সজল আহমেদ এর রম্য কবিতা : বুদ্ধিজীবিদের জ্বীনের নগর ভ্রমন

বুদ্ধিজীবিদের জ্বীনের নগর ভ্রমন


বুদ্ধিজীবিরা একদিন দলবেঁধে চইলা গেলেন কোকাব শহরে।
জ্বীনের নগর উহা
সেইখানে খাবার বইলা কিছুই ছিলো না
তাঁরা বেবাক কাঁদতে লাগলো আহারে আহারে!
বিশাল বপু এক জ্বীন দেইখা বুদ্ধিজীবি সকলে,
প্রশ্নবাণে জর্জরিত করলো জ্বীন বেচারারে!
বুদ্ধিজীবি একজন তখনো বিরক্ত হইয়া,
তাহার মুখ নামক ট্যান্ডেস্টার দিলো ছাড়িয়া-
এইখানে এইটা আসছি জ্বীনের নগর কোকাবে,
ভরপুর খানা নাই ইহা ক্যামন নগর হে?
ক্যামন নগর ইহা ক্যামন শহর?
ফল নাই জল নাই, নাই অতিথির কদর!
বোকাচোদা জ্বীনের কভূ বুদ্ধি হবে না
বুদ্ধিমান বুদ্ধিজীবিগণের ওরা কদর বুঝলো না।
আছে খালি দেহ
দেহ তো চুদে না কেহ
বইসা খালি পারে ডিম
দ্যাখো অথচ, এরা নাকি আবার জ্বীন!
অপর এক বুদ্ধিজীবি তখন মুখ খুলিলো;
ট্যান্ডেস্টার বুদ্ধিজীবির লগে দ্বিমত পুষিলো।
হাকিলো ভায়া, থামো না!
অত বেশি বুঝো না
এইখানে এইটা আসছি কোকাব নগর
বাদ্য নাই, গানা নাই বিনোদনহীন শহর;
এইখানে নারী নাই, নাই নারীর অধিকার;
যেইখানে বিনোদন নাই সেইটা ক্যামন শহর?
এইবার তৃতীয় নং বুদ্ধিজীবি জোড়ে হাইকা কয়;
ডাউট আছে দাদা এইটা কোকাব নগর নয়!
হইতে পারে ভুল কইরা পৃথিবী ঘুরছে ভূপৃষ্ট সাথে
ঘুইরা গেছি মোক্ষম টাইমে আইসা পরছি কোন অপেরাতে
অপেরার মেইন থীম জ্বীন ও হইতে পারে
হইতে পারে আমরা আসছি কৃত্রিম কোকাব নগরে!
চতুর্থ জন ভাবে আর মনেমনে কয়;
বেকুবচোদা, উজবুক বাকি সব হালায়!
এই নগরে কোন পলিটিক্যাল দল নাই,
গঠনতন্ত্র না রাজতন্ত্র তাহা জানা নাই;
জ্বীনের কীভাবে চলে তাও জানা নাই
তিন হালার মাথায় গোবর ফালতু প্যানা দেয়।
প্রকাশ্যে চার নং বলে, দাদাগণ শোনো
আদপে ইহা নগরই নহে কোন!
হইতে পারে ইহা কোন ভীনগ্রহ
আর জ্বীন না অ্যালিয়েন এসব, বড়বড় দেহ
নাই এখানে কোন পলিটিক্যাল দল
জ্বীন না এই হালারা সব জাগতিক ফুটবল।
এবার জ্বীনের মুখ খুইলা রাগে কথা বাইর হইলো
চার বুদ্ধিজীবির কানে চারটা থাপড়া দিয়া কইলো-
একজনের পাছা আরেকজন আগুনেতে দিয়া
খাইতে পারেন উহা তারপর চাটিয়া চাটিয়া।
একগ্রহের বুদ্ধিজীবি অন্য গ্রহে ভাত পায় না
বুদ্ধিজীবিতা করো পৃথিবীতে গিয়া।
যেইখানে বুদ্ধিজীবি অধিক দেখা যায়,
সেইখানে একে অপরের হোগা ভেজে খায়!
SHARE

Mad Max

  • Image
  • Image
  • Image
  • Image
  • Image

0 comments:

Post a Comment