আমার কোন কষ্ট নেই
এখানে বেঁচে থাকি নিজের শরীরে নিয়ে মাছের ঘ্রাণ
এখানে ছুটে চলি ভাঙা রোদে অজস্র বেদন বুকে আপ্রাণ।
আমার কোন কষ্ট নেই
কোন বেদনা নেই
বুঝতে পেরেছো?
এখন এখানে সমুদ্র শুকায়
পথ করে দেয় চিড়ে রোদে তেতে ওঠা বালি
এরপর বিভিন্ন প্রণালীর পারাপারের পর
মুক্ত হস্তে দান করি নিজেকে।
পৃথিবীর উপরে মায়া নেই
এবার;
চলে যেতে বাঁধা নাই।
চলে যাবার পর বুজে আসে চোখের পাতায় ভর করা ঘুমের নির্মাণ করা মেঘ;
নির্মাতা নিজেই মালিক সাই।
আমার কোন কষ্ট নাই
বুঝতে পেরেছো?
মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলি; জুমার নামাজের মতো সত্য;
আমার কোন বেদন নেই;
আমি নিজকে চিনি, যেমন দুগ্ধপোষ্য পশুরছানা চিনে ফেলে নিজগুণে নিজ মাতা
এবং কিছুদিন পরে আবার মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলি; আজানের কসম আজ খুব কষ্টে ছেদা হলো বুক।
সবাই সুখে থাকে আমি কেন পাই নাকো সুখ?
আবার বলি;
আমার কোন দুঃখ নেই
আমার চোখে জল নেই
বোঝা গ্যালো?
এভাবেই স্ববিরোধী সমুদ্রে স্নান শেষে
আবার দাঁড়িয়ে পরি দগ্ধ হই রোদের ম্লান আগুনে
এরপর নিজেকে পুড়িয়ে পুড়ি ঘুম চোখের।
ঘাম শরীরে ঘুমিয়ে পড়ি সোনার মাদুরে।
রাত ঘুমায় না;
এ কবিতায় কী লিখেছি জানি না
তবে এই জানি আমাকে এভাবেই লিখতে হবে
ব্রত করেছি
একটি ভালো দুঃখের কবিতা চাষ করে যাবো
চাষ করে যাবো এক সমুদ্র বিরহী কবিতার;
ও সমুদ্র চাষা
ও নীল মেঘের দেশে বসা
নিয়তির ক্রন্দনরত মা জননী
আমাকে ধার দাও তোমার সমূহ সুখ সিঁদুররাঙা সিঁথির ভাঁজের।
আমার কোন সুখ নেই
বুঝতে পারলে?
কী বকুলের ফুল চিড়ে নেমে আসা রোদ, মাঠ, ঘাট পাখির কলরব; নীরবে ডাকতে থাকা নিশ্চুপ সব-
নিশ্চল পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা মেঘ; এভাবেই থেমে গিয়ে দেখ-
কিভাবে ভালো থাকতে হবে তোর।
কিভাবে কুয়াশা চিড়ে বা ধ্বংস করে নেমে আসে ভোর।
সিক্ততা বুঝিনি; বুঝিনি কিভাবে ভালো থাকতে হয়-
ভেজা রুমালে চোখ মুছলে চোখের জল বুঝা যাবে না।
বুঝিনি কিভাবে সুখে থেকে থেকে মানুষটা বিরহে মরে যায়;
নগ্ন পায়ে হেঁটে এসেছিলাম বহুদূর
তবুও দেখা হয়নি
এরা কিরকম
কিভাবে নগ্ন চোখে
বিক্ষিপ্তভাবে
লোকমুখে
শুনে নেয়
কার শরীরে কতটা ঘাম
আর কার কতটা ঠিক দাম!
#সজল_আহমেদ
এখানে বেঁচে থাকি নিজের শরীরে নিয়ে মাছের ঘ্রাণ
এখানে ছুটে চলি ভাঙা রোদে অজস্র বেদন বুকে আপ্রাণ।
আমার কোন কষ্ট নেই
কোন বেদনা নেই
বুঝতে পেরেছো?
এখন এখানে সমুদ্র শুকায়
পথ করে দেয় চিড়ে রোদে তেতে ওঠা বালি
এরপর বিভিন্ন প্রণালীর পারাপারের পর
মুক্ত হস্তে দান করি নিজেকে।
পৃথিবীর উপরে মায়া নেই
এবার;
চলে যেতে বাঁধা নাই।
চলে যাবার পর বুজে আসে চোখের পাতায় ভর করা ঘুমের নির্মাণ করা মেঘ;
নির্মাতা নিজেই মালিক সাই।
আমার কোন কষ্ট নাই
বুঝতে পেরেছো?
মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলি; জুমার নামাজের মতো সত্য;
আমার কোন বেদন নেই;
আমি নিজকে চিনি, যেমন দুগ্ধপোষ্য পশুরছানা চিনে ফেলে নিজগুণে নিজ মাতা
এবং কিছুদিন পরে আবার মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলি; আজানের কসম আজ খুব কষ্টে ছেদা হলো বুক।
সবাই সুখে থাকে আমি কেন পাই নাকো সুখ?
আবার বলি;
আমার কোন দুঃখ নেই
আমার চোখে জল নেই
বোঝা গ্যালো?
এভাবেই স্ববিরোধী সমুদ্রে স্নান শেষে
আবার দাঁড়িয়ে পরি দগ্ধ হই রোদের ম্লান আগুনে
এরপর নিজেকে পুড়িয়ে পুড়ি ঘুম চোখের।
ঘাম শরীরে ঘুমিয়ে পড়ি সোনার মাদুরে।
রাত ঘুমায় না;
এ কবিতায় কী লিখেছি জানি না
তবে এই জানি আমাকে এভাবেই লিখতে হবে
ব্রত করেছি
একটি ভালো দুঃখের কবিতা চাষ করে যাবো
চাষ করে যাবো এক সমুদ্র বিরহী কবিতার;
ও সমুদ্র চাষা
ও নীল মেঘের দেশে বসা
নিয়তির ক্রন্দনরত মা জননী
আমাকে ধার দাও তোমার সমূহ সুখ সিঁদুররাঙা সিঁথির ভাঁজের।
আমার কোন সুখ নেই
বুঝতে পারলে?
কী বকুলের ফুল চিড়ে নেমে আসা রোদ, মাঠ, ঘাট পাখির কলরব; নীরবে ডাকতে থাকা নিশ্চুপ সব-
নিশ্চল পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা মেঘ; এভাবেই থেমে গিয়ে দেখ-
কিভাবে ভালো থাকতে হবে তোর।
কিভাবে কুয়াশা চিড়ে বা ধ্বংস করে নেমে আসে ভোর।
সিক্ততা বুঝিনি; বুঝিনি কিভাবে ভালো থাকতে হয়-
ভেজা রুমালে চোখ মুছলে চোখের জল বুঝা যাবে না।
বুঝিনি কিভাবে সুখে থেকে থেকে মানুষটা বিরহে মরে যায়;
নগ্ন পায়ে হেঁটে এসেছিলাম বহুদূর
তবুও দেখা হয়নি
এরা কিরকম
কিভাবে নগ্ন চোখে
বিক্ষিপ্তভাবে
লোকমুখে
শুনে নেয়
কার শরীরে কতটা ঘাম
আর কার কতটা ঠিক দাম!
#সজল_আহমেদ