ম্যাক্সিম বা বচন


❑মিস❑
একা কফি খেতে খেতে পাশের চেয়ারে প্রেমিকাকে অনুভব করা। কিংবা একটা বিকালে একা আকাশের দিকে চেয়ে থাকা।


 ❑ প্রেম ❑
এক ঝাঁক পাখিদের মাঝেও ব্যক্তিগত স্মৃতি রোমান্থন করে কেঁদে ওঠা। কিংবা একলা হাটতে হাটতে কারো হাত মিস করা।


❑ ব্রেকআপ ❑ 
হিমালয় হতে উৎপন্ন হওয়া বরফের চাই পূর্ব মেরুতে বসবাস করে দক্ষিণের বাতাসরে হারিয়ে ফেলে আফসোসে কাঁদা। 
নতুবা ঝর্না দর্শন করে নিজেকে মহাসমুদ্র ভাবা।



❑ দর্শক ❑ 
মৃদু বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়ে রোদের সমালোচনায় মত্ত হওয়া। আবার পূনরায় বৃষ্টির সমালোচনায় মত্ত হওয়া। অতিরিক্ত কোন কিছুই ফলপ্রসূ কি?



❑ নারী ❑ 
উপরে শিখার মতো দহন। 
ভেতরটা খুড়ে দ্যাখো পাবে শাদা বরফ।



❑ পুরুষ ❑ 
ভাবে হয়ে গ্যাছে বুঝি হরিদাস পাল
মাথায় হাত দিয়ে দ্যাখে টাকে নাই বাল!
আহা কলুর বলদের এমনই কপাল!



❑ মা ❑ 
জেগে থাকা পূর্ণ চন্দ্ররে মনে কর জীবনিশক্তি। সে অন্যের আলো ধার করে পৃথিবীরে বাঁচায়।


❑ বাবা ❑ 
একটি সূর্য যে প্রতিটা উপগ্রহরে স্বশক্তিতে বাঁচিয়ে রেখেছে নিজে পুড়ে পুড়ে।




❑ প্রেমিকা ❑ 
ভাবে বুঝি এই হয়ে গ্যাছে অনেককিছু
অথচ সে ঘাসের ডগার বিন্দু শিশির!
বাতাসে যখন ঘাসের ডগা নড়ে
শিশির তখন মাটিতে পতিত হওয়ার ভয়ে মরে।


❑ প্রেমিক ❑ 
 নিজ পায়ে দাঁড়ানোর সময়ের মধ্যে অচেনা কোন এক বাচ্চা এসে মামা বলে গলা জড়িয়ে ধরে চকলেট খেতে চাইলো।
দূরে দাঁড়ানো শাড়ি পরিহিত কোন এক চেনাজানা নারীর মৃদু হাসিতে লাইফের সবচে বড় লজ্জা পাওয়া।


❑ লাইফ ❑ 
 লাইফ লাইক এ দুই নম্বর প্লাস্টিক পাইপ।



❑কান্না❑
শরীরে ঢুকাই পরিমাপে কি আজব জল
অভিমানে সেই জল নেত্রে ছলছল!



❑অভিমান❑
হা হুতাশ করে আগে
ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি কেউ ভাগে।
একটু যদি করা হয় অপমান
মুখভার দ্যাখো কত করে ভান!



❑হৃদয়❑
তোমারে উপলব্ধি করি আছো
তোমারে দেখতে চাই অথচ কত ছলনা তুমি জানো,
তোমারে দেখা যায়না ভুলেও কখনো!


❑সত্ত্বা❑
উপলব্ধি করার আগেই ফীল করি তুমি মরে গ্যাছো।
 ফীলকরি, তুমি নেই অথচ নিজের মাঝে 
দৃষ্টি দিয়ে দেখি তুমি ভবিষ্যতের
 রঙ মেখে ভান করে আছো
 যেন এই, “তুমি কিছুই জানো না!”


❑বিশ্বাস❑
ভাঙলে ঘনঘন বের হয় দীর্ঘশ্বাস!



❑মৃত্যু❑
দেহ ছেড়ে সমস্ত কর্মভার চলে যাওয়া
অহমিকার জন্য নিথর দেহ পুনঃপুন অপদস্ত হওয়া।



❑ অ্যাটিটিউড ❑
শার্টের কালার, জুতা আর পকেটের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি আমার বালের যোগ্যও তুমি না!



❑ক্ষুধা❑
পৃথিবীর অপর প্রান্ত হইতে পৃথিবীরে খাইতে থাকা।
নিজের শরীরের মাংস খাওয়ার পূর্ণ আকাঙ্খা।

❑ক্রাশ❑
ভালোলাগার পর পেছনে তাকানোই তোমার বড় অপরাধ!
 এরপরে কি নিপুন কুশলী তুমি সহজেই চলে যাও! 
মুগ্ধতা ক্রিয়েট হওয়ার পর বলদ ভাবটা স্বাভাবিক!



❑আত্মা❑
একটি মানুষের দুটি ছায়া থাকে। ১ টি ছায়া তাঁর অন্যটি সত্ত্বার।



❑জ্ঞাতী❑
কাকা ও কুকুর
দুজনার খুব মিল;
দুজনেই অপরের হক
কেড়ে নিতে মজা পায়! 


❑বড় পাপ❑
পূনরায় শিশুকালে ফিরা যাইতে চাওয়ার মতো অপরাধ আর নাই!
 আমার ভাই!
যেহেতু শিশু হইতে তুমি আবার বড় হইতে থাকবা।


❑ছোটপাপ❑
সবচে ছোটপাপ হলো প্রেমিকারে মিথ্যা বলা।



❑প্রতিশোধ❑
তোর লাশের খাটিয়ায় লাথি দেবো! কবরে রাখার পর তোর দেহ পুনরায় উঠায়ে ৬৩ টুকরো করে কুত্তারে খাওয়াবো! 
এরপরে তোর মুন্ডুটা দিয়ে ফুটবল খেলাবো!



❑ধর্ম❑
একটি রসালো ফল 
কারো কাছে সুমিষ্ট মোদীরা
খেলে উপকার হয়;
আবার, কারো হয়ে যায় আমাশয়!



❑পরকাল❑
মৃত্যুর পর বাকিটা পথ আর শেষ হয় না
আত্মার কর্মাদিতে ভর করে চালিয়ে যেতে হয় বাকিটা সময়!
 শুনেছি ওপারে কলা রুটি পাওয়া যায়!
অতএব ক্ষুধা নাই সেখানে।

❑বন্ধু❑
।।এক।।
তুই বজ্জাত, তুই ছোটলোক,তুই ইডিয়ট,ত ুই শয়তান গুটিবাজ!
চারপাঁচ গালাগাল শেষে
ঠিক বিকালের রোদে
দুটো ইডিয়টই একসাথে
আনন্দে ভ্রমনে বের হয়ে
চার চোখে একই নারীর প্রতি ক্রাশ!

।।দুই।।
কত কথা কাটাকাটি
কত জঘণ্য গালাগালি
অচেনা এ পথ
তবুও পাশাপাশি হাটি।
একই নারীর পরে
দুটো চোখের ক্রাশ
ওঁর জন্য জায়গা বেজায়গায়
খেতে হবে বাঁশ! 
কত অভিমান শেষে
একটান সিগারেটে 
সব ভুলে হাসতে হাসতে
গায়ে হেলে পরা।



❑নেশা❑
একবার মস্তিষ্ক ভিতরে ঢুকে গেলে জন্ম দিয়েছে যেই বাবা, সেই বাবা, তোমারেও চিনি না! আমি যে তোমারই পুত্র তাঁর সনদ কোথায়?  



❑পেশা❑
হা হা রাজা
যাহা বলেন সোজা
ধূরো তুমি প্রজা!
কিছু যায় না কেন বুঝা?



❑আশা❑
একদিন! কোন একদিন!
হয়তো বা সকালের শিশিরে
পা মাড়াতে মাড়াতে তুমি,
ফিরে আসবে কবর থেকে বেরিয়ে
হাত ধরে পাশে বসাবে।

❑বিদ্যাসাগর ❑
বিদ্যার রাজত্বে
রাজা প্রফেসর
বিদ্যাসাগর বিদ্যার চর।
বিদ্যার সাগরে রাজা
 হয় ছফা-মজহার
বিদ্যাসাগর এক নগণ্য প্রজা!


❑প্রফেসর❑
মিনিটে মিনিটে পয়দা লয়।
অথচ ভাবখানা এমন
য্যান হয়ে গ্যাছে 
স্তন্যবতী সুরায়েজ খাল,
গগলস লাগালে চোখে
আস্ত ছাগল সে, আদতে
নগণ্য এ মাল,
তিনি চ্যাটের বাল!



❑লাইফ ঢেকি❑
পুনপুন পারা মেরে
ফসল পরিপাটি 
চলিতেছি এমনই
আমাদের লাইফের ঢেকি।



❑নেতা❑
মাইক্রোফোন হাতে 
সাজে জনতার ঈশ্বর
পিছনে পুলিশরে বলে
কর সব ধুলিস্মাৎ!




❑প্রধানমন্ত্রী❑
আধাসের নুন দিলে
খেচুরি পাকাবার
 উপকরণ মিলে
আশেপাশে ডাক দেয়
কোটি বসন্তের কোকিলে।


❑মন্ত্রী❑
গদির উপরে ইঁদুর
 ফসল কাটবার জন্য
 প্রস্তুতি শেষে
ঢেকুর তোলে বড়
তৃপ্তির আবেশে।


❑সাংবাদিক❑
আমি একটি কক্রোস
ডানা আছে উড়িও;
আমি পাখি নয়
পাখির জ্ঞাতিকুল ও না।
বেশি উড়তে আমার ভয়!
অথচ ভাবি আবাবিল পাখি
হয়ে গেছি!
আমার একটি আলোকচিত্র গ্রহণের যন্তর আছে। 
আমার চক্ষু এড়ায়না বিটল পোকাও! 
এড়ায়না এলিভেন অ্যাপোলো।
মাটি খুড়ে ১৭৫৭ সালের নবাবের একদলা পুরানো গু পাওয়া গ্যালো!
আর অভিনেত্রী সূচিত্রা সেন এর শিশুবেলার নগ্ন একখানা তৈলচিত্র 
দেওয়া যাইতে পারে স্ক্যান্ডাল এর পাতায়।


❑করুণা❑
হিংস্র ক্ষুধার্ত বাঘের মুখে হরিণ শাবক বেশ মনের সুখেই ঘাস খাচ্ছে। 
আর বিষধর গোখড়া সাপের লেজে পা দেয়া সত্ত্বেও অ্যা ম্যান স্টিল অ্যালাইভ!

❑সাপ❑
কি সুন্দর দেখি তোমারে
চুম্বনে মাইরা ফ্যালো
 সমস্ত জীবনিশক্তি
কি খ্যালা খেলে যাও 
তুমি ওগো শব্দের রাজা
যেইভাবে মাথা দোলাইয়া
 ফোসফোস করো;
মনে হয় যেন খাও আসরের গাঁজা!


❑মানুষ❑
বডিতে গুম হয়ে যায় পৃথিবীর সমস্ত আনন্দ, কষ্ট। অতঃপর নিজের মধ্যে নিজেরে গুম করে ফেলা।


❑মনুষ্যত্ব❑
মনুষ্যত্বের মাত্রা আশি বাই একশো যাদের তাঁরা অতি সরল, যাদের বোকা ডাকা হয়। প্রতিটা সাধারণের মনুষ্যত্বের মাত্রা হয় ৫০ বাই ১০০। বাকি ৫০ ভাগ পশুত্ব।


❑ফারিশতা❑
মানুষ ফারিশতাদের চে উত্তম! কেননা মানুষের মতো ফারিশতারা শরীরের বর্জনীয় বাইরে ফেলতে পারে না! কোন ফারিশতারা মানুষের মতো ভোগ ও করে না। তাদের মুখ আছে, দাঁত আছে, জিহ্বা ও আছে অথচ খাইতে পারে না কি আফসোস!

❑গড❑
গড আর মানুষের মাঝে ফারাক মাত্র একটা নূরের পর্দা সমেত শূণ্যস্থান।

❑প্রফেট❑
প্রত্যেকটা প্রফেটই মানুষ, কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষই প্রফেট না। আর একজন প্রফেট দৈবাগত, মৃত্যুর পর ও জীবিত রয় যা সর্বসাধারণ পারে না।

❑মনীষী বা অ্যামিনেন্ট❑
আর তোমার কৃতি
যা সর্বোপরি আমাদের যা তোমাদের মনে করায়, তুমি তোমার কৃত কর্মের দরুনই মনে থাকো। অন্যথায় তোমারে পুছনের পৃথিবীর টাইম কই?



❑ফুকো❑
আমি দাহ্য দ্রোহী ধর্ষকামী সমকাল!
আমি সেই পাচীণ ইবলিশ, যে জানে নিজেকে পুড়তে হবে হাবিয়ার আগুন শিখায়, 
তথাপি একলা না পুড়ে, সারা জগৎ নিয়ে যেতে চায়!
আমি এক ধর্ষমর্ষকামী সমকাল!

❑বুদ্ধিজীবি❑
কাক ও চামচিকে দুজনেই আন্দাজে ডাকে,
কে জানে কার কথা কবে ফলে যায়-
দুজনেই আন্দাজে কা কা কুই কুই করে।
মাঝে মাঝে এমন ও হয় আন্দাজে ঢিল
মাল এর টাকে পরে!

❑কুকুর❑
খাওন যার
আমি তার
আমি তার
খাওন যার।
আমি মানুষের মতো
পাতে খেয়ে বুকে ঠোকর
না দিতে পারি বলে
মানুষ আমাকে ডাকে কুকুর।


নন ম্যাক্সিম 

ফর্ম ফিলঅাপ
তুমি পুরানা ফর্ম এর মতো
 ফিলাপ হয়ে আছো সেই কবে! 
এটা কি উচিৎ ছিলো রূপা?










মুগ্ধতার পরে//
ভালো লাগার পরে
চলে যেতে পারো
কোন কথা না বলেই
এটা সবচে সহজ যে,
ভালো লাগার পর মূহুর্তে
চলে যাওয়া সবচে সহজ!
মুগ্ধতা শেষে ; অতিথি পাখি ও উড়ে যায়।
চলে যাওয়ার আগে
আমি বাকরূদ্ধ হই,
কত কথা জমে জমে
পেটভারী হয়,
আকাশের মতো
বিশাল আমি নিমিশেই
ভিজে বিড়াল হয়ে যাই!
বাকরূদ্ধ হই, তুমি সামনে 
আসার পর যত কথা থাকে
সব নিমিশেই কই যে যায়
বেঈমান মস্তিষ্কের বাচ্চা!





রূপা//
।।এক।।
রূপা! এক শতাব্দি পরে মনে করো 
আমাদের দেখা হয়ে গ্যালো ধরো,
 পায়রার পারে।
তুমি তখন দাঁড়িয়ে ওপারে।
খুঁজছিলে এপারে আসিবার খেঁয়া –
তোমার ছিলো এপারে আসিবার তাড়া!
এপারে আমি মেঘের ভাসিয়ে ভেলা;
ঘুড়ির মতো সুতা ধরে রেখেছিলাম একলা।
তুমি এপারে আসতে আসতে 
ক্লান্ত বেশ;
আমার নজর এড়ালো না 
তোমার কালো কেশ।

।।দুই।।
একসময়;
আমরা বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
আমাদের মন ছিলো প্রেমাস্পদ 
আমাদের মনই সম্পদ।
বৃদ্ধ হওয়ার পরেও,
আর আমি তখন বেঁচেছিলাম
একমাত্র তোমাকে শেষ দেখা দেখতে।
তুমি ও তাই।
আমি পাখি হয়ে গ্যাছি; তুমি ও পাখি।
আমিও যেই ডাকে ডাকি
তুমি ও ডাকতে থাকো।

।।তিন।।
দুটো পাখি উড়তে উড়তে
আমরা বসেছি একটি তীরে
শত-হাজার কাশফুলের ভীরে
আমি তাকিয়ে দেখতেছিলাম 
শতবর্ষী একটি জবারে।
তুমি ও আমাকে দেখছিলে;
মনেকর, তুমি আমাকে দেখে
 উচ্ছাসিত হয়েছিলে!
আমাদের এখানে কোলাহল ছিলো,
 মুগ্ধতা ছিলো,
 দুজনার দু-চোখে তাকিয়ে আমাদের আবেগের জল
 গড়িয়ে ছিলো পায়রার পারেরে!
মেঘ তার উন্মুক্ত ডানায় ভর করে 
এসেছিলো সাদাকাশ ঘাসফুলেদের এ প্রান্তরে।

।।চার।। 
রূপা, আমরা লাজুক ছিলাম, যেমন শীতের সকালে থাকে ঘাস;
আমাদের পবিত্র প্রেমের সাক্ষী স্বরূপ
 সলিলে কাটছিলো সাঁতার সাদা একজোড়া রাজহাঁস। 

।।পাঁচ।।
রূপা! কী জলে ভেজালে সেই মাঠের সবুজঘাসে
 আজো একমাত্র তোমারে খুঁজি!
কী আনন্দের অশ্রু আমাদের গড়ায়
 চোখ ছানাবড়া হয়; 
উন্মুক্ত পৃথিবীর বুকে আমরা খুঁজছি একটি প্রিয় স্থান,
 যেখানে এই শেষ বয়োসে আরো হাজার বছর ধরে বাঁচবো।
 আমরা শেষ নিঃশ্বাস বলতে প্রেমরেই বুঝি।

।।ছয়।।
রূপা চলো ঐ খাড়া পাহাড়ের চূড়ায়, 
যেখানে মেঘের খেলা দেখা যায়।
উন্মুক্ত আকাশে প্রার্থনা করবো আরো একগুচ্ছ নতুন দিনের; 
অপেক্ষা চন্দ্রের আগমণের।
রাত জাগরণ; শিহরণ জাগাবে দুটো চাঁদ এক পৃথিবীর।
আমরা ঝিঁঝিঁ পোকার বোকামী দেখে
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাবো
রূপা তুমিও হাসবে। আমি ও।
 আমরা হাসবো। পৌঁছাবো শেষ হাসির সীমানায়। 

।।সাত।।
অরুণাভ রক্তের মতো মিশে যাও
 লোমকূপে জমিত ঘাম হয়ে বেরিয়ে এসে;
অনুভূতি চুষে খাও।
আমার রূহ এর শেষতক খাবলে নাও।
তবুও চলো গল্প করি কিংবা পাখি হয়ে যাই।

।।আট।।
আমরা একটি বাসাতে দুটোপাখি
কিচিরমিচির ডাকতে থাকি
 কোলাহল করে একসময় ঘুমিয়ে পরি,
সাড়ে তিনশ বছর পর আমাদের ঘুম ভাঙে।

।।নয়।।
আমরা আসহাব-কাহাফ স্মরণ করি।
ঘুমশেষে,
দুজন হাটতে থাকি, 
পথ শেষ হয় না,
তবুও হাটি,
 দীর্ঘপথ পারি দেবার 
অকলঙ্কিত প্রয়াস মাত্র! 
আমরা আসো হাটি।


মুগ্ধতার পর জানলাম তোমার বয়ফ্রেন্ড আছে//
(গদ্যকাব্য)
প্রথমে দুটো ক্যাটবেরী বা ডেইরি মিল্ক কিনবো। অথবা ৩ টাকা দামের দুটো ললিপপ। একটা তুমি চুষতে থাকবা অপরটা তোমার প্রেমিক। আমি আর আমার বন্ধুরা দাঁড়ায়ে কভেটের মতো চোষা দেখবো। ভয়নেই পেট খারাপ হবে না! এ দৃষ্টি সেই দোষা দৃষ্টি হবে না! মনে মনে তোমার বয়ফ্রেন্ডরে কয়েকশবার মাইরা ফেলবো, আবার জীবিত করবো তো শালারে আবার মারবো! অতঃপর তোমার দিকে চলে যাবে আমার হার মানা দুটো চোখ। তুমি লজ্জিত হলে আমি বলবো; তোমার প্রতি আমার মুগ্ধতা ছিলো, ক্রাশ ছিলো, ভালো লাগা ছিলো। প্রেম পয়দা হয়েছিলো। কিন্তু তোমার তো ছায়া দেবার মতো ছাতা আছে মাথার উপরে! আমার কপালই এমন! কোথাও খাপ খায়না। বেখাপ্পা বডি নিয়া অাইঅ্যাম স্টিল অ্যালাইভ! ফোন নাম্বার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলবো, এই আমার ফোন নাম্বার। তোমার কোন প্রয়োজনে আমারে ফোন দিও। শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে আসতে আমার ভালো লাগবে। তোমার কোন কাজ করে দিতে পারলে আমার ভালো লাগবে ভৃত্যের মতো। কোন বখশিশ নিবো না।
SHARE

Mad Max

  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
  • Image

0 comments:

Post a Comment