কুর্সড ~ বা গালাগালি


কুর্সড~বা গালি

-সজল আহমেদ

ইহা সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ অভিশাপ বা গালাগালিমময় কবিতাগ্রন্থ। ইহা পাঠ করিলে প্রেমিকার প্রতি আপনার বমির উদ্রেক ঘটিতে পারে। ইহা পাঠ করিয়া নিজেকে এবং এবং পৃথিবীকে ধন্য করুন। গ্রন্থটি সর্বসাধারণের জন্য নহে। ফিডার খাওয়া বাচ্চাগণ এই গ্রন্থ হইতে দূরে থাকিবেন!
যাহারা নাক ছিটকানো পাবলিক তেনারা গ্রন্থটি পড়তে পারেন তবে কথা হইলো গিয়া এই, নাকখানা একশত পঞ্চাশ মাইল দূরে রাখিয়া আসুন যাহাতে ছিটাকানোর প্রক্কালে ফাটিয়া না যায়। গ্রন্থটিতে বাঙলা ইয়াকাডেমীর বানানরীতি ফলো না করিয়াই শুরু করা হইছে। এর লাইগ্যা সাধু, চলিত ও আঞ্চলিক একত্র করিয়াও নিজেকে দোষী মনে হইলো না! ম্রা খাক ইয়াকাডেমীর ভাইসব।
এই গ্রন্থের উপরে কোন কবিতাগ্রন্থ থাকিতেই পারেনা কাজেই এইটার সম্বন্ধে বিস্তর বলিবার প্রয়োজন মনে করি না। সর্বশেষ, গ্রন্থটি পাঠ করিয়া নিজেকে আগাছা ভাবা হইতে মুক্ত হউন।
ধন্যবাদন্তে
সজল আহমেদ


সজল আহমেদ একজন বালছাল ওড়ে বাতাসে যায় সুন্দরবন আর নিয়া আসে বাঘের বিচি। আপনারা তাঁরে না চিনলেও সে এমন ভাব লইয়া থাকেন যেন সে একজন সেলিব্রিটি! হে হে যাইহোক সেলিব্রিটি হওনের
সময় তাঁর হইয়া আসছেও বোধ হয়। এই বন্ধুটিকে সেলিব্রিটি করতে নিচের ফেসবুক আইডিতে ফলো খিচুন


রাতের ঘুম
রাতের ঘুমে আমার যত ভয়
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সাথে সাথে
আমাদের একটা দিন মাটি হয়ে যায়!
ঘুমাতে যাওয়ার সাথে সাথে
আমরা একটা স্বপ্নকে মাটি করে ফেলি।
আমাদের মস্তিষ্ক থেমে যায়,
সমাপ্ত করে তাঁর কার্যসমূহ।
ঘুম আমাদের মেরে ফেলে কিছুটা সময়ের জন্য,
আমরা মরে যাই,
আমাদের বাস্তবিত হওয়া ড্রিমসরাও –
অহেতুক অপূরণীয় হয়ে মরে যেতে থাকে।
আমরা পরেরদিন পূণরায় জীবিত হই।
আমাদের স্বপ্ন চলতে থাকে গন্তব্যে,
পথিমধ্যে আবার ঘুমিয়ে পরি, স্বপ্নকে মেরে ফেলি।
বালের কথা
কোন কোন গৃহে, প্রিয় সম্পদ থাকে না।
অথচ ভালোবাসা থাকে সীমাহীন।

রূপা
রূপা! এক শতাব্দি পরে
মনে করো আমাদের
দেখা হয়ে গ্যালো ধরো,
পায়রার পারে
সূর্যটা তখন ডুবছিলো
রক্তিম ছায়া ছিলো
জলের অতলে যাচ্ছিলো
সূর্য, কিয়ৎক্ষণ পৃথিবীর তরে
তাঁর সব মায়া ছেড়ে।
আমি তখন বেঁচেছিলাম
একমাত্র তোমাকে শেষ দেখা দেখতে,
তুমি ও তাই।
আমি পাখি হয়ে গ্যাছি।
তুমি ও পাখি।
মনেকর, তুমি আমাকে দেখে
উচ্ছাসিত হয়েছিলে-
আমাদের এখানে কোলাহল ছিলো,
মুগ্ধতা ছিলো,
দুজনার দু-চোখে তাকিয়ে
আমাদের আবেগের জল গড়িয়ে
ছিলো পায়রার পারেরে!
মেঘ তার উন্মুক্ত ডানায় ভর করে এসেছিলো
সাদাকাশ ঘাসফুলেদের এ প্রান্তরে।
রূপা, আমরা লাজুক ছিলাম,
আমাদের পবিত্র প্রেমের সাক্ষী স্বরূপ
সলিলে কাটছিলো সাঁতার
সাদা একজোড়া রাজহাঁস।
রূপা! কী জলে ভেজালে সেই
মাঠের সবুজঘাসে আজো
একমাত্র তোমারে খুঁজি!
কী আনন্দের অশ্রু আমাদের গড়ায়
চোখ ছানাবড়া হয়;
উন্মুক্ত পৃথিবীর বুকে আমরা খুঁজছি
একটি প্রিয় স্থান, যেখানে এই শেষ বয়োসে
আরো একশতাব্দি ধরে বাঁচবো আমরা!
রূপা চলো পাহাড়ের ঐ খাড়া পাহাড়ের চূড়ায়,
যেখানে মেঘের খেলা দেখা যায়।
উন্মুক্ত আকাশে প্রার্থনা করবো
আরো একগুচ্ছ নতুন দিনের;
রাত জাগরণ শিহরণ জাগাবে
দুটো চাঁদ এক পৃথিবীর
রূপা তুমিও হাসবে।
আমি ও।
আমরা হাসবো।
অরুণাভ ভোরের সূর্যের মতো
মিশে যাও লোমকূপে জমিত
ঘাম হয়ে বেরিয়ে এসে;
অনুভূতি চুষে নাও
আমরা একটি বাসাতে দুটোপাখি
কোলাহল করে একসময় ঘুমিয়ে পরি,
দীর্ঘপথ পারি দেবার অকলঙ্কিত প্রয়াস মাত্র।
পর্দা খোলো, আর ডেকে বুকে লও তৃষ্ণার্ত এ কায়া।
ভাজখোলা চিঠি।
স্বরবর্ণে অঙ্কিত।
গোটাগোটা অক্ষর।
অযত্নে ফেলে না রেখে ;
চিঠির জবাব লিখে পাঠাও
দক্ষিণের ও বাতাসে।
রূপা সামনে পায়রার ঢেউ,
বাতাসে বাতাসে ভেসে চলো গোসল করি
অর্ধমেলনি দৃষ্টি প্রসারিত করে তাকাও
আর ঠান্ডা বাতাসরে বলো ক্ষীণ সুরে গান গাইতে।
চোখ বুজে দ্যাখো চোখের সামনে দেখতে পাবা আমারে,
আমি সবুজ ঘাসের সাথে কথা কই,
একটানা জপ করি তোমারে,
তুমি ফিরে এসো পায়রার পারেরে…..
ও আমার রূপারে…….
আদিখ্যেতা
আমি সারারাত জাগি,
আমার ঘুম আসে না।
আমি কাঁদি,
ছলছল চোখে
চারদিকে তাকাই;
দৃষ্টিক্ষীণ হয়,
নোনতা চোখের পানি।
পৃথিবীর প্রতিটা কোণে
রাত বারে অযতনে
অথচ বারতে থাকা
রাতের সাথে
কপালে হাত রেখে
আমারে তো কেউ বলেনা
“রাত তো অনেক হোলো ঘুমাও না কেন?”
কিংবা বলে না
“না ঘুমুতে ঘুমুতে চোখের
নিচে কালো দাগ পরেছে”
আমি সারারাত জেগে থাকি
শুকনা পাতার মতো
শিশিরে জবুথবু হই
আর আশ্লেষ ডাকি শিশির
এই শীতের রাতে কেন পুনঃ
ফিরে এসে জড়ো করো আমারে?

SHARE

Mad Max

  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
  • Image

0 comments:

Post a Comment