না
ধরো আমাদের পথ খোলা ছিলো
কোন ক্রমে আমরা দৌড়ে পালালাম।
কই যাবো?
লাফ দিয়া বৃন্দাবন
হিমালয়
আফ্রিকার বন
কিম্বা অ্যামাজন?
না!
ইয়াদ নাই।
আমার হাতের বদলে দুটো শক্ত ডানা নাই, উড়ে যাওয়ার স্বপ্ন বৃথা।
তবুও মনে কর একভাবে গেলাম।
যদি অ্যামাজনে যাই তবে খাবো কী?
আমি কী বিয়ার গ্রেইল নাকি যে, দলা পাকানো কেঁচো খাবো?
না!
ইয়াদ নাই।
সম্ভব না।
জানো তো, মিলনের চে খাওন বড়?
আবেগের চে জীবন বড়!
তোমারে নিয়া আমি আবেগে পলায়া যাবো
গিয়া বড়জোর কী করবো?
আমরা মিলনে লিপ্ত হবো হরহামেশাই।
পথ ভরা মৃত্যুর থাবা,
অথচ ভালোবাসতে হলে বাঁচাটা প্রয়োজন।
পথে ক্ষুধা-তৃষ্ণা পেলে আমি তোমার গোশত চাবায়ে খেতে পারবোনা!
আমরা বাচ্চাকালে প্রশ্ন করতাম “ক্ষিধা বড় না চোদা বড়?”
অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আমরা মেনে নিতাম “খাওয়া!”
পাখি! ক্ষিধা পেটে চোদার আর আগ্রহ থাকে না হাহা!
শে
আমার সামনে একটা দীর্ঘতম মাঠ ছিলো।
দীঘল দীঘি ছিলো।
আর ছিলো একটা সফেদ গম্বুজ।
গম্ভুজটি অবিকল যেন কুমারী নারীর স্তন যুগলের মতো
খাড়া ছিলো কারো হাতের স্পর্শে।
গম্বুজের চূড়ায় একটা শালিক বসা ছিলো।
উড়তে উড়তে শে ছিলো ক্লান্ত পথিকের ন্যায় দিশেহারা!
আমি জিজ্ঞেস করলাম ও শালিক তোমার সে কই?
ভাগ্যক্রমে শে ছিলো একটি বোবা শালিক।
যথাক্রমে শে ছিলো অন্য বোবাদের মতো রূপসী শালিক।
শে কোন কথা না বলেই সংকীর্ণ ডানা ঝাপটায়ে,
দীর্ঘ পথ উড়াল দিলো চিলের সাদৃশ্য।
হ্যালুসিনেশন!
দীর্ঘপথ উড়াল না দিয়ে শে সামনের দীঘির ফটিকজলে
তাঁর পাখনা খুলে নাইতে নামলো।
তার পরনের শেষ অঙ্গরুহ খোলাতক আমি তাকিয়ে ছিলাম।
শেষতক উলঙ্গ শালিক জল ঠেলে ঠেলে সেড়ে নিয়ে দীর্ঘ মাঠের
ও প্রান্তের গাছে উড়ে গেলো পবিত্র গোসল।
আমি দীর্ঘ মাঠের দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করে তাকিয়ে ছিলাম
যতক্ষণ দেখা গ্যালো অঙ্গরুহ অনাবৃত উলঙ্গ রূপসী শালিক।
শ্যামলীর চটিগপ্প
যদি মিথ্যেয় ভর করা “শ্যামলি”র গল্পে
তোমাদের ভালোবাসায় ফাটল ধরতে থাকে
আর নীল আন্তরীক্ষ কালো মেঘে ছেয়ে যায়,
তবে তোমাদের সে ভালোবাসায় ঘাটতি ছিলো।
যেমন মেঘযুক্ত আকাশের বরাবর ফাঁক দিয়ে
বৃষ্টির খেলা খেলা ভাব হয়, কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই!
জানি একদিন তোমাদের প্রেম ভেঙে যাবে,
আর মন ভাঙবে একই সাথে
বৃষ্টিতে দুজন আর ভিজবে না
কত আকাঙ্খা জমা পরে রবে
অথচ তোমরা দুটি পাখি আর এক হবে না!
হা হুতাশ করে মরে যাওয়া মাছরাঙা পাখিটি
পায়না জলের নাগাল
জলেই খাদ্য তার কোটরে বাসনা!
শেষ অবধি কোন ফাঁদ পেতে সে জলের নাগালে যেতে চায়।
মাতাল~২
যদি উড়ে এসে জুড়ে বোসে যাই
লাফ দিয়ে ঘাড়ে উঠে যাই
আর পানকরি পেয়ালা ভরা মদ
তবে দয়াকরে দিও মেঘফুল, মেঘের মুকুল ঝরে পরে দীর্ঘ সাধনার পর!
মানুষের নুনুভূতি
হেটোনা খোলা রাস্তায় একা
কার কুনজর কোন ভুলে
তোমার শরীরে
ভর করে শেষ অবধি
দুর্ভাগ্যের অঙ্ক কষে যাবে হাহ!
তাকিওনা পেছনে, পেছনে তাকালে
আমার বড় শঙ্কা হয় জানো তো?
দ্যাখো কালো কাক হা করে তাকিয়ে রয়েছে
কখন কুলক্ষণা ডাক দিবে কে জানে!
ভীত অনুভূতি আমাকে সর্বদা শিহরিত করে,
ইন্দ্রীয় অনুভূতিতে আমি বুঝে গ্যাছি-
একা হাটা তোমার সমূহ বিপদ!
এই রোডে কোন প্রক্কালে যদি ম্যাঘ দেখে
থাকো তবে এড়িয়ে যেয়ো কালো ম্যাঘ।
সোফিয়া
সোফিয়া!
জানি তুমি একটা রোবট
আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্সিতে ভর করে তুমি হেগে দিয়ে গ্যালে পলকের মাথায়।
সোফিয়া!
জানি তুমি একটা ধাতব বক্স
অথচ তোমার স্তন যুগল বাঙালীদের যৌন শিহরণ জাগায়,
তুমি কোন যৌবনে ভর করে কে জানে
মুতে দিয়ে গ্যালে আচোদা বাঙালী বাবুদের মুখে!
বেদুইন
আমার সামনে একটি প্রশস্ত পথ আমি নির্ভয়ে ছুটে চলি,
গ্রীবাদেশ হতে উন্মুক্ত কন্ঠস্বর আমার ফোয়ারা ছোটায়;
হায় বেদুইন ছুটে চলো!
যদি আকাশের কোন এক কোণে দ্যাখো
উঠেছে সন্ধ্যে তারা তাহলে প্লিজ
ভগবান ভেবে এগিয়ে না গিয়ে
উপরের দিক তাকিয়ে থাকো!
চার্লস বুকোস্কি কে একটি কবিতা
রাত যখন তিনটে তিন
আমি শেষ সিগারেটটা টেনে
এসে ভর করে নিজের মেমব্রেনে
ভাবি এই রাত আজ তোমাকে উৎসর্গ করবো ফাকার!
তুমি খুশি হলে আমাকে ধার দাও একটি পঙক্তি
আমি তাহলে জগৎ এর সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতাটা লিখে ফেলি।
আমার প্রতিটা অর্গান যখন বাধ্যগত হয়,
আর চিরায়িত জিনার গল্প বলে
আমি তোমাকে ভাবি।
আমি তোমার কাছ থেকে যা পেয়েছি,
তলাতক হাত দিয়ে দেখি- ভেজা
একটা আন্ডারওয়্যারে সব মোড়া।
হু, সর্বদা তাকিয়ে দেখতে থাকো,
আমার পরহিত জাঙিয়া বা আন্ডারওয়্যার
যা তেলচিটচিটে, শরীরের নরোম অবক্ষয়।
বিরল প্রাণী আমি, জগতের সবচে দূর্লভ প্রাণী!
তুমি আমাকে অনুসরণ করো, আর
সাহায্য করো একটি মাত্র পঙক্তি,
তোমার পঙক্তি ভান্ডার থেকে।
চার্লস!
প্রেমিকাকে নিয়ে ভাববার শেষ মুহুর্তে
আমি আমি সিগারেট ফুকতে থাকি,
আমার একটি সিগারেট যেন একটি অ-সুখের দলা;
প্রেমিকার চাহিদা শুধু সুখ!
চার্লস আমাকে ধার দাও একটি পঙক্তি
আমি প্রেমিকাকে মস্তিষ্কে গুলিয়ে ফেলতে চাই
সর্বশেষ টানা সিগারেট এর ধোঁয়ায়!
0 comments:
Post a Comment