুঞ্জু বনে প্রেমিক কৃষ্ণের আশায়!
যেন মিস্টি লাল সুন্দরী টুনটুনি বার্ড ডানা দুটো মেলে
দিয়ে লাল অন্তর্বাস ঢেকে বসে আছে নিজের বাসায়।
।।পার্ক।।
এইযে খোলাম্যালা পার্কটা দ্যাখো
মুখরিত কত কোলাহলে,
কোমল পরশ তবুও মহুয়ার ডালে।
প্রেমের পরশে নিস্তব্ধ পার্কের প্রতিটা গাছ
অশোক গন্ধরাজের গাছে ছুঁয়ে যায়
পূরবী হাওয়া।
গাছগুলো মহুয়া ফুলের শুভাসে মাতাল
যেন পৃথিবীর বুকে মদ্যপ্রবণ রাজা বুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
পৃথিবীর কাছে তার অগণিত চাওয়া!
হাহ দ্যাখো প্রেমিকা কত সুন্দর এই পার্কটা লাগছে আজ!
কংক্রিটে সাজানো একেকটা পট্ট
চলো কংক্রিট ঘেষে বোসে পরি।
খোলো তোমার শাড়ির ভাজ।
ডিমে তা দেও।
।।সাদা শুকনো ঘাস।।
দ্যাখো কী নিদারুন সাজে সেজেছে
এক কোণে পরে আছে থকথক।
কাকা জাহাঙ্গীর আলম
ও কাকা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম
আপনার বাড়ির সামনে শুকাইতে দিছি আউশের ধান,
গন্ধে মঁ মঁ আপনের বাড়ির উঠান
যদি চান মুষ্টি ভরে চাবাইতে পারেন সেদ্ধ সুস্বাদু ধান।
কাকা আপনের আল্লার কছম
একটু তাকায়ে দেখবেন যদি পারেন।
আমার ধানে বইসতে পারে শালিকের ঝাঁক,
বা লাল মুরগের পাল, হাঁস কিংবা নয়াল বাছুরে,
মুখ দিতে পারে আমার ধানে।
কাকা যদি পারেন, আমার ধানের
কিঞ্চিৎ কালের জন্য জিম্মাদার হয়া যান পিলিচ!
কাকা মুচকি হাইসেন না! এই ধান থাইকা আসবে চাল,
চাল থাইকা বুটবুট শব্দে আপনের চুলায় ফুটবো নুতন চাইলের ভাত/ জাউ।
নারকেল কোড়ায়া নতুন কাটা রস দিয়া আপনে তা খাইবেন লোকমায় লোকমায়।
অথবা খাইতে পারেন ধুমা ওঠা পিঠা
কাকা সাবধান লস কইরেন না কিঞ্চিৎ
যদি চান খাইতে আউশের নুতন ফ্যান
তবে আমার ধানে নজর দেন।
কাকা পিলিচ! যদি মুরগের পাল দেখেন, পিটায়া ভাঙবেন ঠ্যাঙ,
আমরা মুরগের গুশত দিয়া ভাত, জাউ আর শিন্নি খাব।
গরুর ছানা দিবো পাশার খোয়ারে
কাকা আমরা পকেটে ভরুম মাইনষের টাকা
দোকানেত আইসা খাবো কাঠ বিস্কুটে ভিজায়ে কড়া লিকারের চা!
কাকা আপনার যদি মনে লাগে সোয়াদ তবে এক মুষ্টি ধান হাতে চাবাইতে থাইকেন!
হাবীবি
ইয়া হাবীবি
তুমি চাঁদের বিবি।
ডেথড্রাঙ্ক
অর্ধশত বছর আগে আমি মরে গেছি
সেদিন আমার দেহ কে বাইন তালাক দিয়েছিলো ধৃষ্ট আত্মা!
আমি মরে গিয়েছিলাম সেদিন অহেতুক
প্রেমিকার পাতা ডেথ ট্রাপে,
আমার আত্মার সাথে মৃত্যুর কোলাকুলি হয়েছিলো!
আমার জানাজা পড়ায়েছি নিজে,
কাঁধে তুলে সাড়ে দুইমণ এর লাশ
পূবের গোরস্তানতক নিয়ে গেছি।
কবর খুড়ে মাটি চাপা দিয়েছি নিজেই নিজের দেহ,
পদদলিত করেছি নিজের খোমা যতক্ষণ না
একটু বাতাস ঢোকার ছিদ্র থাকে কবরে।
জানি তোমাদের বিশ্বাস হবে না, আমি মৃত সত্ত্বা
আমার দেহের প্রত্যেকটা অনু পরিমাণ পিশিত, আমার আত্মা
মিশে গিয়েছিলো মহিরূহের খাদ্যের যোগানে।
আমার জানাজা দাফন, ছওয়াল জওয়াব হয়ে গিয়েছিলো অর্ধশত বছর আগেই!
এখন একটা খোসা হিসাবে আমার অস্থিসমূহ পৃথিবী ব্যেপে
তোমাদের অনুভূতি গ্রাহ্য করে ঠিকই-
অথচ সেইম অনুভূতিতে সাড়া দেয়না,
অ্যাজ ইট অয়্যার অ্যা ডেথ-ড্রাঙ্ক!
মহিরূহের প্রতিটা শিকড় জানে
তাদের হিউমাসের যোগান দিয়েছিলো আমার পচা ক্ষয়িত দেহাংশ!
আমার অস্থিসমূহ, যদিও আরো এক কুটি বছর বেঁচে থাকে,
একে জড়বস্তু ছাড়া কিছু ভাবা যাবে না-
যেহেতু আমার আত্মা মৃত,
সেহেতু আমাকে তোমরা জীবিত বোলো না!
লাশ
লাশের মিছিল দ্যাখো প্রতিটা মেইনরোডে
স্তূপ জমে আছে পঁচাগলা লাশ
কেউ বা দাবী আদায়ের হেতুতে
কেউ বা মরেছে সরকারের রোষে।
খেতে না পাওয়া শীর্ণ দেহ যারা মরে পরে আছে,
ওঁরা বজ্রকন্ঠে তেতে বার বার বলে উঠছে,
“আমাদের খাওন কই? খাওন দে নতুবা মন্ত্রীর চেয়ার দে চিবিয়ে খাবো!”
গুলি খেয়ে যারা রাজপথে মরে পরেছিলো,
ওরা লবন মেখে পারুদ সমেত বুলেট চিবিয়ে খাচ্ছে!
প্রাণহারা এই পাখিগুলো একটু অধিকার নিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলো
কে জানতো পৃথিবীতে অধিকার মানে গুম হয়ে লাশ হয়ে যাওয়া?
কে জানতো অধিকার মানে বেওয়ারিশ কাঁটাতারে ঝুলে মরে যাওয়া?
কী আশ্চর্য! আমার অধিকার, আমার ক্ষিধা,
আমার তৃষ্ণা আমারেই লাশ বানায়!
ঝুলিয়ে রাখে বেওয়ারিশ লাশ করে রাস্তায় কিংবা ড্রেনে
ও ক্ষিধা তুমি নিজেও গুম হয়ে যাও!
ভ্রম
আর যতকাল আমার ভ্রম হবে খুঁজে নিতে মায়ার প্যাটার্ন থেকে তোমায়,
তুমি জেনে রেখো; তুমি ততকাল মায়ার গভীর প্যাটার্নে অগভীর কাদাজল
আর আমার পচত্বপ্রাপ্তির দীর্ঘ সময় পর-
কাদা-জল এক করে টুটাবো নিরেট সে প্যাটার্ন!
0 comments:
Post a Comment